রামুতে মহাসড়কসহ উপসড়ক গুলো অবরুদ্ধ : ৩০ বৌদ্ধ বিহারে বিশেষ নিরাপত্তা জোরদার
রামু প্রতিনিধি, সিএইচটিনিউজ.কম
মানবতাবিরোধী অপরাধে আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকর করার পর বৃহস্পতিবার মধ্য রাত থেকে কক্সবাজারের রামুতে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা মহাসড়কসহ ৫টি সড়কে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন নাশকতা কর্মকান্ড সংগঠিত করেছে। আজ শুক্রবারও সারাদিন একই পরিস্থিতি বিরাজ করছে। জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা রাস্তায় নেমে প্রকাশ্য বিক্ষোভ প্রদর্শন করে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক ও রামু-নাইক্ষ্যংছড়ি সড়কসহ উপসড়কগুলোর বিভিন্ন স্থানে ব্রীজের পাটাতন উপড়ে ফেলে, সড়কে বিদ্যুৎ খুঁটি ও গাছ ফেলে মহাসড়কে চলাচল বন্ধ করে দেয়।
এদিকে কক্সবাজারের সাথে সারাদেশের যোগাযোগ বন্ধ থাকায় জ্বালানী তেল, মুরগীর খাদ্য, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সংকট বাড়ছে এবং কক্সবাজার শহরে ও রামুতে কোনো জাতীয় পত্রিকা আসেনি বলে জানিয়েছেন সংবাদপত্র এজেন্টরা। জামায়াত শিবিরের কর্মীরা রামু মরিচ্যা বাজার সংলগ্ন এলাকার লাল ব্রীজের পাটাতন তুলে চলাচল বিচিছন্ন করে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রামু উপজেলার মিঠাছড়ি ও তেচ্ছিপুল এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার চেষ্টা চালায় এবং রামু রাবার বাগান এলাকায় একটি টেক্সিতে আগুন দেওয়া হয়। এতে টেক্সি চালক আহত হয়। অন্যদিকে নাশকতা এড়াতে রামু নতুন নির্মিত ১২টিসহ ৩০টি বৌদ্ধ বিহার, হিন্দু ও বৌদ্ধ পল্লীগুলোতে আইন শৃংখলা বাহিনীর বিশেষ নিরাপত্তা বাড়ানো হয়।
রামু থানার ওসি অপ্পেলা রাজু নাহা জানান, নাশকতা এড়াতে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।