আলোচনা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ঢাকায় পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন
সিএইচটিনিউজ.কম
ঢাকা: ‘৮৯ এর ছাত্র ছাত্র গণজাগরণের চেতনায় পুনরুজ্জীবিত হোন, পূর্ণস্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষে মূলধারার পিসিপিকে শক্তিশালী করতে সাবেক-বর্তমান সহযোদ্ধাগণ সর্বশক্তি নিয়োজিত করুন এই শ্লোগানে ঢাকার কাকরাইলস্থ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে গতকাল ২০ মে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ( পিসিপি)’র আন্দোলন সংগ্রামের ওপর প্রামাণ্য ভিডিও চিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রামাণ্য চিত্রে ’৯২ সালের ঐতিহাসিক লঙ মার্চ, চতুর্থ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির আহ্বায়ক শহীদ জননী জাহানারা ইমামের পিসিপি আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে উদ্বোধনী ভাষণ, ’৯৪ সালে চট্টগ্রামে পিসিপি’র পঞ্চম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও কেন্দ্রীয় কাউন্সিল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেশ বরেণ্য কবি শামসুর রাহমানের উদ্দীপনামূলক ভাষণ, আন্দোলনের বিভিন্ন খণ্ড চিত্র প্রতিবাদী মিছিল ও প্রাক্তন পিসিপি নেতাদের বিভিন্ন সময়ে প্রদত্ত বক্তৃতা দেখানো হয়।
প্রামাণ্য ভিডিও চিত্র প্রদর্শনের পর পিসিপি’র বর্তমান সভাপতি থুইক্যচিং মারমার সভাপতিত্বে আলোচনা পর্বে পিসিপি’র বিভিন্ন অঞ্চল ও বিভিন্ন পর্বে সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী নেতৃবৃন্দ স্ব স্ব ভূমিকা তুলে ধরেন। প্রাক্তন নেতা-কর্মীদের তুমুল করতালি দিয়ে হাউজে পরিচিতি দেয়া হয়। স্মৃতিচারণমূলক আলোচনা ছিল প্রাণবন্ত ও হৃদয়গ্রাহী। এ সময় মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন ইউপিডিএফ সভাপতি প্রসিত খীসা ও সাধারণ সম্পাদক রবি শংকর চাকমা। দর্শক সারির অতিথি আসনে নব্বইয়ের দশকে ছাত্র নেতা ফয়জুল হাকিম, ছাত্র ফেডারেশনের নেতা-কর্মীসহ মিলনায়তনে সংগঠনের প্রাক্তন নেতা-কর্মী, শহীদ পরিবারবর্গের প্রতিনিধি, জুম্মো ফিল্ম এসোসিয়েশনের কর্মী-যন্ত্রকুশলী, মুক্তি মঞ্চ নাট্যদলের কর্মীসহ পিসিপি’র বিভিন্ন শাখার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা শেষে জুম্মো ফিল্ম এসোসিয়েশনের শিল্পী বৃন্দ বিপ্লবী গণসঙ্গীত, নৃত্য ও জোদা (সংহতি) নামের একটি নাটিকা পরিবেশন করে দর্শক-শ্রোতাদের মাতিয়ে রাখেন। মুক্তির মঞ্চের আমন্ত্রিত শিল্পীগণ পিসিপি’র রজত জয়ন্তীতে পরিবেশিত দু’টি গণসঙ্গীত দর্শক শ্রোতাগণ উপভোগ করেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে রজত জয়ন্তীর প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়।
আলোচনা পর্বে প্রসিত খীসা লোগাঙ হত্যাকাণ্ডের পর উৎসব ভণ্ডুল হয়ে গেলে বৈসাবি’র দিন বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান শেষে কেবলমাত্র মুড়ি ও পানি খেয়ে থাকার স্মৃতিচারণ করেন। সে সময় সংগঠনের কাজ কীভাবে চলত, কর্মীদের কত পরিশ্রম করতে হতো, সে সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ধারণা দেন। নতুনদের আরও বেশি উদ্যোগী ও তৎপর হবার আহ্বান জানান।
