উজাড় হচ্ছে পার্বত্য চট্রগ্রামের বনাঞ্চল: ধ্বংসের মুখে জীববৈচিত্র্য
তথ্য অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, জীববৈচিত্র্যের সংরক্ষণের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়নে বন মন্ত্রণালয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা ইউএনডিপি জাতীয় বননীতি ১৯৯৪ অনুসারে ২০ বছর মেয়াদী বন মহাপরিকল্পনা ১৯৯৩-২০১৩ সাল পর্যন্ত কার্যকর রয়েছে বলে জানা গেছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৫ সালের মধ্যে দেশের ২০শতাংশ ভূমি বনায়ন করার কথা থাকলেও পার্বত্য অঞ্চলে তা অকার্যকর রয়েছে। পাশাপাশি পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ এর অধীনে তা পার্বত্য এলাকায় কোন কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না।
খাগড়াছড়ির কুমিল্লা টিলার তোতা মিয়া জানান, এক সময় আমাদের এলাকায় বাড়ির আশে-পাশে হরিণ,বানর,হনুমানসহ বিভিন্ন ধরনের পশুপাখি দেখতে পেতাম, বর্তমানে বন উজাড় করে জনবসতি গড়ে ওঠার কারনে জীবজন্তু আগের মত দেখা যায়না।তিনি আরো জানান, পাহাড়ে বসবাসরত কয়েকটি সম্প্রদায়ের লোকেরা বিভিন্ন ধরনের জীবজন্তু খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করায় বন্যপ্রানী কমে যাওয়ার একটি কারণ হতে পারে।ভয়াছড়ি এলাকার গ্রীণহিল নার্সারীর স্বত্বাধিকার মো: মাহবুবুল হক সেলিম জানান ,আমরা যে পরিমান বৃক্ষ নিধন করি তার তুলনায় অনেক কম সৃজন করি, যার ফলে পাহাড়ের বনভুমি উজাড় হয়ে যাচ্ছে। জীবজন্তুর আবাসভুমি হারিয়ে যাওয়ার কারণে বন্যপ্রাণী হারিয়ে যাচ্ছে।
খাগড়াছড়ি বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ জহুরুল আলম বলেন ”বন্য পশু-পাখিরা আজ অস্তিত্ব বজায় রাখতেই ছাড়ছে পার্বত্য চট্রগ্রামের বনাঞ্চল। মানুষের ক্রমাগত বনাঞ্চল দখলের কারনে ঘটছে এসব”।
জেলা প্রশাসক ও সভাপতি, খাগড়াছড়ি জেলা বন ও বন্যপ্রানী সংরক্ষন কমিটিঃ মোঃ মাসুদ করিম বলেন নানা কারনে ধবংসের মুখে বন্য প্রানী। একটি বিশেষ মহলের কারনে গত দু’দশকেও সম্প্রসারন করা যায়নি বনাঞ্চল।
সচেতন মহলের প্রত্যাশা বাংলাদেশের বন্যপ্রানী সংরক্ষন ও ব্যাবস্থাপনা সংক্রান্ত প্রচলিত আইন রহিত পূর্বক দেশের জীববৈচিত্র্য, বন ও বন্যপ্রানী সংরক্ষন ও নিরাপত্তা বিধানকল্পে প্রনীত আইনের প্রয়োগ হোক যথাযথ, রক্ষা হোক বনাঞ্চল, নিরাপদে থাকুক বন্যপ্রানী।(সূত্র: পার্বত্যনিউজ ডটকম)