ফিরে দেখা ২০১৪: পার্বত্য চট্টগ্রামে ধর্ষণ-নির্যাতনের শিকার ৩৪ জন পাহাড়ি নারী
সিএইচটিনিউজ.কম
ডেস্ক রিপোর্ট: পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি নারীদের উপর ধর্ষণ-নির্যাতনের ঘটনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১৪ সালে কমপক্ষে ৩৪ নারী ও শিশু ধর্ষণ, নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১৩ জন, ধর্ষণের পর খুন হন ৪ জন,ধর্ষণ প্রচেষ্টার শিকার হন ১৫ জন, অপহৃত হন ১ জন ও অপহরণ চেষ্টার শিকার হয়েছেন অপর একজন নারী। এদের মধ্যে ২ জন নিরপত্তা বাহিনী(সেনা-বিজিবি) সদস্য দ্বারা ও ৩২ জন সেটলার বাঙালি কর্তৃক ধর্ষণ, নির্যাতনের শিকার হন।
নিজস্ব সূত্র ও বিভিন্ন মাধ্যম থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত বছর পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘটিত নারী নির্যাতনের ঘটনাবলী সংক্ষিপ্তাকারে তুলে ধরা হলো:
৫ জানুয়ারী ২০১৪ খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার বাটনাতলী ইউনিয়নের গিরচন্দ্র কার্বারী পাড়ায়(টিলা পাড়া) তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ুয়া এক পাহাড়ি মেয়ে শিশু (৯) নিজেদের বাড়ির পাশ্ববর্তী জঙ্গলে বনআলু সংগ্রহ করতে গেলে একা পেয়ে ঢাকা শিবির নামক গ্রামের বাসিন্দা নুরুল হকের ছেলে ওবায়দুল হক(১৮) জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
৯ জানুয়ারি বান্দরবানের লামা উপজেলার রূপসী পাড়া ইউিনয়নের শীলেরতুয়া এলাকায় কিশোরীকে একা পেয়ে মো: আইয়ুব আলী ধর্ষণের চেষ্টা করে। আইয়ুব আলী রূপসী পাড়া ইউনিয়নের বৈদ্যভিটা গ্রামের আজগর আলীর পুত্র।
স্থানীয় লোকজন আইয়ুব আলীকে আটককরে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে। ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে স্থানীয় থানায় মামলা করেছেন।
১৫ জানুয়ারি বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের ছাধুঅং পাড়ায় মধ্যম বাইশারী গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে জসিম উদ্দিনে (২৮) কর্তৃক ১৩ বছরের পাহাড়ি স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়।
১৫ ফেব্রুয়ারী খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার কমলছড়িতে দেবরতন চাকমার স্ত্রী সবিতা চাকমা(৩০) বাড়ির পার্শ্ববর্তী চেঙ্গী নদীর চরে গরুর জন্য ঘাস কাটতে গেলে বালুবহনকারী বাঙালি ট্রাক্টর চালক ও তার সহযোগীদের কর্তৃক ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হন। হত্যার পর তার লাশ টেনে হেঁচড়ে একটি সিম ক্ষেতে ফেলে রাখা হয়। পরে ঘটনার দিন বিকালের দিকে বিবস্ত্র অবস্থায় পুলিশ ও স্থানীয়রা তার লাশ উদ্ধার করে।
১৮ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের লক্ষ্মীছড়ি সেনা ক্যাম্পের ওয়ারেন্ট অফিসার(সুবেদার) কাদের কর্তৃক এক পাহাড়ি নারী ধর্ষণ প্রচেষ্টার শিকার হন।
২৫ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার রামশিরা এলাকায় তারুমিয়া(৩৭) পিতা লাল মিয়া, গ্রাম করিম মাষ্টার পাড়া ও আব্দুল খালেক (৪০), পিতা রহিম মিয়া ১০ম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক পাহাড়ি স্কুলছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
৭ মার্চ খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ির গোবমারা এলাকায় এক পাহাড়ি তরুণী(১৯) তিন বাঙালি যুবক কর্তৃক জোরপূর্বক ধর্ষণের শিকার হয়। ধর্ষণকারী ওই তিন যুবক হলো-শামসুল হকের ছেলে মোটর সাইকেল চালক শহীদুল ইসলাম(২৫), সোহারাব হাওলাদারের ছেলে মোঃ মাহবুব আলম(২৭) ও ফজলুর ফরাজী ছেলে বেলাল হোসেন(২৪)।
