হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও নারী সংঘের বিবৃতি

মহালছড়িতে পাহাড়ি নারীকে ধর্ষণের নিন্দা ও প্রতিবাদ

0

সিএইচটি নিউজ ডটকম
পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের সভাপতি সোনালী চাকমা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি নিরূপা চাকমা আজ ২০ ডিসেম্বর রোববার এক যুক্ত বিবৃতিতে খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার মাইসছড়ি ইউনিয়নে এক পাহাড়ি (ত্রিপুরা) নারীকে ধর্ষণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে দুই ধর্ষককে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবি জানিয়েছেন।

Bibrityবিবৃতিতে তারা বলেন, গত ১৯ ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে ৩টার সময় ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের ওই নারী মাইসছড়ি ইউনিয়নের রহন কার্বারী পাড়া থেকে হেঁটে মাইসছড়ি বাজারে যাছিল। যাবার পথে নির্জন স্থানে পৌছলে একা পেয়ে দুজন সেটলার বাঙালি তাকে ধরে জঙ্গলের ভেতর নিয়ে গিয়ে জোর পূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধস্তাধস্তি ও চিৎকার করেও সে নিজেকে রক্ষা করতে পারেনি। ধর্ষণের এক পর্যায়ে সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। ঠিক সেই সময়ে ঘটনাস্থলের পার্শ্ববর্তী রাস্তা দিয়ে বাজারে যাতায়াতকারী লোকজনের শব্দ শুনে ধর্ষণকারীরা পালিয়ে গেলে পরে তাকে উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে ওই নারীকে খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নেতৃদ্বয়, ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশের হাতে আটক মো: জয়নাল (৩০) ও মো: জামালকে (৩২) দ্রুত বিচার আদালতে দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদানের দাবি জানান।

বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে নারী নির্যাতন ধর্ষণসহ নারীর উপর যৌন সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা বলেন, গত ১৬ ডিসেম্বর কাপ্তাইয়ে এক স্কুল ছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। তারা বলেন, ৭১ সালের পাক হানাদার বাহিনী যেভাবে বাঙালি নারীদের উপর পাশবিক নির্যাতন, ধর্ষণ ও হত্যালীলা চালিয়েছিল, ঠিক একই কায়দায় বর্তমানে পাহাড়ি নারীদের উপর ধর্ষণসহ যৌন সন্ত্রাস চালানো হচ্ছে।

বিবৃতিতে তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে অঘোষিতভাবে সেনা শাসন জারি ও সেটলার পূনর্বাসনের কারণে নারীর নিরাপত্তা বিঘিœত হচ্ছে। তারা সেনা-সেটলার প্রত্যাহার করে পার্বত্য চট্টগ্রামে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান।
—————-

সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More