আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

0

সিএইচটি নিউজ ডটকম

 শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে গতবছর (২০১৪)  মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে  ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ) শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করে। # ফাইল ছবি
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে গতবছর (২০১৪) মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ) শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করে। # ফাইল ছবি

ঢাকা প্রতিনিধি: আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৯৭১ সালে সংঘটিত বুদ্ধিজীবী হত্যা একটি নৃশংস বর্বরোচিত ও বেদনাদায়ক ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হয়ে রয়েছে। নিরস্ত্র জনসাধারণের ওপর নির্বিচারে সশস্ত্র হামলা, হত্যাকাণ্ড, লুটপাট, ধর্ষণ চালিয়েও পাক হানাদার বাহিনী যখন পূর্ব বাংলার মুক্তিকামী জনতার বিজয় ঠেকিয়ে রাখতে সক্ষম হচ্ছিল না, পরাজয় অবধারিত জেনে এদেশীয় দোসর রাজাকার-আল বদর, আল শামসদের সহায়তায় ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনী পরিকল্পিতভাবে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল। বাছাই করে এদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করে স্বাধীন দেশকে নেতৃত্বহীন ও মেধাশূণ্য করার জঘন্য নীল নক্সা প্রণয়ন করেছিল। এর মূল হোতা ছিলেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান গভর্ণরের উপদেষ্টা মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলি। নীল নক্সা বাস্তবায়নে নিয়োজিত ছিলেন ইস্টার্ন কমান্ডের অধিনায়ক কুখ্যাত লে. জেনারেল নিয়াজি ও তার মতানুসারি সেনা কর্মকর্তারা। তাদের কুকর্মে সহায়তা করেছিল রাজাকার, আল বদর ও আল শামস বাহিনী। সে লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ড এখনও জনগণ ভুলতে পারেনি। দেশে এখন ঘাতক ও তাদের দোসরদের বিচার এবং সাজা হচ্ছে।

দিবসটি উপলক্ষে ঢাকায় বিভিন্ন সংগঠনের পাশাপাশি শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতি সৌধে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ও পার্বত্য চট্টগ্রামের আট গণসংগঠনের কনভেনিং কমিটি (গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন, পা. চ. নারী সংঘ, সাজেক নারী সমাজ, সাজেক ভূমি রক্ষা কমিটি, ঘিলাছড়ি নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি ও প্রতিরোধ সাংস্কৃতিক স্কোয়াড) শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করবে। এ উপলক্ষে ইউপিডিএফ ছোট্ট একটি প্রচারপত্রও ছেপেছে।

উল্লেখ্য, গত বছর (২০১৪) একইভাবে ইউপিডিএফ শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতি সৌধে শ্রদ্ধা জানিয়েছিল। সে সময় ব্যানারে উচ্চারিত সতর্ক বাণী পরবর্তীতে অক্ষরে অক্ষরে ফলেছিল। গত বছর ১৫ ডিসেম্বর কাপ্তাইয়ে স্কুল ছাত্রী জেএসএসসি পরীক্ষার্থী সেটলার যুবক কর্তৃক ধর্ষিত হয়ে খুন হয়। ১৬ ডিসেম্বর রাঙ্গামাটির বগাছড়িতে স্থানীয় সেনা ক্যাম্পের সেনা কর্মকর্তাদের প্ররোচনায় সেটলাররা পাহাড়িদের বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায়। সেনা জওয়ানরা সরাসরি অগ্নিসংযোগে অংশ নেয় এবং ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে প্রতিবাদকারী পাহাড়িদের বাস্তুভিটা ছাড়তে বাধ্য করেছিল। উক্ত ঘটনাকে পার্বত্যবাসী পাক হানাদার বাহিনীর কর্মকাণ্ডের সাথে তুলনা করে থাকে। ঘটনার এক বছর অতিক্রান্ত হলেও বগাছড়িবাসী এখনও আশ্রয়হীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। ঘটনার প্রতিবাদে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হলেও সরকার এখনও পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্তদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিয়ে তাদের নিজ বাস্তুভিটায় পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেয়নি। চিহ্নিত দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাও নেয়নি।

এদিকে, ক্ষতিগ্রস্ত বগাছড়িবাসীদের সাথে একাত্মতা প্রদর্শন ও তাদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিয়ে নিজ বাস্তুভিটায় পুনর্বাসনের দাবি জানিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের আট গণসংগঠন ১৫ ডিসেম্বর ঢাকায় শাহবাগে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করবে বলে জানা গেছে।#
—————-

সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More