তাইন্দং হামলায় দায়ের করা দু’টি অভিযোগ মামলা হিসেবে গ্রহণ করেনি পুলিশ

0
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি,
সিএইচটিনিউজ.কম
 
খাগড়াছড়ি : খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার তাইন্দংয়ে গত ৩ আগস্ট পাহাড়ি গ্রামে সেটলার হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের দায়ের করা দুটি অভিযোগ মামলা হিসেবে গ্রহণ করেনি মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশ। সাধারণ ডাইরী হিসেবে সেগুলো গ্রহণ করা হয়েছে।গত ১২ আগস্ট আলো রাণী চাকমা মাটিরাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করতে যান। সেটলার হামলায় পালিয়ে যাবার কারণে অসুস্থ হয়ে তার ২ মাস বয়সী ছেলে আশামনি চাকমা মারা যাওয়ায় তিনি একটি হত্যা মামলা দায়ের করতে চেয়েছিলেন। গত ১০ আগস্ট খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশামনি চাকমা মারা যায়।  এ হামলায় তার স্বামী সুকুমনি চাকমাও আহত হন।

কিন্তু মাটিরাঙ্গা থানার কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার এ এস আই জামাল তার দায়ের করা অভিযোগ মামলা হিসেবে গ্রহণ না করে সাধারণ ডাইরী হিসেবে গ্রহণ গ্রহণ করেছেন। (ডাইরী নং-৪৫৯/১৩, তাং-১২/৮/১৩)।

একইভাবে সর্বেশ্বর পাড়া জনশক্তি বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক চিকন চান চাকমার দায়ের করা অভিযোগটিও পুলিশ মামলা হিসেবে গ্রহণ না করে সাধারণ ডাইরী হিসেবে গ্রহণ করেছে। (ডাইরী নং-৪৫৮/১৩, তাং-১২/৮/১৩) ।

গত ৩ আগস্ট সেটলার হামলায় সর্বেশ্বর পাড়ার জনশক্তি বৌদ্ধ বিহারে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর, লুটপাট এবং মনুদাস পাড়া জনশক্তি বৌদ্ধ বিহারে বুদ্ধমূর্তি ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় তিনি মামলা দায়ের করতে চেয়েছিলেন।

আলোরাণী চাকমা ও চিকন চান চাকমার দায়েরকৃত অভিযোগগুলোতে তাইন্দং ইউনিয়নের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম সিরাজীকে প্রধান আসামী করে ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।

উক্ত অভিযোগগুলো পুলিশ মামলা হিসেবে গ্রহণ না করায় অপরাধীদের যথাযথ শাস্তি হবে কিনা তা নিয়ে নানা সন্দেহ দেখা দিয়েছে।

এদিকে, উক্ত হামলায় অনিল বরণ চাকমার দায়েরকৃত মামলায় পুলিশ এ পর্যন্ত ১৩ জনকে আটক করেছে বলে জানা গেছে। তাইন্দং ইউনিয়নের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম সিরাজী সহ ৩০ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক ১৫০ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে মাটিরাঙ্গা থানায় তিনি এ মামলা দায়ের করেন।

 

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More