১৪ মার্চ বিকাল আনুমানিক ৩টার দিকে খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার লোগাং ইউনিয়নের মাছ্যছড়া এলাকায় ১৩ বছর বয়সী বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক পাহাড়ি কিশোরীকে লোগাং বাজার এলাকার বাসিন্দা মো: আয়াতুল্লাহ(৩৭) নামে এক সেটলার ধর্ষণ চেষ্টা করে।
২২ মার্চ সকাল ৭টায় রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার কলমপতি ইউনিয়নের সুগারমিল পূর্ব আদর্শগ্রাম এলাকায় ছাত্রলীগ নেতা শিহাব উদ্দিন মুখে চেতনা নাশক লাগিয়ে দিয়ে ৯ম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক মারমা স্কুল ছাত্রীকে জোরপূর্বক অপহরণের চেষ্টা করে। অবশ্য এলাকাবাসীর প্রতিবাদের মুখে তার এ চেষ্টা ব্যর্থ হয়। এ সময় শিহাব উদ্দিন ও তার সহযোগীদের হামলায় ওই স্কুল ছাত্রীর পিতাও আহত হন।
২৩ মার্চ বিকাল ৩টার দিকে রাঙামাটি’র কাউখালী উপজেলার ৪নং কলমপতি ইউনিয়নের তারাবুনিয়া এলাকায় বেলাল হোসেন নামক এক সেটলার বাঙালি কর্তৃক চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ুয়া এক মারমা মেয়ে শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। এলাকাবাসী ধর্ষক মো: বেলালকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
২৬ মার্চ চট্টগ্রাম থেকে বাড়ি ফেরার পথে খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার ক্যায়াংঘাট ইউনিয়নের করল্যাছড়ি হেডম্যান পাড়ার মৃত অজয় কুমার চাকমার মেয়ে ভারতী চাকমাকে গণধর্ষণের পর এসিড নিক্ষেপ করে হত্যা করে সেটলার বাঙালিরা। এ ঘটনার ৩দিন পর ২৯ মার্চ পশ্চিম ক্যায়াংঘাটের একটি আমাবাগান থেকে তার বিবস্ত্র ও বিকৃত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এঘটনায় ভারতী চাকমার বড়ভাই সঞ্চয় চাকমা সন্দেহজনক ৫ জনকে আসামী করে মহালছড়ি থানায় মামলা দায়ের করেছে। এরা হলেন-পাগজ্যাছড়ি গুচ্ছগ্রামের তারামিয়া, পিতা- তমিজ উদ্দিন, ইনসাফ আলী, পিতা-অজ্ঞাত ও কালোপাহাড় গুচ্ছগ্রামের জহুর আলী, পিতা-ফয়সাল মিয়া, জাহিদ, পিতা-অজ্ঞাত ও নুরুন্নবি। এর মধ্যে পুলিশ জহুর আলীকে গেফতার করে।
৩ এপ্রিল দুপুরে খাগড়াছড়ির লক্ষীছড়ি উপজেলার ছোটধুরুং মুখ পাড়ার কার্বারী নিজো চাকমার বাক প্রতিবন্ধী মেয়েটি(১৫) দুই সেটলার যুবক কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়। বাড়ির পার্শ্ববর্তী ছড়া থেকে পানি আনতে গেলে তাকে একা পেয়ে ময়ুরখীল গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা মো: আবুল কাশেম এর ছেলে মো: সজীব(১৮) ও মো: নাসির মাষ্টারের ছেলে মো: শরীফ(১৫) তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
৫ এপ্রিল সন্ধ্যায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের রেজু গর্জনবনিয়া পাড়া থেকে এক পাহাড়ি গৃহবধু (২৮) একদল সশস্ত্র দুর্বৃত্ত কর্তৃক অপহরণের শিকার হয়।
১৩ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টার সময় রাঙামাটির কাউখালী উপলোর ছোটডলু এলাকায় ৮ম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক পাহাড়ি স্কুল ছাত্রী(১৪) নাইল্যাছড়ি গ্রামের মো: সুমন(১৭), মো: সাইফুল ও মো: সুজন কর্তৃক ধর্ষণ চেষ্টার শিকার হয়।
২৩ এপ্রিল সকাল ৮টার দিকে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ির বাটনাতলী ইউনিয়নের ডাইনছড়ি ঢাকাইয়া শিবির নামক স্থানে মো: রমিজ নামে এক সেটলার যুবক এক পাহাড়ি নারীকে (২২) ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। ধর্ষণ চেষ্টাকারী যুবকটি মানিকছড়ির পান্নাবিল এলাকার বটতলা গ্রামের মো: হিরোজ মিয়ার ছেলে। সে পেশায় একজন মোটর সাইকেল চালক বলে জানা যায়।
