আবারো বন্যার পানিতে প্লাবিত লামা, পানি বন্দি ১০ হাজার মানুষ

0

সিএইচটি নিউজ ডটকম
Lama flood photo copyউথোয়াই মারমা, লামা প্রতিনিধি।।  টানা ৩ দিনের বর্ষণে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে বান্দরবানের লামা পৌর এলাকাসহ উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ভয়াবহ বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না উঠতে ১ মাসের ব্যবধানে আবার লামা বাজার ২ফুট পানির নিচে।

মাতামুহুরী নদী ও তার শাখা প্রশাখা এবং পাহাড়ি ঝিরি পানি বৃদ্ধি পেয়ে গৃহবন্দি হয়ে পড়েছে বিভিন্ন পেশাজীবির ১০ হাজার মানুষ। এছাড়া পানির নিচে তলিয়ে গিয়ে ও পাহাড় ধসে আভ্যন্তরীন কয়েকটি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। জনগণ নৌকা বা কলা গাছের ভেলাই করে যাতায়াত করতে দেখা গেছে।

বন্যার ফলে দেখা দিয়েছে চরম খাবার ও খাবার পানি সংকট। অসহায় জীবন যাপন করছে লামা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের মানুষ। জনসাধারণের দাবি তাদের অসহায় জীবনে সাহায্যের হাত বাড়ানো।

এ টানা বর্ষন অব্যাহত থাকার কারণে লামা পৌরসভা, ৭নং ওর্য়াড মধুঝিরি, আজিজনগর ইউনিয়ন, ফাইতং ইউনিয়নের পাহাড় ধসে শতাধিন ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বতর্মানে তারা খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। অনেকে বলেছে আজো কোন ত্রাণ বিতরণ তাদের কাছে পৌছেই নি। রবিবর এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত
মাতামহুরী নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের গ্যাজ রিডার মো. আবু তৈয়ব জানিয়েছেন।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, শুক্রবার দিনগত রাত থেকে মুষুলধারে প্রবল বর্ষণ শুরু হয়। আর এ টানা বর্ষণের ফলে সৃষ্ট পাহাড়ী ঢলে মাতামুহুরী নদীর পানি ফুঁসে উঠে গত শনিবার রাত নাগাদ লামা পৌর এলাকার নয়াপাড়া, বাসস্টেন্ড, গজালিয়া জীপস্টেন্ড টিএন্ডটি পাড়া, বাজারপাড়া, লামা বাজার, ছোট নুনারবিলপাড়া, বড় নুনারবিলপাড়া, উপজেলা পরিষদের আবাসিক কোয়ার্টারসমূহ, থানা এলাকা,  কিছু অংশ, রুপসীপাড়া ইউনিয়নের দরদরী এলাকা প্লাবিত হয়। এতে লামার সরকারি কিছু অফিস, স্কুল, মাদ্রাসাও বন্যার পানিতে প্লাবিত রয়েছে, যার ফলে বন্ধ হয়ে গেছে লামার কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

লামা-আলীকদম-চকরিয়া বাস, জিপ ও পিকআপ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি মো. হোসেন বাদশা জানান, লামা-আলীকদম সড়কের ক্যয়ারারঝিরিসহ উপজেলার অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সড়কের ওপর পাহাড় ধ্বসে পড়ে ও ঢলের পানিতে ডুবে যাওয়ায় গাড়ি চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে।

লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদ মাহমুদ জানান, বন্যার প্লাবিত আর পাহাড় ধসে সকলকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে।
——————-

সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More