স্মৃতিচারণমূলক আলোচনায় ইউপিডিএফ সাধারণ সম্পাদক রবি শংকর চাকমা বলেন,‘পার্বত্য চুক্তি’ জনসংহতি সমিতির একার পক্ষে আদায় করা সম্ভব হতো না। পিসিপি’র আন্দোলনের কারণেই সরকার জনসংহতি সমিতিকে বৈঠকে আহ্বান জানাতে বাধ্য হয়েছিল। এ বিনয়টুকু প্রকাশের সৌজন্যতাবোধ জেএসএস নেতৃত্বের মধ্যে থাকা উচিত।’
সাবেক পিসিপি নেতা রবি শংকর চাকমা আরও বলেন, ‘৮৯-এ পিসিপি গঠিত না হলে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণকে অবর্ণনীয় দুর্দশার শিকার হতে হতো। সে বছর জুনে অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদ নির্বাচন বানচালের কর্মসূচি ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবার কারণে জেএসএস-এর মধ্যে চরম হতাশা নেমে এসেছিল। নেতা-কর্মীগণ সবাই সীমান্তের ওপারে অবস্থান নিয়েছিলেন। শান্তিবাহিনী সদস্যগণ ফিল্ডে আসতে চাইতেন না। বদলী হলে, হয় অসুস্থতার ছলনা নয়ত নানা উছিলায় ত্রিপুরার শরণার্থী শিবিরে পড়ে থাকতেন।’
তিনি নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলেন, অবস্থানগত কারণে সে সময় জেএসএস-এর নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগের জন্য সময়ে সময়ে ত্রিপুরায় যেতে হতো। তখন শান্তিবাহিনীর নেতা-কর্মী যাদের সাথেই আলাপ হতো, তারা সবাই ছিলেন ভীষণ হতাশ।
শরণার্থীরাও ত্রিপুরার শিবিরে থাকতে চাইছিলেন না। অনেকে শত ঝুঁকির মধ্যেও আবার দেশে ফিরে আসছিলেন। শান্তিবাহিনীর নেতাদের পক্ষে তাদের শিবিরে রাখা সম্ভবই হচ্ছিল না। সে সময় পিসিপি’র আন্দোলনের কথা বলে তারা শরণার্থীদের আশ্বস্ত করতেন। দেশে ফিরলে পিসিপি’র কর্মীদের হাতে বিচারের সম্মুখীন হতে হবে বলে তারা শরণার্থীদের ভীতিও দেখাতেন।
পিসিপি গঠন পূর্ব ঘটনার কথা স্মরণ করে মি. রবি আরও বলেন, সংগঠনের প্রথম কেন্দ্রীয় কমিটিতে অন্যান্যদের মধ্যে প্রসিত দা এবং আমি ছিলাম। তাদের মধ্যে বর্তমানে আন্দোলনে আমরা দু’জনই রয়েছি, অন্যরা নেই। পরবর্তীতে গঠিত দ্বিতীয় কমিটিতে প্রসিত দা ছিলেন না। পিসিপি’তে সে সময়ও দু’টি ধারা ছিল। একটি আপোষকামী সুবিধাবাদী ও প্রতিক্রিয়াশীল, তারা সংগঠনকে গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে দিতে চাইত না। ভয় পেত পকেট সংগঠন বানিয়ে রাখতে পারবে না বলে।’ তিনি আরও বলেন, সম্মুখে বলা ঠিক না, তবু তথ্য জানানোর জন্য সত্যের খাতিরে বলা দরকার যে, সে সময় প্রসিত দা পিসিপি’র নেতৃত্বে না আসলে এভাবে সংগঠনের বিকাশ হতে পারত না। আমি কোন কিছু বাড়িয়ে বলছি না, এটাই হচ্ছে ফ্যাক্ট।’
বান্দরবানের সাবেক পিসিপি নেতা ছোটন কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা তার স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্যে ছোটবেলায় বৌদ্ধ ভিক্ষু হবার বাসনার কথা জানান। এক সময় তার মধ্যে সৈন্যবাহিনীতে যাবার ইচ্ছেও জাগে। কিন্তু তখনকার পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতিই তাকে প্রতিবাদী ও বিদ্রোহী করে তোলে। তার মধ্যে অত্যাচারীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ-ঘৃণার আগুন জ্বলে উঠে। তিনি নিজের চক্ষে বয়স্ক বাবাকে নির্মমভাবে লাঠিপেটা করে রক্তাক্ত জখম হতে দেখেন, সে স্মৃতি কখনও ভুলতে পারেন না। বিলাইছড়িতে ছোটবেলায় সেনা ক্যাম্পের পাশে মা ও মেয়ে সেনা জওয়ানদের বর্বর পাশবিক নির্যাতনের ঘটনার কথা তাকে অশান্ত করে তোলে। ’৯৫ সালে বান্দরবানে প্রথম পিসিপি জেলা সম্মেলনে পুলিশের হাতে মারধরের শিকার হবার পর থেকে আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যুক্ত রয়েছেন।
