সাজেক নারী সমাজের সভাপতি নিরূপা চাকমা ও সাজেক ভূমি রক্ষা কমিটির সভাপতি জ্ঞানেন্দু চাকমা আজ ২১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার এক যুক্ত বিবৃতিতে নবগঠিত সাজেক থানায় নেতা-কর্মীদের নামে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দায়েরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।বিবৃতিতে তারা বলেন, সাজেক এলাকাবাসীর ভূমি রক্ষা আন্দোলনকে দমন করতে সরকার নারী সমাজ ও ভূমি রক্ষা কমিটির নেতৃবৃন্দের নামে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। সেনা শাসনের মাধ্যমে খবরদারি করার সুযোগ না পেয়ে সরকার বর্তমানে থানা স্থাপন করে সাজেক এলাকার জুম্ম জনগণের ভূমি রক্ষার আন্দোলনকে দমনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এজন্য তড়িঘড়ি করে মাচলঙ পুলিশ ফাঁড়িকে থানায় উন্নীত করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দিয়ে উদ্বোধন করা হয়েছে বলে নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন।
নেতৃবৃন্দ সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, নেতা-কর্মীদের নামে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করে সাজেকবাসীর ভূমি রক্ষা আন্দোলনকে কিছুতেই দমন করা যাবে না। যতই আন্দোলন দমনের চেষ্টা করা হবে ততই এ আন্দোলন আরো বেশি জোরদার হবে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে নেতা-কর্মীদের নামে দায়েরকৃত হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা না হলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেন।
উল্লেখ্য, গত ১২ নভেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর সাজেক ইউনিয়নের মাচলঙ পুলিশ ফাঁড়িকে সাজেক থানা হিসেবে উদ্বোধন করেন। এর আগে ৩ অক্টোবর সাজেক ইউনিয়নের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিসহ এলাকাবাসী সাজেক এলাকা থেকে থানা প্রত্যাহারের দাবিতে রাঙামাটি পুলিশ সুপারের বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করে। এছাড়াও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থানা উদ্বোধন করতে আসলে এলাকাবাসী স্বতঃস্ফুর্তভাবে থানা উদ্বোধন অনুষ্ঠান বর্জন করে এবং থানা প্রত্যাহার সহ বিভিন্ন দাবিতে মানবন্ধন কর্মসূচি পালন করে। এ প্রতিবাদের পরপরই ১৬ নভেম্বর সাজেক নারী সমাজের সভাপতি নিরূপা চাকমা, জ্যোৎস্না রাণী চাকমা, সাজেক ভূমি রক্ষা কমিটির জ্যোতিলাল চাকমা সহ ১৭ জনের নামে সাজেক থানায় মামলা দায়ের করা হয়।