আলুটিলা রিসাং ঝর্ণায় বাঙালি কর্তৃক পাহাড়ি নারীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে ও ধর্ষণকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি, সিএইচটিনিউজ.কম
খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার আলুটিলা রিসাং ঝর্ণা এলাকায় তিনজন বাঙালি কর্তৃক এক পাহাড়ি নারীকে ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে ও ধর্ষণকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে হিল উইমেন্স ফেডারেশন খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে৷ আজ ৪ আগস্ট, বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় খাগড়াছড়ি জেলা সদরের মহাজন পাড়া থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে চেঙ্গী স্কোয়ার, কলেজগেট ঘুরে স্বনির্ভর বাজারে গিয়ে শেষ হয়৷ সেখানে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রীনা দেওয়ান, খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি মাদ্রী চাকমা ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সদস্য প্রিয়লাল চাকমা৷
বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে নারী ধর্ষণ, নির্যাতন উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে৷ গত ২/৩ মাসের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামে ডজনের অধিক নারী ধর্ষণ, নির্যতন ও খুনের ঘটনা ঘটেছে৷ এসব ঘটনার অপরাধীরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না পাওয়ায় এ ধরনের ঘটনা বার বার ঘটেই চলেছে৷
বক্তারা আরো বলেন, খাগড়াছড়ি জেলার একমাত্র পর্যটন কেন্দ্র আলুটিলার রিসাং ঝর্ণার মতো জায়গায় নারী ধর্ষণের ঘটনা এটাই প্রমাণিত হয় যে, আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র এখন অপরাধীদের আস্তানায় পরিণত হয়েছে৷ সরকার তথা প্রশাসন পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে নারীদের নিরাপত্তা দিতে পারছে না৷
বক্তারা বলেন, সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের ভিন্ন ভাষা-ভাষী জাতিসমূহকে সাংবিধানিকভাবে বাঙালি জাতীয়তা চাপিয়ে দিয়ে বাঙালি বানানোর যে ষড়যন্ত্র করছে তারই ধারাবাহিকতায় বাঙালি কর্তৃক একের পর এক পাহাড়ি নারীদের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা ঘটছে৷ সরকারকে এ ষড়যন্ত্রের খেলা বন্ধ করে পাহাড়ি নারীদের নিরপত্তা নিশ্চিত করতে হবে৷ অন্যথায় হিল উইমেন্স ফেডারেশন নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে বৃহত্তর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে৷
বক্তারা অবিলম্বে আলুটিলা রিসাং ঝর্ণা এলাকায় পাহাড়ি নারীকে ধর্ষণকারী শংকর চন্দ্র শীলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং অপর দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি সহ নারী ধর্ষণ, নির্যাতন বন্ধে প্রয়োজনীয় পদপে গ্রহণ ও সেটলারদের পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরে সমতলে পুনর্বাসনের জোর দাবি জানান৷
উল্লেখ্য যে, গতকাল বুধবার বিকালের দিকে শংকর চন্দ্র শীল ও তার দুই সহযোগী নুরুল আলম ওরফে ফেন্সু ও আশীষ চৌধুরী রিসাং ঝর্ণা এলাকার নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে উক্ত মেয়েটিকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে৷ পরে স্থানীয় এলাকাবাসী শংকর চন্দ্র শীলকে ঘটনাস্থল থেকে হাতেনাতে ধরে ফেলে এবং মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করে৷