পানছড়িতে সন্তু বাহিনীর হামলায় ইউপিডিএফ ও জেএসএস এমএন লারমা দলের দুই সদস্য নিহত, অপহৃত ১
নিহত সমীরণ চাকমা যুবনাশ্ব পাড়ার শীলধন চাকমার ছেলে এবং শ্যামল চাকমা বড়কলক গ্রামের জীতেন্দ্রীয় চাকমার ছেলে। র্জামান চাকমার বাড়ি খাগড়াছড়ির শিবমন্দির এলাকার জোরমরম গ্রামে। তার পিতার নাম কৃষ্ণ রাম চাকমা।
জানা যায়, আজ বৃহস্পতবিার সকাল সাড়ে ৭টার দি সন্তু বাহিনীর ৭ জনের একটি সশস্ত্র গ্রুপ পুজগাঙ বাজার এলাকা থেকে সমীরণ চাকমা ও শ্যামল চাকমাকে ধরে নিয়ে যায়। পরে সন্ত্রাসীরা যুগেশ্বর পাড়ার শনটিলা রাস্তায় সমীরণ চাকমাকে গুলি করে হত্যা করে ফেলে রেখে শ্যামল চাকমাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ঘটনার সময় সমীরণ চাকমা ও শ্যামল চাকমা পুজগাঙ বাজারের পাশের রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। সন্ত্রাসীরা আগে থেকে তাদের জন্য ওঁৎ পেতেছিল। একই সময় সন্ত্রাসীরা জার্মান চাকমার ওপর ব্রাশ ফায়ার করলে তিনি গুরু আহত হন। তার মাথায় গুলবিদ্ধ হয়। গুরু আহত অবস্থায় তাকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সমীরণ চাকমা পাহাড়ি ছাত্র পরষিদের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সহ সাধারণ সম্পাদক এবং পানছড়ি থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরে তিনি ইউপডিএফের সাথে যুক্ত হন এবং ঘটনার আগ পর্যন্ত্ম ইউপডিএফের পানছড়ি ইউনিটের পুজগাঙ এলাকায় সংগঠক হিসেবে র্কমরত ছিলেন।
ইউপিডিএফ খাগড়াছড়ি জেলা ইউনিটের প্রধান সংগঠক প্রদীপন খীসা এক বিবৃতিতে ইউপিডিএফের উপর সন্তু বাহিনীর সশস্ত্র হামলাকে জঘন্য ও কাপুরম্নষোচিত বলে নিন্দা জানান। তিনি অবিলম্বে সমীরণ চাকমা ও জার্মান চাকমার হত্যাকারীদের গ্রেফতার পূর্বক শাস্ত্মি প্রদানের দাবি জানিয়ে বলেন, ‘সরকার ও সেনাবাহিনী এ হামলার দায় এড়াতে পারে না। কারণ জাতীয় বেঈমান সন্তু লারমা সরকার ও সেনাবাহিনীর আশ্রয় প্রশ্রয় পায় বলেই চুক্তির পর থেকে একের পর এক সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে নিরীহ লোকজনকে খুন করতে সক্ষম হচ্ছে। এ পর্যন্ত তার জলস্নাদ বাহিনীর হাতে ইউপিডিএফ ও জেএসএস এমএন লারমা গ্রুপের কয়েক শ’ নেতাকর্মী খুন হয়েছেন।’
ইউপিডিএফ নেতা অবিলম্বে অপহৃত শ্যামল চাকমাকে উদ্ধারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।