২৪ এপ্রিল রাতে খাগড়াছড়ির মাটিরাংগা মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কামিনী মেম্বার পাড়ায় বিয়ের প্রলোভনের ফাঁদে পড়ে দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক পাহাড়ি স্কুলছাত্রী মো: ইমাম হোসেন(২৮) কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়।
২৩ মে খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার চংড়াছড়ি হেডম্যান পাড়ায় ৯ম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক মারমা কিশোরীকে মো: শাহজাহান ও সানোয়ার অপহরণ ও শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এ সময় ওই কিশোরী চিৎকার দিলে আশে-পাশের পাহাড়িরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়।
২৪ মে রাঙামাটি জেলার নান্যাচর উপজেলার বুড়িঘাট ইউনিয়নের নানাপ্রুম গ্রামে নোয়াখালী থেকে আসা আনারস ব্যবসায়ী মো: জামাল(৪০) কর্তৃক এক পাহাড়ি কিশোরী(১৭) শ্লীলতাহানি চেষ্টার শিকার হন।
৩১ মে রাঙামাটির বরকল উপজেলায় বরকলগ গ্রামে মো: রাজ্জাক কর্তৃক এক পাহাড়ি কিশোরী ধর্ষণ চেষ্টার শিকার হয়। উক্ত ঘটনায় অভিযুক্ত রাজ্জাককে আটক করে পুলিশ। অভিযুক্ত রাজ্জাকের বাড়ি বরকল উপজেলা সদর ইউনিয়নের নতুন পাড়ার বাসিন্দা।
৭ জুন বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে অংজাই পাড়ার মংক্যহ্লা মারমার মেয়ে উপ্রু মারমা(২০) নামে এক তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মোসলেম মিয়া নামের এক সেটলার এলাকাবাসীর গণপিটুনির শিকার হয়ে মারা যায়।
১০ জুন রাতে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার তিনটহরী ইউনিয়নের দার্য্যা পাড়ায় মো: হানিফ নামে এক সেটলার যুবক এক পাহাড়ি নারীকে(২৮) ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ ঘটনায় মানিকছড়ি আদর্শ গ্রামের আনিসুর রহমানের ছেলে লম্পট হানিফকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে এলাকাবাসী।
১৫ জুন রাতে রাঙামাটির সাজেকে এক পাহাড়ি নারীকে ধর্ষণ প্রচেষ্টা চালায় রহিম নামে এক সেটলার গরু ব্যবসায়ী। এ ঘটনায় এলাকাবাসী রহিমকে আটক করে গলধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে।
২৪ জুন খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় চতুর্থ শ্রেণীর স্কুলছাত্রীকে মানসিক নিযাতন ও শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায় হাসপাতাল পাড়ার মো: ইউসুফ আলী নামে এক সেটলার। পরে পুলিশ ইউসুফ আলীকে আটক করে থানায় নিয়ে এসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এক সালিশ বৈঠকে মীমাংসা করে দেন।
৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টার দিকে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার তবলছড়ি ইউনিয়নের লাল কুমার পাড়ায় তবলছড়ি আদর্শ গ্রামের মো: সালাম নামের সেটলার যুবক কর্তৃক ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়।
২২ সেপ্টেম্বর রাঙামাটির বরকল উপজেলার সুবলং ইউনিয়নের বরুনাছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম কর্তৃক তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রী ধর্ষণের চেষ্টার শিকার হয়। বিদ্যালয় ছুটির পরে তৃতীয় শ্রেণীর এক পাহাড়ি ছাত্রীকে অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে গিয়ে ছাত্রীটিকে ঝাপটে ধরে শরীরের বিভিন্ন ষ্পর্শকাতর স্থানে ষ্পর্শসহ ধর্ষণের চেষ্টা করে রফিকুল ইসলাম।
