পূর্ণস্বায়ত্তশাসন দিবস উপলক্ষে রামগড়ে পিসিপি’র আলোচনা সভা

0

রামগড় : পূর্ণস্বায়ত্তশাসন দাবি উত্থাপনের দিনটি উপলক্ষ করে আজ ১০ মার্চ ২০১৯, রবিবার খাগড়াছড়ির রামগড়ে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি) রামগড় উপজেলা শাখার উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

‘নিপীড়িত মানুষের মুক্তির সনদ পূর্ণস্বায়ওশাসনের সংগ্রামকে বেগবান করতে এগিয়ে আসুন’ এই স্লোগানে সকাল ১১ টা’য় রামগড়ে অনুষ্ঠিত সভায় নরেশ ত্রিপুরা’র সভাপতিত্বে ও অভি ত্রিপুরার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ইউপিডিএফ’র রামগড় ইউনিটের সংগঠক দবন চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম এর প্রতিনিধি জার্মেন্ট ত্রিপুরা ও পিসিপি’র চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়(চবি) প্রতিনিধি কেলন চাকমা প্রমুখ।

সভায় বক্তরা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের মৌলিক দাবি-দাওয়াকে উপেক্ষা করে যখন আওয়ামী লীগ সরকার ও জনসংহতি সমিতির মধ্যে বৈঠকের পর বৈঠকের মাধ্যমে সমঝোতা চূড়ান্ত হতে যাচ্ছিল তখনই ১৯৯৭ সালের ১০ মার্চ তিন গণসংগঠন পাহাড়ি গণপরিষদ, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক যৌথ সমাবশ থেকে পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের দাবি উত্থাপন করে। এরপর থেকেই পার্বত্য চট্টগ্রামে জনগণ পুর্ণস্বায়ত্তশাসনের দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠে এবং বুঝতে সক্ষম হয় পূর্ণস্বায়ত্তশাসন ছাড়া নিপীড়িত জনগণের মুক্তি সম্ভব নয়।

এ দাবি উত্থাপনের ৯ মাসের মাথায় সরকার ও জনসংহতি সমিতি চুক্তি স্বাক্ষর করলে তিন গণসংগঠন এ চুক্তি প্রত্যাখ্যান করে এবং পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের দাবিকে সামনে রেখে ১৯৯৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর গঠিত হয় নতুন রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ)।

বক্তরা আরো বলেন, বর্তমান সরকার চুক্তি বাস্তবায়নের নামে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের সাথে ছিনিমিনি খেলছে। জনগণের মৌলিক দাবি ভূমি অধিকার, সেনা ক্যাম্প-সেনা শাসন প্রত্যাহার ও সেটলারদের পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরে প্রত্যাহার তো দূরের কথা বর্তমানে নিপীড়ন-নির্যাতন ও ভূমি বেদখল আগের চেয়ে আরো বৃদ্ধি করা হয়েছে। সেনা মদদপুষ্ট একটি প্রতিক্রিয়াশীল চক্রকে দিয়ে আন্দোলনকারী নেতা-কর্মীদের খুন, গুম, অপহরণসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে জাতি ধ্বংসে নীলনক্সা বাস্তবায়ন করছে সরকার।

সভা থেকে বক্তারা জনগণের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতন বন্ধ করে পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার প্রকৃত রাজনৈতিক সমাধানের জন্য পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের দাবি মেনে নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
——————
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More