চুক্তি পরবর্তী সময়ের পিসিপি নেতা দীপঙ্কর ত্রিপুরা সহযোদ্ধা বন্ধু, শহীদ ও বিভিন্ন ঘটনার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কান্নাভেজা কণ্ঠে বলেন,‘এ সংগঠনের সাথে আমাদের বহু ঘটনা যুক্ত আছে। আমাদের সার্কেলের মধ্যে হৃদ্যতা ছিল। আমরা আন্তরিকভাবে কাজ করেছিলাম। সে কারণে পিসিপি’র কোন কর্মসূচি কথা জানলে খোঁজ নিই। রজত জয়ন্তীতে প্রাক্তন নেতাদের দেখতে পাব আশায় জিমনেশিয়ামে ছুটে গিয়েছিলাম। এ সংগঠনের সাথে বন্ধন এভাবে আমাকে টানে।’ তিনি পিসিপি’র মূলধারাকে শক্তিশালী করতে নিজে সব সময় পাশে থাকবেন এ আশা ব্যক্ত করেন।
লোগাঙ হত্যাকাণ্ডের দিন গুচ্ছগ্রামে দাউ দাউ আগুন জ্বলার আর ব্রাশ ফায়ারের কথা আজও ভুলতে পারেন না কালা চান চাকমা। সে সময় তিনি পানছড়ি পিসিপি’র দায়িত্বে ছিলেন। অল্প কিছু সেটলারের পক্ষে পাহাড়িদের গ্রামে হামলার কথা তিনি এবং তার সহকর্মীরা তখন বিশ্বাস করতে পারেন নি। ব্রাশ ফায়ারের পর নিশ্চিত হতে পারেন সেনা সহায়তায় সেটলাররা হামলার কথা। স্মৃতিচারণে কালা চান চাকমা বলেন,‘পিসিপি না হলে পার্বত্য চট্টগ্রামে আন্দোলন জোরদার হতো না। পিসিপি’র প্রোগ্রাম শুনলে ছুটি যেতে ইচ্ছে হয়। ঝুঁকি থাকলেও অংশ নিই।’ সে সময় পানছড়িতে কোন গ্রাম বাকী না রেখে সাংগঠনিক সফর দেবার কথা তিনি স্মরণ করেন।
কাউখালি থেকে পিসিপি’র প্রাক্তন নেতা রবিচন্দ্র চাকমা ছোটবেলায় সেনাবাহিনী তাদের বাড়ির মোরগ জোর করে ছিনিয়ে নেবার কথা স্মরণ করেন। নিপীড়নের চিত্র ছোটবেলা থেকে দেখে মনের মধ্যে প্রতিবাদী স্পৃহা জেগে উঠে। ঘাগড়ায় পিসিপি গঠনসহ কাউখালি এলাকায় সংগঠন গড়ে তুলতে কিছু স্মৃতিচারণ করেন।
’৯২ সালে ১৭ ফেব্রুয়ারি স্পীকারের নিকট স্মারকলিপি প্রদান শেষে মানিকছড়িতে সেনাবাহিনীর হাতে আটক হওয়া, লোগাঙ লঙ মার্চ, নান্যাচর হত্যাকাণ্ডের সময় দায়িত্ব পালনের স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি পিসিপি জেলা কমিটি সাবেক নেতা ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সাবেক সভাপতি দীপঙ্কর চাকমা।
শহীদ পরিবারের প্রতিনিধি ও নির্বাচিত জুম্মো প্রতিনিধি সংসদের সভাপতি সর্বোত্তম চাকমা স্কুল জীবনে পিসিপি’র সভায় বক্তৃতা শোনার স্মৃতিচারণ করেন। পিসিপি’র আদর্শিক ধারাকে শক্তিশালী করতে সবাইকে দৃঢ় হতে হবার আহ্বান জানান।
সংগঠনে যুক্ত থাকার কারণে পেশাগত জীবনে সে অভিজ্ঞতা কাজে লাগছে, আগে তা উপলদ্ধি হতো না বলে মন্তব্য করে ইলিরা দেওয়ান তার সময় কালের কথা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ক্যহ্লা চিং মারমা ও অলকেশ চাকমা। পিসিপি যে মূলধারা এ ব্যাপারে কারোর কোন সন্দেহ থাকার অবকাশ নেই। কাজের মাধ্যমেই তা প্রমাণিত। বর্তমান পিসিপি’কে আরও আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে কাজ করতে হবে বলে তারা মতামত দেন।
