মানিকছড়ি থেকে বাঘাইছড়ি: ধর্ষক যখন বাঙালী, ধর্ষণ যখন জাতিগত নিধনের রাষ্ট্রীয় হাতিয়ার

0

সমারি চাকমা

OLYMPUS DIGITAL CAMERAমাত্র সপ্তাহখানেক আগে রাজধানীর ঢাকায় জাকজমকপূর্ণ পরিবেশে নানা আনুষ্ঠানিকতায় আর্ন্তজাতিক নারী দিবস, ২০১৪ পালিত হল। গুলশানে কর্পোরেট জগতের নারীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে গোলাপী ডিসকো হিল পরে মিছিল করেন। শাহবাগে ট্রাকের উপর বেগুনী গালিচা বিছিয়ে নারী দিবসে রানা প্লাজার ভবনধ্বসে নিহত-নিখোঁজ-ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের কথা এবং কল্পনা চাকমার সংগ্রামগাঁথা কেইস হিসেবে উপস্থাপিত হল। প্রান্তিক নারীদের এই টোকেনাইজড ইনক্লুসন দেখে কাঁদব না, হাসবো ভেবে পাই না। কল্পনা চাকমাকে বাংলাদেশের নারী আন্দোলনের নেত্রী হিসেবে নয় বরং, একজন প্রান্তিক অপহৃত নারীর কেইস হিসেবেই অর্ন্তভুক্ত হতে দেখি আর ভাবি, নারী আন্দোলনেরও কেন্দ্র এবং প্রান্ত আছে যেখানে প্রান্তিক এথনিক ভয়েসেস ইনক্লুডেড হয়!

এসব কথা থাক এখন।

মার্চ ৭, ২০১৪। আন্তর্জাতিক নারী দিবসের আগের দিন, একজন সতের বছর বয়সী পাহাড়ী নারী গোবামারা মানিকছড়িতে ধর্ষণের শিকার হন। ধর্ষণের শিকার নারীটি একজন গৃহ শ্রমিক। চট্টগ্রামে থেকে সে ছুটিতে বাড়ী ফিরছিল। কিন্তু তার গৃহকর্তা বাসে তুলে দেবার সময় বাসের ড্রাইভারকে বলে দিয়েছিল খাগড়াছড়ি নামিয়ে দিতে। তাই সে মানিকছড়ি নামতে পারেনি। আবার খাগড়াছড়ি থেকে মিনিবাসে করে মানিকছড়ি আসতে হল। মানিকছড়ি থেকে তাঁর গ্রাম বাটনাতলী ১০ কিলোমিটার মতন দূর হবে। মেয়েটি যে বাসে উঠেছিল সেটি ছিল রামগড়গামী। তাই বাস থেকে মেয়েটি জালিয়াপাড়াতে নামতে বাধ্য হয়। আর সেখান থেকে আবার একটা মানিকছড়ির বাসে উঠে, কিন্তু মেয়েটির কাছে বাসের পুরো ভাড়ার টাকা ছিল না। হেলপার তাকে গোবামারাতে নামিয়ে দেয়। গোবামারাতে বাঙালীদের কিছু দোকান আছে। মেয়েটি বাসের জন্য অপেক্ষা করছিল। একজন বাঙালী সেটলার, ভাড়ায় মোটর সাইকেল চালায়, সে মেয়েটির কাছে এসে বলে যে সে মানিকছড়ি যাচ্ছে, মেয়েটি তার সাথে যেতে পারবে। সরল বিশ্বাসে মেয়েটি তার সাথে যেতে রাজী হয়। কিন্তু গোবামারা থেকে কিছুদূর যাবার পর বাঙালীটি মোটর সাইকেল থামিয়ে বলল, তার মোটর সাইকেল খারাপ হয়েছে। এরপর সে মোবাইল করে তার দুই বন্ধুকে সেখানে আসতে বলে। সেই দুজন আসার পর পথের পাশের জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে মেয়েটিকে তারা ধর্ষণ করে। ধর্ষণকারী বাঙালী সেটলাররা তাকে অজ্ঞান অবন্থায় সেখানে ফেলে যায়। জ্ঞান ফিরে এলে মেয়েটি কোনমতে উঠে এসে স্থানীয় লোকদের জানালে লোকজন ধর্ষণকারীদের হাতে-নাতে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। প্রথমদিকে পুলিশ মামলা না নিয়ে, টাকা পয়সার মাধ্যমে বিষয়টিকে সেটেল করার চেষ্টা করে, পরে মেয়েটির অভিভাবক এবং পাহাড়ি নেতৃস্থানীয় ব্যাক্তিদের চাপের মুখে পুলিশ মামলা নিতে বাধ্য হয়।

