সেনা প্রহরায় অস্ত্রসহ ধৃত সন্ত্রাসীকে গোপন ডেরায় পৌঁছে দেয়ায় প্রবাসী শ্রমজীবী ফ্রন্টের বিক্ষোভ
পা: চট্টগ্রামে ‘নব্য মুখোশ-বোরখা বাহিনী’ দিয়ে চাঁদাবাজি, অস্ত্র গুঁজে গ্রেফতার-প্রমোশন বাণিজ্য প্রতিরোধের আহ্বান
ঢাকা রিপোর্টার॥
আজ ১০ নভেম্বর শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩ টায় ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে প্রবাসী শ্রমজীবী ফ্রন্ট। হাতে-নাতে অস্ত্রসহ ধৃত দাগী সন্ত্রাসী ‘শ্যামল কান্তি চাকমা’ ওরফে ‘তরু’কে সেনা প্রহরায় গোপন আস্তানায় পৌঁছে দেয়া এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে ‘নব্য মুখোশ-বোরখা বাহিনী’ সৃষ্টির পাঁয়তারা, অস্ত্র গুঁজে গ্রেফতার-প্রমোশন বাণিজ্য বন্ধের দাবিতে এই বিক্ষোভ মিছিল করে সংগঠনটি। শ্রমজীবী ফ্রন্টের সভাপতি জ্ঞানেন্দু চাকমার সভাপতিত্বে এবং সাংগঠনিক সম্পাদক কনক জ্যোতি চাকমার পরিচালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কাঠগড় শাখার সাধারণ সম্পাদক মিশন চাকমা, কাঁচপুর প্রতিনিধি আদিত্য চাকমা ও শান্তি চাকমা, ইউপিডিএফ ঢাকা অঞ্চলের সংগঠক মিল্টন চাকমা এবং পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি বিনয়ন চাকমা।বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর মধ্যকার স্বার্থন্বেষী সেনা চক্রটি আবারো নব্বই দশকের মতো ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। সে সময় যেভাবে সন্ত্রাসী মুখোশ বাহিনী সৃষ্টি করে আন্দোলন দমনের চেষ্টা চালিয়েছিল, একইভাবে বর্তমানেও নব্য সন্ত্রাসী মুখোশ বাহিনী সৃষ্টি করে ন্যায্য আন্দোলন দমন করতে চাচ্ছে। সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ক্ষতিপয় দুর্বৃত্ত এবং দ্বিধাবিভক্ত একটি রাজনৈতিক দলের স্বার্থান্বেষী অংশকে ক্রীড়নক বানিয়ে মাঠে নেমে পড়েছে এই সেনা চক্রটি। এ কারণে তাদের মদদপুষ্ট দাগী সন্ত্রাসী শ্যামলকান্তি ওরফে ‘তরু’ চাকমা অস্ত্রসহ ধরা পড়লেও তাকে সেনা প্রহরায় গোপন আস্তানায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
বক্তারা বলেন, দাগী সন্ত্রাসীকে সেনা প্রহরায় গোপন আস্তানায় পৌঁছে দেয়াসহ বিভিন্ন ঘটনার মাধ্যমে আজকে এটাই স্পষ্ট হচ্ছে যে, স্বার্থান্বেষী সেনা চক্রটি হচ্ছে সন্ত্রাসীদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক। তারা সন্ত্রাসীদের দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করার চেষ্টা করছে।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রতিনিয়ত জনগণকে নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে সেনা প্রশাসন। স্বার্থান্বেষী সেনা চক্রটি তাদের স্বার্থোদ্ধার-প্রমোশন বাণিজ্যের জন্য নিরীহ জনগণকে বলির পাঁঠা বানাচ্ছে। কখনো অস্ত্র গুঁজে দিয়ে, কখনো চাঁদাবাজিসহ নানা ধরনের হয়রানির মামলা দিচ্ছে।
সমাবেশে বক্তারা সেনা ও দুর্বৃত্তদের মিলিত ষড়যন্ত্রের সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং নব্বই দশকের মতো ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেই চক্রান্ত রুখে দেয়ার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
—————–
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।