আলোচনা সভায় উপস্থাপনায় ছিলেন পিসিপি’র সাবেক নেতা মিঠুন চাকমা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করেন ক্রা জেরি মারমা।
পিসিপি’র রজত জয়ন্তী ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে গঠিত কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন পিসিপি’র সাবেক সভাপতি অংগ্য মারমা। অনুষ্ঠান সফল করার লক্ষ্যে পিসিপি’র প্রাক্তন ও ডিওয়াইএফ নেতা-কমীগণ অক্লান্ত খাটনি করেন।
প্রতিষ্ঠার ২৫বর্ষপূর্তিতে সাড়ে পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মীর উপস্থিতিতে কাকরাইলস্থ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে এক অর্থে পিসিপি’র প্রাক্তন ও বর্তমান কর্মীদের এক আনন্দঘন প্রাণবন্ত সম্মিলন ঘটে। ডক্যুমেন্টারি প্রদর্শন, আলোচনা, সঙ্গীত-নৃত্য ও নাটক– টানা প্রোগ্রামে রজত জয়ন্তীর সময় ছিলো বাঁধা। সকালে ছিল উদ্বোধনী পর্ব ও র্যালি। তপ্ত রৌদ্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ, টিএসসি সড়ক দ্বীপ ও প্রেস ক্লাব ঘুরে জিমনেশিয়ামে র্যালি শেষ হয়।
প্রীতিভোজের সময়ই প্রাক্তন কর্মীগণ পারষ্পরিক কুশল বিনিময় করেন। দীর্ঘ বহু বছর পরে এভাবে আনন্দঘন পরিবেশে প্রাক্তন সহযোদ্ধাদের সম্মিলন আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি করে। বহু পরিচিতের ভিড়ে শহীদ পরিবারবর্গ ও অন্যান্যদের সাথে অনেকের কুশল বিনিময়েরও সুযোগ হয় নি। বিদায় কালে অনেকের চোখ ছিল আবেগে অশ্রু সজল। বিগত ২৫ বছরে বহু পরিবর্তন, প্রিয় সহযোদ্ধাদের হারানো, বহু ঘটনা প্রাক্তন কর্মীদের আপ্লুত করেছে। পরিস্থিতির কারণে অনেকে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও যোগ দিতে পারেন নি। অন্ষ্ঠুানে কেউ কেউ সস্ত্রীক-সন্তান নিয়েও অংশগ্রহণ করেছেন।
হৃদয়গ্রাহী আলোচনা হওয়া সত্ত্বেও সময়ের কারণে অল্প ক’জন বক্তব্য দিতে পেরেছেন। শোনার এবং বলার জন্য অতৃপ্তি ছিল সবার মনে। আলোচনা ও সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান যেন শেষ হয়েও হতে চায় না শেষ। আগামীতে শুধু পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছেন অনেকে।
প্রীতিভোজ সম্পন্ন করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটতে রাত ১১ টা বেজে যায়। পাশেই ছিল ফেরার বাস। ভবিষ্যত পুনর্মিলনীর আশা নিয়ে রাতেই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা আবার স্ব স্ব এলাকা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরে যান। কাকরাইলস্থ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে বাতি নিভিয়ে দেয়া হয়। নেমে আসে রাতের নিস্তব্ধতা। ভবিষ্যতে অন্য কোথাও আবার পিসিপি’র সংগ্রামী সহযোদ্ধারা মিলিত হবেন আরও বেশি সহযোদ্ধাকে সাথে নিয়ে, সংখ্যায় এবং অভিজ্ঞতায় আরও সমৃদ্ধ হয়ে। লড়াই সংগ্রাম থাকবে অব্যাহত। একদিন নয় একদিন পূর্ণস্বায়ত্তশাসন আদায় করে অধিকারহারা জনগণের বিজয় সূচনা করবে পিসিপি’র সংগ্রামী সেনানীরা।
—————–
সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।