বান্দরবানে সন্তু লারমার আগমনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত-৬

0

সিএইচটিনিউজ.কম

সংঘর্ষে আহতদের একজন
সংঘর্ষে আহতদের একজন

বান্দরবান প্রতিনিধি : পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি সন্তু লারমা বান্দরবান আগমনকে কেন্দ্র করে ‘জাগো পার্বত্যবাসী’ নামে সেটলারদের একটি ভূঁইফোড় সংগঠনের কর্মীদের সাথে সন্তু লারমার গাড়ি বহরের সাথে থাকা জনসংহতি সমিতির কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ৬ জন আহত হয়েছেন।

সন্তু লারমার বান্দরবান সফর কর্মসূচি প্রতিহত করতে  ‘জাগো পার্বত্যবাসী’ নামে সেটলারদের এই সংগঠনটি বান্দরবানে টানা ৭২ ঘন্টার হরতালের ডাক দেয়।  বুধবার সকাল হতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অবস্থান নেয় হরতাল সমর্থকরা। সকাল সাড়ে দশটার দিকে তারা বান্দরবান-চন্দ্রঘোনা সড়কে বালাঘাটার স্বর্ণমন্দির এলাকায় বড় পুলের পাটাতন তুলে নেয় এবং সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গাছে গুঁড়ি দিয়ে ব্যাড়িকেড দেয়।

এদিকে, দুপুর বারটায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ প্রহরায় সন্তু লারমা বান্দরবানে পৌঁছলে উত্তেজনা আরও ছড়িয়ে পড়ে। শহরের বালাঘাটায় সন্তু লারমা গাড়ি বহরের একটি খোলা জীপে ভাঙচুর করে হরতাল সমর্থকরা। এ সময় হরতাল সমর্থকদের সাথে জনসংহতি সমিতির কর্মী-সমর্থক ও স্থানীয় পাহাড়িদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ বাঁধে। এ ঘটনায় জনসংহতি সমিতির নেতা পুশৈথোয়াই মারমা(৩০), পরিমল চাকমা (৩১), স্বপন তঞ্চঙ্গ্যা (৩৪) ও মমতাজ (৪৫) নামে একজন পিকেটারসহ ছয়জন আহত হন। আহতদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ অংশৈপ্রু জানান, আহতদের মধ্যে পুশৈথোয়াই মারমা এর অবস্থা গুরুতর। পুলিশ এই ঘটনায়  হুমায়ুন নামে এক যুবকসহ উভয় পক্ষের চারজনকে আটক করেছে বলে জানিয়েছেন সদর থানার ওসি মো.ইমতিয়াজ আহম্মেদ।

এদিকে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে শহরের মোতায়েন করা হয়েছে বিজিবি, সেনাবাহিনী ও অতিরিক্ত পুলিশ। শহর এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

দুপুরে ট্রাফিক মোড় এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির ছবি তুলতে গেলে উত্তেজিত হরতাল সমর্থকরা  সাংবাদিক মংটিং মারমার ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে ভেঙে ফেলার পর পাহাড়ি সংবাদকর্মীদের উপর হামলা চালাতে চেষ্টা করে। নিরাপত্তার জন্য প্রেসক্লাবের ভেতরে  প্রবেশ করলে প্রেসক্লাবের ভেতরে একাত্তর টিভি ও প্রথম আলো পত্রিকার প্রতিনিধিসহ চারজন পাহাড়ি সংবাদকর্মীকে প্রায় দুই ঘন্টা ধরে অবরুদ্ধ করে রেখেছে হরতাল সমর্থকরা। পরে থানার ওসি (তদন্ত) মো.আমির হোসেন পুলিশের একটি দল নিয়ে তাদের উদ্ধার করে নিজ নিজ বাড়িতে পাঠানো হয়।

পুলিশ সুপার দেবদাস ভট্টাচার্য জানান, শহরে বাড়টি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিজিবি, সেনাবাহিনী ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
——————

সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More