৮ই মার্চ দিনটিকে ঘিরে পার্বত্য চট্টগ্রামে উৎসব আয়োজনের তেমন সুযোগ ছিল না। খাগড়াছড়িতে আমরা পাহাড়ি নারীরা এই দিনটি পালন করছি অত্যন্ত শংকা আর ভয়ের সাথে। এই মুহুর্তে পার্বত্য চট্টগ্রাম হচ্ছে ধর্ষকদের স্বর্গরাজ্য। প্রতিটি মুর্হুতে কোথাও না কোথাও ধর্ষণের শিকার হচ্ছে পাহাড়ি নারীরা, কিশোরীরা এমনকি শিশুরাও বাদ পড়ছে না। আর এই ‘ধর্ষণ’ খুবই রাজনৈতিক। পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিবাসী পাহাড়ি জাতিসত্তাগুলোকে নিপীড়নের আরো একটা হাতিয়ার হিসাবে ‘ধর্ষণ’কে ব্যবহার করছে রাষ্ট্র। রাষ্ট্র তার প্রশাসনিক সকল যন্ত্রের সাহায্যে ধর্ষকদের বাচাঁতে কোন ক্রটি রাখছেনা। কারণ, পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য মতে ধর্ষকরা সকলে বাঙালী। আর আমাদের এই ‘বাংলাদেশ’ নামক রাষ্ট্রও যেন শুধুমাত্র ‘বাঙালীদের’।

হিল উইমেন্স ফেডারেশন এবং সিএইচটি নিউজ তথ্যানুসারে, ২০১৩ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি নারী, কিশোরী এবং শিশু ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ১৭টি। এদের মধ্যে ধর্ষণের শিকার হন ৮ জন, ধর্ষণের প্রচেষ্টার শিকার হয়েছেন ৭ জন। ধর্ষণের পর একজনকে হত্যা করা হয়েছে। মাটিরাংগায় একজন নির্যাতিত হবার পর আতœহত্যা করেছে। শুধু তাই নয় ৫ জন বাঙালী নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। তারমধ্যে একজন শিশু বলে জানা যায়। তথ্য মতে, ধর্ষণকারী সকলেই বাঙালী।

এইতো গেল ২০১৩ সালের চিত্র। আর্ন্তজাতিক নারী দিবস উদযাপনে যখন চলছে চারদিকে, তখন আরও একটা হিসেব আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাই। আপনি কি জানেন, ২০১৪ সালের মাত্র আড়াই মাসে পার্বত্য চট্টগ্রামে কতগুলো ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে? সিএইচটি নিউজ এবং হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সংগৃহীত তথ্যমতে, পার্বত্য চট্টগ্রামে এই দুই মাসে ৬ টি ধর্ষণের এবং ১ টি ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। একজন পাহাড়ি কিশোরীকে যৌন নিপীড়ন করার অভিযোগে মাদ্রাসার এক শিক্ষককে উপস্থিত লোকজন উত্তম মধ্যম দেন। আর ঐ কিশোরীর মা থানায় মামলা করতে গেলে ওসি মামলা না নিয়ে গোলাবাড়ির ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারমেনকে ডেকে মীমাংসা করান। মাদ্রাসার হুজুর কিশোরীটির কাছ মাপ চাইলে আর মামলা হয়নি। ইতিমধ্যে বাঘাইছড়িতে আমাদের নিরাপত্তার নামে নিয়োজিত সেনাবাহিনীর একজন সদস্য একজন পাহাড়ি নারীকে নিজ বাড়ীতে ধর্ষণের চেষ্টা করেছেন। আর পানছড়িতে একজন বাঙালী নারী, বাঙালী পুরুষ কর্তৃক গণ-ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।

