পানছড়ির দুর্গম এলাকায় পানির জন্য হাহাকার

0

সিএইচটিনিউজ.কম ডেস্ক:
Pani-songkotপানছড়ি(খাগড়াছড়ি) : উপজেলার প্রত্যন্ত জনপদেও পানি ও স্যানিটেশন সেবা প্রদানে সুশাসন নিশ্চিত করার লক্ষে খাগড়াছড়ির পানছড়িতে এক সমন্বয় সভা হয়েছে। এনজিও ফোরাম পাবলিক হেলথ এর অর্থায়নে খাগড়াছড়ির স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কাবিদাং ও চেঙ্গী ইউনিয়নের উদ্যোগে গতকাল সকাল ৯টায় উপজেলার চেঙ্গী ইউপি কার্যালয় হল রুমে এ সভা হয়।

ইউপি সদস্যা আশা চাকমার সভাপতিত্বে ও শান্তিময় চাকমার সঞ্চালনায় সমন্বয় সভায় বক্তব্য রাখেন কাবিদাংয়ের নির্বাহী পরিচালক লালসা চাকমা, এনজিও ফোরাম পাবলিক হেলথের চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রতিনিধি ওয়াশিম আকরাম, লোগাং উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সঞ্জীবন চাকমা, নূতন ধন চাকমা, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের মেকানিকেল বাইমং মার্মা, ইউপি সদস্য খগেন্দ্র ত্রিপুরা, খুকুমুনি চাকমা, শিশু কুমার চাকমা প্রমুখ।

সমস্বয় সভায় বক্তারা বলেন, দিন দিন পানির স্তর কমে যাচ্ছে। অপরিকল্পিতভাবে গাছ-বাঁশ আর পাহাড় কাটার ফলে সেই নদী, ছড়া আজ মৃতপ্রায়। নদী, ছড়াগুলো শুকিয়ে গেছে। দুর্গম এলাকার মানুষগুলো পানির জন্য যেন যুদ্ধ করতে হচ্ছে। ধান ক্ষেতে কৃষকরা পানি দিতে পারছে না।

উপজেলার চেঙ্গী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য খগেন্দ্র ত্রিপুরা বলেন- প্রায় তিন শতাধিক পরিবার ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীকে প্রতিদিন পানির জন্য যুদ্ধ করতে হচ্ছে। ছড়া, ঝরনা, কুয়ায় পানি নেই। এভাবে আরো কয়েক সপ্তাহ থাকলে মনে হয় পানির জন্য মানুষ মারা যাবে।

১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য খুকুমুনি চাকমা বলেন, আমার ওয়ার্ডের খাবার পানির সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। পানির অভাবে ধান ক্ষেত মরে যাচ্ছে।

কাবিদাং এর নির্বাহী পরিচালক লালসা চাকমা বলেন, শুধু দুর্গম এলাকায় নয়। আমাদের খাগড়াছড়িতেও আমরা ঠিক মতো পানি পাচ্ছি না।

বক্তারা এজন্য গাছ-বাঁশ ব্যবসায়ীদের দোষারোপ করেন এবং বন্ধের গাছ-বাঁশ ব্যবসা বন্ধ করারও দাবি জানান।

সৌজন্যে: সুপ্রভাত বাংলাদেশ

 

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More