রামু ও রাঙামাটি হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের বিক্ষোভ
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
সিএইচটিনিউজ.কম
কক্সবাজারের রামু-টেকনাফ-উখিয়া, চট্টগ্রামের পটিয়া ও পার্বত্য চট্টগামের রাঙামাটিতে জাতিগত ও ধর্মীয় বিদ্বেষপ্রসূত হামলা-অগ্নিসংযোগ-লুটপাটের প্রতিবাদে আজ ১২ অক্টোবর শুক্রবার চট্টগ্রামে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। চট্টগ্রামেরদোস্তবিল্ডিং চত্বর থেকে বিকালে মিছিলটি শুরু হয়ে কোতোয়ালী হয়ে ডিসি হিলহয়ে জামালখান প্রেসক্লাবে এসে এই মিছিলটি শেষ হয়।মিছিলের পর সমাবেশঅনুষ্ঠিত হয়।এতে বক্তব্য রাখেন পিসিপি কেন্দ্রীয় কমিটিরসভাপতি সুমেন চাকমা, পাহড়ি ছাত্র পরিষদের চট্টগ্রামবিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি শিমোন চাকমা ওহিল উইমেন্স ফেডারেশনের নেত্রীএচিং মারমা।সংহতি জানিয়ে আরো বক্তব্য রাখেন ত্রিরত্ন সংঘের সভাপিত অভি বড়ুয়া ও সাধারণসম্পাদক কনক বড়ুয়া।এছাড়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েরপ্রাচ্য ভাষা বিভাগের শিক্ষক ড. জীনবোধি ভিক্ষুও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে জীন বোধি ভিক্ষু বলেন, পার্বত্যচট্টগ্রামর জনগণ একসময় চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করেছিল।কিন্তুতারা এই অঞ্চল থেকে বিতাড়িত হয়েছিল।আজ যখন তারা পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকরছে তখন তাদেরকে আবার উচ্ছেদ করার চেষ্টাচলছে।তাই বাধ্য হয়ে তারা আজপেছন ঘূরে প্রতিরোধ করছে।নিজের বাড়ি বা জায়গায় থেকে কাউকে আক্রমণ করতেআসলে তার বিপরীতে প্রতিরোধ করাটা তো অন্যায়ের কিছু্ নেই। রামু ঘটনা উল্লেখকরে তিনি এই ধরনের ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেন।
পিসিপি কেন্দ্রীয় সভাপতিসুমেন চাকমা বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম বিধান এবং বাঙালীব্যতীত অন্য জাতিকে স্বীকৃতি না দেয়ার কারণেই আজ সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীহামলার সাহস পাচ্ছে।এজন্য আওয়ামীলীগ সরকারই দায়ী।
এছাড়া তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে কোনো হামলা হলেই চট্টগ্রামেও পার্বত্য জুম্ম জনগণেরউপর হামলা করা হয়ে থাকে।এই হামলা যাতে না হয় তার ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তিনিপ্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।