এই বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে খাগড়াছড়ি জেলায় পরপর দুটো ধর্ষণ আর ধর্ষণের পর একটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। এই মাসের প্রথম ঘটনাটি ঘটে গত ১৫ ফেব্রুয়ারী তারিখে। খাগড়াছড়ি কমলছড়িতে সবিতা চাকমা নামে এক পাহাড়ি গৃহবধুকে ধর্ষণের পর গলা টিপে হত্যা করে দুবৃত্তরা। সবিতা চাকমার স্বামী এবং গ্রাম বাসীর অভিযোগ করেন বালু ট্রাক বাহিত এক বাঙালী ড্রাইভার আর তার হেলপার সবিতা চাকমাকে একা পেয়ে ধর্ষণ করার পর গলা টিপে হত্যা করেছে। এই অভিযোগের ভিত্তি কি? যে সময় ও স্থানে, সবিতা চাকমাকে শেষবার দেখা গেছে সেখানে বালু বাহিত ট্রাক খারাপ হয়েছিল। সবিতা চাকমার মৃতদেহে, হাতে ও শরীরের নানা অংশে ট্রাকে ব্যবহৃত মোবিল তেল পাওয়া গিয়েছিল। ঘটনার ২ দিন পর সবিতা চাকমার স্বামী মামলা দায়ের করেন। কিন্তু মামলা হবার প্রায় একমাস হতে যাচ্ছে, অথচ আজও পুলিশ, প্রশাসন সেই বাঙালী ট্রাক ড্রাইভার নাসিম আর তার হেলপারদ্বয় নেজাম ও নজরুলকে গ্রেফতার করতে পারেনি। বরং তাদের বাঁচাতে প্রশাসনের একটা মহল ভীষণ তৎপর। ঐ এলাকার পরিস্থিতি খারাপ করা হয়েছে, সেটলার বাঙালীদের লেলিয়ে দেয়া হয়েছে পাহাড়ি গ্রামে হামলা করবার জন্য। সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে এই হামলা চালানো হয়। এই হামলায় আহতরা এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নিরাপত্তার অভাবে পাহাড়ি গ্রামবাসীরা আজ পর্যন্ত গ্রামছাড়া।

দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে ২৫ তারিখ। মাটিরাংগা থানায় মাস্টার পাড়া গ্রামে নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক পাহাড়ি স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে দুই বাঙালী সেটলার তারুমিয়া (৪০) আব্দুল খালেক (৪০)। ধর্ষক তারুমিয়ার কন্যা নির্যাতিত পাহাড়ি মেয়েটির সহপাঠী। ঐ নির্যাতিত স্কুল ছাত্রী ও তার মায়ের সংগে কথা বলে জানা যায়, পাহাড়ি মেয়েটি জেঠিমার বাড়ীতে থেকে খাগড়াছড়ির একটি স্কুলে পড়াশুনা করে। স্কুল ছুটি থাকায় মেয়েটি নিজ গ্রামে ছুটি কাটাতে গিয়েছিল। যেদিন সে নির্যাতিত হয় তারপরের দিনে তার খাগড়াছড়িতে ফেরার কথা ছিল। তাই সেদিন সে কাকাত বোনকে সাথে নিয়ে গ্রাম সংলগ্ন বনে যায় তরিতরকারী সংগ্রহ করতে। এসময় তাদেরকে একা পেয়ে তারুমিয়া মুখ চেপে ধরলে ছোট বোনটি পালিয়ে যায়। গ্রামে গিয়ে সকলকে জানায়। তারুমিয়া মেয়েটিকে ধর্ষণ করে, আব্দুল খালেক পাশে ছিল। এরই মধ্যে গ্রামের লোকজন ঘটনাস্থলে আসলে তারুমিয়া ও তার সহযোগী আব্দুল খালেক পালিয়ে যায়। স্কুল ছাত্রীকে লোকজন উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠায়। এবং, মেয়েটির মা সেদিনই মাটিরাংগা থানায় একটি মামলা দায়ের করে। হাসপাতালে ৩ দিন চিকিৎসা শেষে ২২ ধারায় জবানবন্দি নেবার জন্য মেয়েটিকে কোর্টে আনা হয় । মেয়েটি জানায়, সে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে জবানবন্দিতে ধর্ষকদের নাম স্পষ্ট বলেছে। মামলাটি বর্তমানে খাগড়াছড়ি কোর্টে বিচারাধীন। কিন্তু খুবই দুঃখের বিষয় মেডিকেল রির্পোটে ধর্ষণের ঘটনা নেগেটিভ বলে জানানো হয়েছে।

পাহাড়ের সংঘটিত প্রত্যেকটি ধর্ষণের ঘটনার মেডিকেল রির্পোট নেগেটিভ বলে রির্পোট দেয়া হয়। ধর্ষণ ঘটেনি। এই ব্যাপারে খোঁজ নিতে একজন এনজিও কর্মীর সাথে আমি কথা বলি। তার ভাষ্য, মেডিকেল রির্পোট কেন নেগেটিভ আসে জানতে চাইলে নাম না প্রকাশ করার শর্তে এক ডাক্তার জানিয়েছেন, যখনই কোন ধর্ষণের সংবাদ আসে তখন থেকেই প্রশাসনের উচ্চ মহল থেকে ফোন আর প্রতিনিধি পাঠিয়ে ডাক্তারদের জানানো হয়, এই সব ধর্ষণের মেডিকেল রির্পোট যেন পজেটিভ না আসে। কারণ হিসাবে তাদেরকে বলা হয়, যদি রির্পোট পজেটিভ আসে তাহলে পাহাড়ি-বাঙালী সর্ম্পক খারাপ হবে। সাম্প্রদায়িক হানাহানি হবে। তাই ধষর্ণ ঘটলেও, ডাক্তারের কাজ হল সেটা অস্বীকার নেগেটিভ রিপোর্ট দেয়া – ‘ধর্ষণ এর আলামত পাওয়া যায়নি।’

