বান্দরবানে মুক্তিযোদ্ধা ইউ কে চিং বীর বিক্রম আর নেই
সিএইচটিনিউজ.কম
বান্দরবান প্রতিনিধি: বান্দরবানে তথা পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়িদের মধ্যে একমাত্র বীরবিক্রম খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তযোদ্ধা উক্যচিং (ইউকেচিং) মারমা আর নেই। শুক্রবার সকাল ছয়টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি এক মেয়ে, দুই পুত্র সন্তান আর স্ত্রীকে রেখে গেছেন।
পারিবারিক সূত্র জানায়, তিনি দীর্ঘ দিন ধরে বার্ধক্যজনিত কারনে অসুস্থতায় ভোগছিলেন। তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে। তবে কখন করা হবে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম থেকে তাঁর মরদেহবাহী একটি এ্যাম্বুলেন্স বান্দরবানের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সারাদেশের ১৭৫জন বীরবিক্রম খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে তিনি একজন।
রাষ্ট্র ভাষা বাংলার দাবীতে যখন বাংলা ভাষাভাষীরা সোচ্ছার ঠিক তখনেই ইউ কে চিং ১৯৫২ সালে যোগ দেন ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস(ইপি আরে)। ১৯৭১ সালে যখন মুক্তিযুদ্ধ শুরু হবার সাথে সাথে তিনি পরিবার-পরিজন ত্যাগ করে জীবনের মায়া না করে একটি স্বাধীন দেশ ও দেশের লাল সবুজের নতুন এক পতাকা দেখার প্রত্যয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ ইপিআরের নায়েক হিসেবে রংপুর জেলার হাতিবান্ধা বিওপিতে কর্মরত ছিলেন। পরাধীনতার শেকল থেকে দেশেকে মুক্ত করতে ও নিজেদের অধিকারের কথা চিস্তা করে বিওপিতে কর্মরত এক বিহারি ও ২ পাঞ্জাবিকে হত্যা করেন এবং ৯ বাংগালী ইপিআর সৈনিককে নিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহন করেন। নিজের জীবন বাজি রেখে নয় মাস যুদ্ধ করে দেশের স্বাধীনতার জন্য অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ সরকার তাঁকে বীর বিক্রম উপাধিতে ভূষিত করেন।
————-
সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।