২ অক্টোবর সকাল ১১টার দিকে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের রান্যাবাড়ি গ্রামে সেটলার বাঙালি মো: জিয়া রহমান(৩২) কর্তৃক এক পাহাড়ি কিশোরী(১৪) ধর্ষণের শিকার হয়। এলাকাবাসী ধর্ষক জিয়া রহমানকে আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে।
২ অক্টোবর রাঙামাটির নান্যাচর উপজেলার নানাপ্রুম গ্রামে বগাছড়ি এলাকার সেটলার মো: কবির (২৫) এক পাহাড়ি কিশোরীকে(১৪) শরীরের বুকে হাত স্পর্শ করে দিয়ে শ্লীলতাহানি করে।
১৫ অক্টোবর রাত ১১টার দিকে রাঙামাটি জেলার কাউখালী উপজেলার বড়ডলু পাড়ার বাসিন্দা এক সন্তানের জননী এক পাহাড়ি নারী(২৭) আওয়ামী লীগ কর্মী (বাঙলি) কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়।
১৬ অক্টোবর বিকাল ৪টার দিকে খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার কানুনগো পাড়ায় সেটলার মো: লালন মিয়া(৩৫) কর্তৃক ৪ বছর বয়সী এক পাহাড়ি শিশু ধর্ষণের শিকার হয়।
৩ নভেম্বর দুপুর ১২টার দিকে রাঙামাটির সাজেক ইউনিয়নের শিয়ালদাইলুই ক্যাম্পের বিজিবি সদস্য কর্তৃক এক পাহাড়ি নারী(২৭) ধর্ষণ চেষ্টার শিকার হন।
১৫ ডিসেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার ব্যাঙছড়ি এলাকায় উম্রাসিং মারমা ওরফে ছবি(১৪) নামে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর গলাকেটে হত্যা করে মাসুদ রানা ও নিজাম নামে দুই সেটলার। পুলিশ বিকালে কিশোরীর লাশ উদ্ধার করে। উম্রাসিং মারমা চিৎমরম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এ বছর জেএসএসি পরীক্ষা দিয়েছিল।
১৯ ডিসেম্বর সকাল ৮টার দিকে লংগদু উপজেলার আটরকছড়া ইউনিয়নের ভাঙামুড়া গ্রামে বাড়ির পাশ্ববর্তী ছড়া থেকে পানি আনতে গেলে আগে থেকে ওঁ ৎ পেতে থাকা ৪ সেটলার যুবক ১৩ বছর বয়সী এক পাহড়ি কিশোরীকে গণধর্ষণ করে। ধর্ষণকারীরা হলো-সোলেয়মান খা’র পুত্র নবী হোসেন(১৫), কালাপাগজ্যা গ্রামের মো: মাসুম(১৬), মো: আবুল হোসেরে পুত্র মো: সমরাজ (১৬) ও মো: নজরুলের পুত্র শফিকুল ইসলাম(১৬)।
একইদিন বিকালে খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার কাপ্তাইপাড়া এলাকায় মো: সুমন নামে পরিচয়দানকারী বাঙালি যুবক এক মারমা মেয়েকে ধর্ষণ চেষ্টা চালায়। পরে এলাকাবাসী ওই বাঙালি যুবককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
২১ ডিসেম্বর বেলা ২:৩০টার সময় খাগড়াছড়ির মাটরাঙ্গা উপজেলার তাইন্দং ইউনিয়নের হেডম্যান পাড়ায় ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের এক শিশু(১২) বাদশা মিয়া নামের বাঙালি সেটলার কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়। ধর্ষক বাদশা মিয়া একই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মাঝ পাড়া গ্রামের হারুনর রশিদের ছেলে। শিশুটি হেডম্যান পাড়া কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী। তবে এ ঘটনায় মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশ ধর্ষণ প্রচেষ্টা হিসেবে মামলা রুজু করেছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘটিত এসব ঘটনায় অপরাধীরা প্রায়ই ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায় অথবা গ্রেফতার হলেও অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই ছাড়া পেয়ে যায়। ফলে তারা আবারো অপরাধ সংঘটিত করতে উৎসাহিত হয়। অপরাধীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে এ ধরনের ঘটনা কিছুটা হলেও কমে আসবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
——————
সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।