আগামী ১৪ মে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি জেলায় অর্ধ দিবস সড়ক ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের
আজ ১২ মে রবিবার পিসিপি নেতা-কর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ থেকে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের নেতৃবৃন্দ এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে সকাল ১১টায় একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে মহাজন পাড়ার সূর্য্য শিখা ক্লাবের সামনে থেকে ঘুরে এসে চেঙ্গী স্কোয়ারে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি উমেশ চাকমার সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুমেন চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি নিকোলাস চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশন খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মিশুক চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ(এম এন লারমা) জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শান্ত চাকমা এবং পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি সরকারী কলেজ শাখার সভাপতি সুভাষ চাকমা। সমাবেশ পরিচালনা করেন খাগড়াছড়ি জেলা শাখার পিসিপি’র সাধারণ সম্পাদক বিপুল চাকমা।
সমাবেশে পিসিপি’র কেন্দ্রীয় সভাপতি সুমেন চাকমা বলেন, গতরাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্তু লারমার লেলিয়ে দেয়া দুই নাম্বারী নামধারী সন্ত্রাসী কর্তৃক পিসিপি নেতা-কর্মীদের উপর যে হামলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ পূর্বপরিকল্পিত। এসময় পিসিপি’র ৬ জন নেতা-কর্মী সংগঠনের দুই যুগপূর্তি উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ক্যাম্পাসে পোষ্টারিং-এ ব্যস্ত ছিলেন। সন্ত্রাসীদের হামলায় সিমন চাকমা, তরম্নন চাকমা, রুবেল চাকমা, সুকান্ত চাকমা মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে গুরুতর আহত হন। এছাড়া আরো দু’জন শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত পান। অনিল মারমার নেতৃত্বে ১০-১২জন দুই নাম্বারী নামধারী সন্ত্রাসী ক্যাম্পাসের পুলিশ বক্সের সামনে এ হামলা চালায়। হামলার সময় সন্ত্রাসীদের সাথে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মীও ছিলেন। এ সময় পুলিশ উপস্থিত থাকলেও নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। আহতরা বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সুমেন চাকমা আরো বলেন উক্ত ঘটনা পার্বত্য চট্টগ্রামের সংঘাতকে আরো উস্কানি দেবে। সন্তু লারমার লেলিয়ে দেয়া দুই নাম্বারী নামধারী সন্ত্রাসীরা পিসিপি নেতাকর্মীদের সাথে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে না পেরে ছাত্রলীগ এবং প্রশাসনের প্রত্যÿ সহায়তায় পেশীশক্তি প্রয়োগ করছে।
সমাবেশে অন্যান্য বক্তারা হুঁশিয়ারী উচ্চারণকরে বলেন, যদি হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দেয়া না হয় তাহলে আগামীতে পার্বত্য চট্টগ্রামের যে কোন পরিস্থিতির জন্য প্রশাসন এবং সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএসকে দায়ী থাকতে হবে।
এছাড়া রাঙামাটির জেলার নান্যাচর এবং খাগড়াছড়ি জেলার দিঘীনালা, গুইমারা ও লক্ষীড়িতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সড়ক ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি: