লামার ফাঁসিয়াখালীতে ৩টি পাহাড়ি পাড়ায় ৬৩ পরিবার উচ্ছেদ!

0

সিএইচটিনিউজ.কম

মংবিচর বাচিং মারমা পাড়া। ছবি: উ শে থোয়াই মারমা ফেসবুক স্ট্যাটাসের সৌজন্যে
ছবি: মংবিচর বাচিং মারমা পাড়া থেকে তোলা। উ শে থোয়াই মারমার ফেসবুক স্ট্যাটাসের সৌজন্যে

বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাসিয়াখালী এলাকায় ঢাকার রাজারবাগ মুহাম্মদিয়া জামেয়া শরীফের রাবার ট্রি প্লান্টেশন প্রকল্পের আওতায় ভূমি বেদখলের কারণে ৩টি পাহাড়ি পাড়া থেকে ৬৩ পরিবার উচ্ছেদের শিকার হয়েছে। উ শে থোয়াই মারমার সচিত্র ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

উচ্ছেদকৃত পরিবারগুলোর মধ্যে মংবিচর বাচিং মারমা পাড়া থেকে ২৯ পরিবার, চারিগ্যা ত্রিপুরা পাড়া থেকে ১৭ পরিবার ও আমতলি ম্রো পাড়া থেকে ১৭ পরিবার রয়েছে। এছাড়া আরো বেশ কটি ম্রো পাড়া উচ্ছেদের আতঙ্কে রয়েছে।

উ শে থোয়াই মারমা তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন, এইসব গ্রামে একসময় মানুষের কর্মচাঞ্চল্য ছিল, ছিল সামাজিক ও ধর্মীয় উৎসবের আমেজ। নববর্ষে উদযাপন হত সাংগ্রাইং উৎসব আর ওয়াগ্যোয়াই পোয়ে বা প্রবারণা পূর্ণিমায় রঙ-বেরঙের ফানুসে ঢেকে যেত রাতের আকাশ। সবুজ পাহাড় জুড়ে বাতাসে ছিল জুম ফসলের গন্ধ। আর এখন জনমানবহীন এক জনপথ। ওরা উচ্ছেদ হয়েছে, ওরা ভয়ে পালিয়েছে, ওরা বার্মায় আশ্রয় নিয়েছে।

তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, সমাজ, দেশ, সংস্কৃতি, মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িকতা নিয়ে কত কথা বলা হয়। এই ছাপান্ন হাজার বর্গকিলোমিটার সবুজের দেশ নিয়ে গর্বেরও যেন শেষ নেই। কিন্তু গর্বিত এই স্বাধীন দেশে যে নাগরিকরা উচ্ছেদ হয়ে, দেশ ছেড়ে বাংলার সীমান্ত পাড়ি দিয়েছে- তারা কি ফিরে আসতে পারবে কখনো? সবসময় তো শুনি- পাহাড় উন্নয়নে রাষ্ট্র ও সরকারে কত আয়োজন, পাহাড়ে কত আইন, কত নিয়ম-নীতি, কত প্রশাসন, কত পরিষদ, কত মন্ত্রণালয় আরো কত কি। কিন্তু এই উচ্ছেদের জবাব কে দেবে?
————–

সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More