কক্সবাজারের রামুতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, ভাঙচুর, বৌদ্ধ বিহার ও বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
সিএইচটিনিউজ.কম
সিএইচটিনিউজ.কম
কক্সবাজারের রামুতে সংখ্যালঘু বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের উপর উগ্র সাম্প্রদায়ক গোষ্ঠির হামলা, ভাঙচুর, বৌদ্ধ বিহার ও বাড়ি ঘরে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। “দেশের গণতান্ত্রিক শক্তি জাগ্রহ হোন, আক্রান্ত জনগণের পাশে দাঁড়ান” এই শ্লোগানে আজ ১ অক্টোবর সোমবার সকাল ১১টায় খাগড়াছড়ি উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে চেঙ্গী স্কোয়ার, মহাজন পাড়া ঘুরে আবার উপজেলা পরিষদ হয়ে স্বনির্ভর বাজারে গিয়ে শেষ হয়। খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরাও স্বতঃস্ফুর্তভাবে মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। মিছিল শেষে স্বনির্ভর বাজারে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি উমেশ চাকমার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জিকো মারমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রদেব চাকমা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি মাদ্রী চাকমা। এছাড়া উপালি পাড়া বৌদ্ধ বিহারের চন্দ্রবংশ ভিক্ষুও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সদস্য তপন চাকমা সমাবেশ পরিচালনা করেন।
বক্তারা রামুতে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ওপর উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠির হামলাকে ন্যাক্কারজনক উল্লেখ করে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, যে অভিযোগে উগ্র ধর্মান্ধরা সংখ্যালঘু বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, ভাঙচুর, বৌদ্ধ বিহার ও বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করেছে তা সভ্য সমাজেরই কলঙ্ক। বক্তারা সংখ্যালঘু জনগণের ওপর এ ধরনের উগ্র সাম্প্রদায়িক হামলা বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
বক্তারা রামুর হামলায় ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এই উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠিটি গত ২২ সেপ্টেম্বর রাঙামাটি শহরে পরিকল্পিতভাবে পাহাড়ি জনগণের ওপর হামলা চালিয়েছে এবং বসতবাড়ি ও দোকানপাট-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করেছে।
বক্তারা দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও ভিন্ন ভাষা-ভাষী জাতিসত্তাসমূহের জনগণের জান-মাল নিয়ে বেঁচে থাকার ব্যাপারে সন্দেহ দেখা দিয়েছে বলে সংশয় প্রকাশ করেন।
বক্তারা অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তি, তিগ্রস্তদের উপযুক্ত তিপূরণ প্রদান এবং বিধ্বস্ত বিহার ও বুদ্ধমূর্তি পুনঃনির্মাণের দাবি জানান।