পার্বত্য চট্টগ্রামে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে ইউপিডিএফ সমর্থিত দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি, সিএইচটিনিউজ.কম
আগামী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পার্বত্য চট্টগ্রামে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে ইউপিডিএফ সমর্থিত ২৯৮ নং পার্বত্য খাগড়াছড়ি আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী উজ্জ্বল স্মৃতি চাকমা ও ২৯৯ নং পার্বত্য রাঙামাটি আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সচিব চাকমা।
গ্রেফতারকৃত কর্মী-সমর্থকদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি, ধরপাকড় ও সেনা অভিযান বন্ধ এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার দাবিতে আজ ১২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বেলা ২.৩০টায় খাগড়াছড়ি সদরের স্বনির্ভরস্থ ঠিকাদার সমিতি ভবনে আয়োজিত এক যৌথ প্রেস ব্রিফিংয়ে তারা এ দাবি জানান।
প্রেস ব্রিফিংয়ে লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, যে কোন নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেইং ফিল্ড নিশ্চিত করা হচ্ছে নির্বাচন কমিশন তথা সরকার-প্রশাসনের প্রধান দায়িত্ব। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও বাস্তবে পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। বিশেষ করে খাগড়াছড়িতে কয়েক দিন ধরে অন্যায়ভাবে ধরপাকড়, ঘরবাড়িতে সেনা-পুলিশ-বিজিবি কর্তৃক তল্লাসী অভিযান চলছে। ইতিমধ্যে নির্বাচনী প্রচারকার্যে মনোনীত গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের ৮ নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়াও দিঘীনালা উপজেলায় ইন্দ্রমণি কার্বারী পাড়ায় ৩ জন নারী সেনাবাহিনীর হাতে নির্মমভাবে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে। সেনা অভিযান, বেআইনী ধরপাকড় ও হয়রানিমূলক তল্লাসি এখনো অব্যাহত রয়েছে।
তারা আরো বলেন, কর্মী-সমর্থকদের গ্রেফতার, বাড়ি তল্লাশি, হয়রানি, ভয়-ভীতি প্রদর্শনের ফলে জনমনে আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই সন্দেহ ও সংশয় দেখা দিয়েছে। এমতাবস্থায় ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৮ নং খাগড়াছড়ি ও ২৯৯ নং রাংগামাটি আসন দু’টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আমাদের অংশগ্রহণ বিষয়ে আমরা গভীরভাবে পর্যালোচনা করে দেখছি।
প্রেস ব্রিফিংয়ে তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, নির্বিচারে গ্রেফতার, তল্লাশী অভিযান, গ্রেফতারকৃত প্রচার কর্মী-সমর্থকদের সাথে সাক্ষাত করতে না দেওয়া, হুমকি প্রদান, ভয়-ভীতি প্রদর্শন, নানাভাবে হয়রানি আর নিরাপত্তা বাহিনীর কতিপয় সদস্য কর্তৃক দীঘিনালাসহ বেশ কিছু এলাকায় এক ব্যক্তির পক্ষে ভোট প্রার্থনা–আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে তারা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ অবিলম্বে আটককৃত ৮ জন কর্মী-সমর্থকদের নিঃশর্ত মুক্তি, সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নিবাচনের পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে অন্যায় ধরপাকড়, বাড়ি তল্লাশি, ভয়-ভীতি প্রদর্শন, হয়রানি ও সেনা অভিযান বন্ধ করা ও বিশেষ প্রার্থীর পক্ষে প্রচার কার্যে নিয়োজিত কতিপয় সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানান। অন্যথায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোরও ঘোষণা দেন তারা।