ইউপিডিএফ-এর ১৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গুইমারায় সমাবেশ ও র্যালি অনুষ্ঠিত
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
সিএইচটিনিউজ বাংলা.কম
গুইমারা:ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর ১৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আগামী ২৬ ডিসেম্বর। এ উপলক্ষে তিন দিন ব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ ২৪ ডিসেম্বর সোমবার খাগড়াছড়ির গুইমারায় সমাবেশ ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
“সরকারের ‘ভাগ করে শাসন কর’ নীতির বিরুদ্ধে সজাগ হোন, অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জনগণের সংগ্রামী ঐক্য সংহতি জোরদার করুন” এই শ্লোগানে গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের ব্যানারে সকাল সাড়ে ১১টায় গুইমারা বাজার মাঠে অনুষ্ঠিত সমাবেশে গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের মাটিরাঙ্গা উপজেলা শাখার আহ্বায়ক পঞ্চসেন ত্রিপুরার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুমেন চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সদস্য নন্দা চাকমা ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য তরুণ চাকমা। অংকন চাকমা সমাবেশ পরিচালনা করেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ইউপিডিএফ গত ১৪ বছরে নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়েছে। এই দীর্ঘ সময়ে ইউপিডিএফের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু কোন অপশক্তি ইউপিডিএফের অগ্রযাত্রাকে রোধ করতে পারেনি। পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইউপিডিএফের নেতৃত্বে পাহাড়ি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
বক্তারা আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে এখনো সেনা শাসন জারি রাখা হয়েছে। নিপীড়ন, নির্যাতন, ভূমি বেদখল আগের মতোই রয়েছে। মাটিরাঙ্গা, রামগড়, মানিকছড়ি উপজেলার অধিকাংশ এলাকা এখন সেটলাররা বেদখল করে নিয়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এ অঞ্চল থেকে পাহাড়িরা চিরতরে উচ্ছেদ হয়ে যাবে। বক্তারা সকল ধরনের নিপীড়ন, নির্যাতন ও ভূমি বেদখলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
বক্তারা সন্তু লারমার সমালোচনা করে বলেন, ১৯৯৭ সালে আপোষ চুক্তির মাধ্যমে সন্তু লারমা জনগণের সাথে বেঈমানী করেছেন। আজো তিনি চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য আন্দোলনের কথা বলে জনগণকে ধোকা দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু দীর্ঘ ১৫ বছরেও চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে তিনি কোন আন্দোলন কর্মসূচি দিতে পারেননি। তিনি সরকারের ছত্রছায়ায় আঞ্চলিক পরিষদের গদিতে বসে একের পর এক ইউপিডিএফ নেতা-কর্মীদের হত্যা করে চলেছেন। বক্তারা অবিলম্বে সন্তু লারমাকে আঞ্চলিক পরিষদ থেকে অপসারণ করে তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত দুর্নীতি ও বিভিন্ন কেলেংকারীর তদন্ত দাবি করেন।
সমাবেশ শেষে গুইমারা বাজার মাঠ থেকে একটি র্যালী শুরু হয়ে গুইমারা বাজার প্রদক্ষিণ করে আবার বাজার মাঠে এসে শেষ হয়।