ইউপিডিএফের সুবলং অফিস দখলের চেষ্টা, গুলিসহ সন্তু গ্রুপের তিন সদস্য আটক
রাঙামাটি প্রতিনিধি
সিএইচটিনিউজ.কম
সুবলং: আবারও ইউপিডিএফের সুভলং অফিস দখলের চেষ্টা করেছে জেএসএস সন্তু গ্রুপ।গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে জেএসএস সন্তু গ্রুপের একদল সদস্য মিদিঙাছড়ি ও রাঙামাটি থেকে সুভলঙ বাজারে যায়। তবে তারা ইউপিডিএফের অফিস দখল করবে জানতে পেরে স্থানীয় লোকজন তাদের তাড়িয়ে দেয়। সন্তু গ্রুপের সহসভাপতি উষাতন তালুকদারের সেখানে মিটিঙ করার কথা ছিল বলে জানা যায়।
এই ঘটনার পর সন্তু গ্রুপের আরো একদল সদস্য সুভলঙে গিয়ে দুপুর বারটা থেকে সন্ধ্যে ৭ টা পর্যন্ত ইউপিডিএফের অফিস ঘেরাও করে রাখে। সংঘর্ষের আশঙ্কায় পরে স্থানীয় সেনা ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের তাড়িয়ে দেয়। এরপরও রাত সাড়ে এগারটার দিকে মিদিঙাছড়ি থেকে নৌকা যোগে সন্তু গ্রুপের ৮ জন লোক সুভলঙে গিয়ে অবস্থান নেয়। তবে স্থানীয় জনগণের প্রতিরোধের মুখে তারা পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়।
গতকাল সকালে স্থানীয় সেনা ক্যাম্পের সদস্যরা সন্তু গ্রুপের চাঁদা উত্তোলনে সহায়তাকারী সুফী ও শাহাবুদ্দীনকে আটক করে। তাদের কাছ থেকে নগদ ২৯ হাজার টাকা ও সন্তু গ্রুপের চাঁদা আদায়ের রশিদ বই পাওয়া গেছে বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে। সেনারা সুফীকে ছেড়ে দিলেও শাহাবুদ্দীনকে বেদম মারধর করেছে। এই দুজন সন্তু গ্রুপের পক্ষ হয়ে সুভলঙে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করতো বলে এলাকার লোকজনের অভিযোগ।
অপর এক ঘটনায় গতকাল ২২ নভেম্বর পাকিস্তান টিলা বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা বরকলের দেওয়ানচর থেকে সন্তু গ্রুপের তিন সশস্ত্র সদস্যকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলো অশেষ (পিতার নাম অমর চান চাকমা), তুফান (বয়স ২৫, পিতার নাম যুদ্ধমনি, গ্রাম ছোট হরিণা) ও সজল। প্রথম জন অশেষ চাকমা আগে জেএসএস এম. এন. লারমা গ্রুপের সদস্য ছিল। কয়েক মাস আগে সে সন্তু গ্রুপে যোগ দেয়।
বিজিবি সদস্যরা তাদের কাছ থেকে ৪০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে। তবে তারা বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের অস্ত্রগুলো পানিতে ফেলে দেয়। আজ পানির তলদেশ থেকে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হতে পারে।