দীঘিনালায় বিজিবি’র ৫১ ব্যাটালিয়ন প্রত্যাহারের দাবিতে তিন সংগঠনের বিক্ষোভ

0

সিএইচটিনিউজ.কম
Dighinala protest3দীঘিনালা প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় শশীমোহন ও যত্ন কুমার কার্বারী পাড়া হতে বিজিবি’র ৫১ ব্যটালিয়ন প্রত্যাহার পূর্বক উচ্ছেদ হওয়া পরিবারদের স্ব-স্ব বাস্তভিটা ফেরতের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি), হিল উইমেন্স ফেডারেশন(এইচডব্লিউএফ) ও গণতান্ত্রিক যুব ফেরাম(ডিওয়াইএফ) দীঘিনালা উপজেলা শাখা।

বৃহস্পতিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিলটি বোয়ালখালী ইউপি পরিষদের সামনে থেকে শুরু হয়ে দীঘিনালা উপজেলা কমপ্লেক্স বাস স্টেশন ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে এসে দীঘিনালা ডিগ্রি কলেজ কলেজের রাস্তার মোড়ে সমাবেশ করে। এতে গণতান্ত্রিক যুব ফরামের দীঘিনালা উপজেলা শাখার সভাপতি জীবন চাকমার সভাপতিত্বে ও পিসিপি দীঘিনালা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কনক জ্যোতি চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন পিসিপি দীঘিনালা উপজেলা শাখার সভাপতি জোহেল চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের দীঘিনালা উপজেলা শাখার সভাপতি এন্টি চাকমা ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের দীঘিনালা উপজেলা শাখার সাধরন সম্পাদক সজীব চাকমা।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত বছর ১৪ মে রাতের অন্ধকারে বিজিবির ৫১ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা যত্ন কুমার কার্বারী পাড়া, শশী মোহন কার্বারী পাড়ায় অবস্থান নিয়ে জোরপূর্বক পাহাড়িদের জমি বেদখল করে। এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে ১০ জুন অন্যায়ভাবে বিজিবি ও সেটেলাররা গ্রামবাসীদের উপর হামলা চালায় এবং ২১ পরিবার পাহাড়িকে নিজ বাস্তুভিটা থেকে উচ্ছেদ করে। এই উচ্ছেদ হওয়া পরিবারগুলো বর্তমানে দক্ষিণ বাবুছড়ায় কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের পরিত্যক্ত অফিস ঘরে গাদাগাদি করে মানবেতর জীবন-যাপন করতে বাধ্য হচ্ছে।

বক্তারা আরো বলেন, হাইকোর্ট থেকে বিজিবি ব্যটালিয়ন সদর দপ্তর স্থাপনে স্থগিতাদেশ জারি করা হলেও এই আদেশ অমান্য করে বিজিবি সদস্যরা ভবন নির্মানের কাজ শুরু চালিয়ে যাচ্ছে। যা আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর সামিল।

সমাবেশ থেকে বক্তারা অবিলম্বে বিজিবি’র ৫১ ব্যাটালিয়ন প্রত্যাহারপূর্বক  উচ্ছেদ হওয়া ২১ পাহাড়ি পরিবারকে নিজ নিজ বাস্তভিটায় পূর্নবাসন ও হাইকেটের আদেশ অমান্যকারী বিজিবি সদস্যদের শাস্তির দাবি জানান।
——————–

সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More