‘৯৩’র গণহত্যার স্মরণে নান্যাচরে আলোচনা সভা
নান্যাচর : ‘৯৩ সালে সংঘটিত গণহত্যার স্মরণে নান্যাচর উপজেলার ভাঙামুড়ো, শনখোলা পাড়া ও পাতাছড়িতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ভাঙামুড়ো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি)-এর নান্যাচর থানা শাখার সভাপতি জয়ন্ত চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ইউপিডিএফ’র নান্যাচর উপজেলা সংগঠক অটল চাকমা, পিসপি’র রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি কুনেন্টু চাকমা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি কুহেলি চাকমা।
সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৯৩ সালে ১৭ নভেম্বর সংঘটিত নান্যাচর গণহত্যায় রাষ্ট্রীয় সেনাবাহিনী সরাসরি জড়িত ছিল। তাদের নেতৃত্বেই সেটলার বাঙালিরা বাজারে আসা নিরীহ পাহাড়িদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে এবং বর্বর হত্যাযজ্ঞ চালায়। এই হত্যাযজ্ঞের আজ দুই যুগ অতিবাহিত হলেও সরকার আজো এই হত্যাকাণ্ডের শ্বেতপত্র প্রকাশ ও বিচার করেনি।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্থিতিশীল রাখতে এখানে নিয়োজিত সেনাবাহিনীর কায়েমী স্বার্থবাদী অংশটি নানাভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে মুখোশ ও বোরকা বাহিনীর ন্যায় তপন জ্যোতি ও জলেয়্যা চাকমাকে দিয়ে আবরো একটি সন্ত্রাসী বাহিনী (নব্য মুখোশ) মাঠে নামিয়ে দিয়েছে। যারা বর্তমানে নান্যাচরে সেনা প্রহরায় সশস্ত্রভাবে অবস্থান করে জনগণকে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। সেনাবাহিনী তাদের ২৪ ঘন্টা পাহারা দিয়ে নিরাপত্তা দিয়ে রেখেছে।
বক্তারা নান্যাচর গণহত্যাসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘটিত সকল গণহত্যার বিচার, পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনাবাহিনী প্রত্যাহারপূর্বক সেনাশাসনের অবসান ও অবিলম্বে নতুন সৃষ্ট সন্ত্রাসী বাহিনীকে ভেঙে দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
—————-
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।