ধর্ষণ, যৌন সহিংসতা সারা বাংলাদেশের নারীর বাস্তবতা। তাহলে, কেন পাহাড়ী-সমতলের এ্যাকিটভিস্টরা এই অঞ্চলে ধর্ষণকে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জুম্ম জাতি নিধনের হাতিয়ার হিসেবে দেখছে? আসলে, পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘটিত ধর্ষণকে এই অঞ্চলের রাজনৈতিক-ইতিহাস থেকে বিচ্ছিন্নভাবে বোঝা যায় না। সাম্প্রতিক সময়ে পাহাড়ী নারী ধর্ষণের হার উল্লেখযোগ্য এবং আশংখাজনক হারে বেড়ে গিয়েছে, তবে ধর্ষণ এই অঞ্চলে জুম্ম জাতিকে অনুশাসনের হাতিয়ার হিসেবে নতুন নয়। আমাদের জাতিগত আত্মপরিচয়, স্বায়ত্ত্বশাসন আদায়ের সংগ্রামের শুরু, মানে সেই ’৮০র দশক থেকেই ধর্ষণকে সামরিক ও বেসামরিক বাঙালী পুরুষ/প্রশাসন/রাষ্ট্র হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে এসেছে। আমি সহ পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল পাহাড়ি নারীরা বড় হয়েছি-হচ্ছি প্রতিনিয়ত ধর্ষিত হওয়া এবং এরপরে খুন হওয়ার শংকার পাথর-ভার বুকে নিয়ে। অথচ নিজেদের পরিবারে বা সমাজে আমাদের এই শংকার মধ্যে দিন কাটাতে হয়না।

আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের নারীর কাছে এই শংকা অচেনা নয়। অন্তত, ’৭১ বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধের সময়টা যাঁরা, যে সকল নারীরা দেখেছেন তাদের জন্যতো নয়ই, কারণ তাঁরা নয়টি মাস তিল-তিল করে বেঁচে ছিলেন যে কোনও মুহূর্তে ধর্ষিত হওয়ার আতঙ্ক নিয়ে। স্বাধীন বাংলাদেশে পাহাড়ী নারীদের জন্য এ বাস্তবতা কেবল ৯ মাস, ৯ বছরের নয়। দুই যুগেরও অধিককাল ধরে আমরা ধর্ষণ, যৌন নিপীড়নের খড়গ মাথায় নিয়ে বেচেঁ আছি, ঢাল-তলোয়ার ছাড়া প্রতিটি মুহুর্ত যুদ্ধ করছি। কখনও পাহাড়ী পরিবারকে আদি-ভূমি থেকে উৎখাতের জন্য সেই ভূমিতে বসবাসকারী পাহাড়ী নারীকে ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষণের পর খুন করে ফেলার নজিরও আছে। আমরা বড়ডলু গ্রাম, কাউখালী উপজেলা রাঙামাটি তুমাচিং এর কথা ভুলে যায়নি। আবার, পাহাড়ী নারীর প্রতিবাদী কণ্ঠকে রুদ্ধ করার জন্য তাদের নাম-তালিকা প্রস্তুত করে, পরোক্ষভাবে জানান দেয়া, যদি বেশী কথা বল, তার পরিণতি ভাল হবে না।

খাগড়াছড়ির একজন নারী আইনজীবি হিসেবে আমার আজকাল মনে হয়, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের পিতৃতান্ত্রিক ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য পাহাড়ী-সমতলের নারীর অভিজ্ঞতার ভিন্নতাকে এ্যাকোমোডেট করাই যথেষ্ট নয়। আমাদের, মানে বাংলাদেশের নারী আন্দোলনের কর্মীদের, সমতল বা পাহাড়ে, যেখানেই থাকি না কেন, এই রাষ্ট্রের পিতৃতান্ত্রিক চেহারা এবং জাতিগত পরিচয়কে চিনে নিতে হবে, বুঝে নিতে হবে। কাজটা কঠিন। কিন্ত ক্ষমতাধরের হাতিয়ারকে চিনে নিলেই কেবল সেই হাতিয়ার ভেঙ্গে ফেলার কৌশল, পথ পাওয়া যায়।

সৌজন্যে: ঠোঁটকাটা ডট নেট

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More