সেনাবাহিনী কর্তৃক লংগদুতে বৌদ্ধ ধর্মীয় কুটির ভাংচুর ও কুদুকছড়িতে ধর্মীয় অনুষ্ঠান ভণ্ডুলের অভিযোগ

0

রাঙামাটি : সেনাবাহিনী কর্তৃক রাঙামাটির লংগদুতে একটি বৌদ্ধ ধর্মীয় কুটির ভাংচুর, জোরপূর্বক বাগানের গাছ কেটে দেওয়া এবং সদর উপজেলার কুদুকছড়িতে একটি পারিবারিক ধর্মীয় অনুষ্ঠান ভণ্ডুল করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

5819বিলম্বে পাওয়া খবরে এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ মে বুধবার নান্যাচর ও লংগদু সেনা জোন থেকে দু’টি সেনাদল নান্যাচর ও লংগদু উপজেলার সীমান্তবর্তী বড় কালো পাহাড়ে (ডাকঘর মোন ও থলচাপ মোন) অপারেশনে যায়। নান্যাচর থেকে যাওয়া টিম ডাকঘর মোন এবং লংগদু থেকে যাওয়া দলটি থলচাপ মোন এলাকায় দিনে ও রাতে অবস্থান করে মোন এলাকায় খেটে খাওয়া সাধারণ পাহাড়িদের মনে আতঙ্ক ও ভয়ভীতি সৃষ্টির চেষ্টা চালায়।

পরদিন ১৭ মে লংগদু থেকে যাওয়া সেনা দলটি থলচাপের অরন্যে বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরুদের (ভান্তে) নিরিবিলিতে ধ্যান-সাধনা করার জন্য নির্মিত থলচাপ অরণ্য কুটিরে গিয়ে ভান্তেদের অনুপস্থিতিতে কুটিরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এবং বুদ্ধ আসনসহ কুটিরের জিনিসপত্র ভেঙে দেয়।

এছাড়া নান্যাচর জোন থেকে যাওয়া সেনা দলটি গতকাল ১৯ মে সাবেক্ষ্যং ইউনিয়নের গবছড়ি গ্রামের বাসিন্দা সাধন কুমার চাকমার বাগানের প্রায় ৩০-৩৫টি সেগুন গাছ জোরপূর্বকভাবে কর্তন করে বাগানের মধ্যে লাল পতাকা উড়িয়ে অবস্থান করে। আর্থিকভাবে ক্ষতি করার প্রয়াসেই সেনারা তার সেগুন গাছগুলো কেটে দিয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত সাধন কুমার চাকমা অভিযোগ করেছেন। তিনি এর যথাযথ ক্ষতিপূরণেরও দাবি জানিয়েছেন।

এদিকে, বিলম্বে পাওয়া অপর এক খবরে জানা গেছে, গত ১৪ মে সকাল আনুমানিক ১০.৩০ টার দিকে নান্যাচর জোন থেকে মেজর জাকিরের নেতৃত্বে ২৫-৩০ জনের একটি সেনাদল রাঙামাটি সদর উপেজলার কুদুকছড়ি উপর পাড়ায় হানা দেয়। সেনারা অর্কিড চাকমা নামে ইউপিডিএফ সদস্যকে খোঁজার কথা বলে উক্ত এলাকার জনৈক গ্রামবাসীর ব্যক্তিগত উদ্যোগে আয়োজিত ধর্মীয় অনুষ্ঠান (সংঘদান ও অষ্টপরিস্কার দান) চলাকালে বাড়ি ঘেরাও করে অনুষ্ঠান ভণ্ডুল করে দেয়। এছাড়া সেনারা কুদুকছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান কানন চাকমার বাড়িসহ আশেপাশের কয়েকটি বাড়িও ঘেরাও করে এবং প্রায় ঘন্টা দেড়েক বাড়িগুলোর চতুর্পাশে অবস্থান নিয়ে অনুষ্ঠানে আগত ব্যক্তিগণসহ যাকে সামনে পেয়েছে তাদের নাম ও ঠিকানা নোটবুকে লিপিবদ্ধ করে নিয়ে যায়।
——————–
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More