মহালছড়িতে এক পাহাড়ি নারীকে সেটলার বাঙালি কর্তৃক ধর্ষণের চেষ্টা

0

মহালছড়ি(খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
সিএইচটিনিউজ.কম

খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার মধ্যম লেমুছড়ি গ্রামের বাসিন্দা মি. বিমল কান্তি তালুকদারের মেয়ে ইলা তালুকদার(২১) কে গত ১৮ অক্টোবর ২০১০ সোমবার রাত ৮টার সময় নিজ বাড়ির উঠানে সেটলার বাঙালি মো: জাহিদুল ইসলাম(২৪) পিতা-সাইফুল ইসলাম, গ্রাম– মধ্যম লেমুছড়ি জোরপূর্বক ধর্ষণের প্রচেষ্টা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় ইলা তালুকদার নিজ বাড়ির উঠানে বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। হঠা জাহিদুল ইসলাম কোথা থেকে এসে তাকে একা পেয়ে ঝাপটে ধরে এবং ধর্ষণের প্রচেষ্টা চালায়। এ সময় সে(ইলা) চিকার দিলে তার মা সাধনা চাকমা বাড়ির উঠানে বের হয়ে মেয়েকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে জাহিদুল ইসলাম তাকেও মারধর করতে থাকে। এরপর মা-মেয়ে উভয়ে চিকার দিতে থাকলে বিমল কান্তি তালুকদার ঘটনাস্থলে গিয়ে জাহিদুল ইসলামকে ধরে ফেলে।

পরে তিনি জাহিদুল ইসলামের অভিভাবক ও সেটলার সর্দারদের খবর দিয়ে ঘটনা সম্পর্কে অবগত করেন এবং জাহিদুল ইসলামকে সেটলার সর্দারদের হাতে তুলে দিয়ে তাদের কাছ থেকে সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। কিন্তু ধর্ষণ প্রচেষ্টাকারী জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে সেটলারদের পক্ষ থেকে কোন প্রকার শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ইলা তালুকদার মহালছড়ি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশও আজ পর্যন্ত জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় এলাকার জনমনে নানা সন্দেহ দেখা দিয়েছে।

উল্লেখ্য যে, এর আগেও গত ১৫ আগস্ট ২০১০ লেমুছড়ি হাইস্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী আশা চাকমা লেমুছড়ি গুচ্ছগ্রামের মো: হারুণ ও রহিমুদ্দিন কর্তৃক ধর্ষণ প্রচেষ্টার শিকার হন । এসময় বাঙালিদের প্রতিরোধ করতে গিয়ে তার একটি দাঁত ভেঙ্গে যায়। এ ঘটনায়ও ধর্ষণ প্রচেষ্টার মূল হোতাকে গ্রেফতারে পুলিশ কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে জানা যায়নি।

 

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More