“আদিবাসী” পরিচিতিতে নিষেধাজ্ঞা জাতিসত্তাসমূহের স্বাতন্ত্র্য, স্বকীয়তা ও স্বাধীনতার উপর নগ্ন হস্তক্ষেপ- গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম

0

খাগড়াছড়ি : পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্দেশনা জারির মাধ্যমে পার্বত্য এলাকার স্থায়ী অধিবাসীদের ‘আদিবাসী’ হিসেবে চিহ্নিত না করার সরকারী নিষেধাজ্ঞাকে আধিপত্যমূলক, উদ্দেশ্যমূলক এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের জাতিসত্তাসমুহের স্বাতন্ত্র্য-স্বকীয়তা ও স্বাধীনতার উপর নগ্ন হস্তক্ষেপ অভিহিত করে গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম সংবাদ মাধ্যমে এক বিবৃতি প্রদান করেছে।

গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি অংগ্য মারমা ও সম্পাদক জিকো ত্রিপুরা আজ শুক্রবার (৩ নভেম্বর, ২০১৭) সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া এক যুক্ত বিবৃতিতে এই ক্ষোভ ও ক্ষুব্ধতা প্রকাশ করেন।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, জাতীয় দৈনিক কালের কন্ঠ পত্রিকায় (৩ নভেম্বর ২০১৭) প্রকাশিত প্রতিবেদনের মাধ্যমে সংগঠন অবগত হয়েছে যে, পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয় গত ২৩ অক্টোবর একটি সরকারী সার্কুলার প্রকাশ করে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, তিন পার্বত্য জেলা প্রশাসক ও সার্কেল চিফগণকে জাতিসসত্তাসমুহের পরিচিতির ক্ষেত্রে ‘আদিবাসী’ শব্দ ব্যবহার না করতে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেছে। এই নিষেধাজ্ঞাকে নেতৃবৃন্দ সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক এবং জাতিসত্তাসমূহের স্বকীয়তা, স্বাতন্ত্র্যকে অস্বীকার করার জন্য সরকারের ফন্দি হিসেবে অভিহিত করেন। নিষেধাজ্ঞা জারির মাধ্যমে জাতিসত্তার স্বাতন্ত্র্য, স্বকীয়তা ও পরিচিতিকে কোনো কালেই রূদ্ধ করা যায় না, এটা জাতি বিদ্বেষী ও ফ্যাসিবাদী চরিত্রেরই বহিঃপ্রকাশ।

নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে বলেন, সরকার বারে বারেই পার্বত্য চট্টগ্রামের মূল সমস্যাকে পাশ কাটানোর জন্য নানা ধরণের অহেতুক অনাবশ্যক বিষয়কে সামনে আনে। জাতিসত্তাসমূহের পরিচিতিকে বিতর্কিত করা ও এই সমস্যাকে মাঝে মাঝে সামনে নিয়ে আসাও সেই প্রচেষ্টার অংশ।

পার্বত্য চট্টগ্রামের জাতিসত্তাসমূহের ভূমি সমস্যা, জাতিসত্তাসমূহের অধিকার স্বীকৃতির দাবি, সেনা শাসন জারির মাধ্যমে জুম্ম জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারকে কেড়ে নেয়ার প্রচেষ্টা ইত্যাদি সমস্যা থেকে যেন দেশের জনগণের মনোযোগ ও সমর্থনের আড়ালে চলে যায়, তার জন্যই এই প্রচেষ্টা বলে বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন।

নেতৃবৃন্দ পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের এই নিষেধাজ্ঞা জারির সার্কুলার অবিলম্বে প্রত্যাহার করার দাবি জানান।
————
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More