অন্যায় ধরপাকড় ও ভূমি বেদখলের বিরুদ্ধে খাগড়াছড়িতে পিসিপি-যুব ফোরামের প্রতিবাদ সমাবেশ

0

সিএইচটি নিউজ ডটকম
Khagrachari photo1খাগড়াছড়ি: “পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দমনমূলক ফ্যাসিবাদী ১১ নির্দেশনা রুখে দাও” এই আহ্বানে পার্বত্য চট্টগ্রামে অন্যায় ধরপাকড়, নির্যাতন ও ভূমি বেদখলের বিরুদ্ধে আজ ০৯ আগস্ট ২০১৫ রবিবার সকালে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলাধীন শিবমন্দির এলাকায় বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি), গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সমাবেশে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার  সাংগঠনিক সম্পাদক রতনস্মৃতি চাকমার সভাপতিত্বে ও অর্থ সম্পাদক সুনীল ত্রিপুরার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের জেলা শাখার সদস্য পলাশ চাকমা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক দ্বিতীয়া চাকমা।

বক্তারা বলেন, সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দমনমুলক ১১ নির্দেশনা জারির পর থেকে খাগড়াছড়ি সহ পার্বত্য চট্টগ্রামে ইউপিডিএফ ও তার সহযোগী সংগঠন ও সাধারণ জনগণের উপর দমন-পীড়ন, অন্যায় ধরপাকড়, মিথ্যা মামলা, হয়রানির ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। সেনাবাহিনীকে দিয়ে প্রতিনিয়ত কোথাও না কোথাও সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের গ্রেপ্তার   করে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, গণতান্ত্রিক মিছিল-মিটিং ও সভা-সমাবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। এটা সরকারের চরম ফ্যাসিবাদী আচরণ ছাড়া আর কিছুই নয়।

বক্তারা আরো বলেন, দমন-পীড়ন ছাড়াও সম্প্রতি সেনাবাহিনীর সহায়তায় সেটলার বাঙালি কর্তৃক মানিকছড়ি ও রামগড়ে পাহাড়িদের জায়গা-জমি জোরপূর্বক বেদখল করা হচ্ছে। যার কারণে পাহাড়িরা নিজ বসতভিটা ও জায়গা-জমি থেকে  উচ্ছেদের আশঙ্কায় দিনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন। অন্যদিকে, দীঘিনালার যতœ কুমার ও শশী মোহন কার্বারী পাড়া থেকে বিজিবি কর্তৃক উচ্ছেদকৃত ২১ পরিবার পাহাড়িদের এখনো তাদের জমি ফিরিয়ে দেয়া হয়নি। তারা বর্তমানে মানবেতর জীবন-যাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন বলে বক্তারা উল্লেখ করেন।

সমাবেশ থেকে বক্তারা অবিলম্বে অন্যায় ধরপাকড়, নিপীড়ন-নির্যাতন, হয়রানি ও ভূমি বেদখল বন্ধ করা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দমনমূলক ১১ নির্দেশনা বাতিল এবং মিছিল-মিটিং, সভা-সমাবেশে বাধা প্রদান বন্ধ করে পূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানান।
———————

সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More