কবাখালি স্টাইলে রাঙামাটিতে ভোট হাইজ্যাক করার গোপন ষড়যন্ত্র আওয়ামী লীগের

0

রাঙামাটি প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগের স্থানীয় কমিটি রাঙামাটিতে আগামী ৪ জুনের ইউপি নির্বাচনে দীঘিনালার কবাখালি স্টাইলে ভোট কেন্দ্র দখল করে বিজয় হাইজ্যাক করার গোপন ষড়যন্ত্র করছে বলে একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।

upelectionরাঙামাটির কোন কোন কেন্দ্রে কবাখালির নির্বাচন ছিনতাইয়ের ঘটনা পুনরাবৃত্তি করা হবে তা বিস্তারিত জানা না গেলেও, সূত্রটি বলেছে আওয়ামী লীগ ১ নং সাবেক্ষ্যং ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের উত্তর হেঙেলছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, ২ নং নানিয়াচর সদর ইউনিয়নে দুইটি বাজার কেন্দ্র ও পাতাছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র যে কোন প্রকারে দখলে নেয়ার চেষ্টা চালাবে।

এ জন্য তারা নানিয়াচর জোনের সেনাবাহিনী ও জেএসএস এমএন লারমা গ্রুপের এক প্রভাবশালী নেতার তত্ত্বাবধানে থাকা কিছু কর্মীকে ব্যবহার করবে বলে সূত্রটি জানিয়েছে।

পরিকল্পনা মোতাবেক ইতিমধ্যে তারা অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের কিছু নির্দিষ্ট জায়গায় মোতায়েন করেছে।

আওয়ামী লীগের গোপন ষড়যন্ত্র সম্পর্কে জানতে চাইলে ইউপিডিএফ নেতা সচল চাকমা এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট হলে জিততে পারবে না, তাই তারা ষড়যন্ত্র, ভোট ডাকাতি, ছিনতাই ইত্যাদির আশ্রয় নিতে চাইলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। কারণ আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক দল নয়, জনগণের ভোটের অধিকারের প্রতি তারা কখনো সম্মান দেখাতে জানে না। তবে নানিয়াচরের জনগণ তাদের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করা হলে অবশ্যই তা প্রতিহত করবে।’

তিনি সেনাবাহিনীকে নির্বাচনে নিরপেক্ষ থাকার আহ্বান জানান।

জেএসএস এর এক নেতা বলেন আওয়ামী লীগ যদি ষড়যন্ত্র করে নির্বাচনী বিজয় ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালায়, তাহলে তার দাঁত ভাঙা জবাব দেয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত ২৩ এপ্রিল দীঘিনালার কবাখালিতে সেনাবাহিনী বেশ কয়েকটি ভোট কেন্দ্র থেকে ভোটারদের মারপিট করে তাড়িয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর লোকজনকে জাল ভোট প্রদান ও ভোট জালিয়াতির সুযোগ করে দেয়। এ কারণে ঐ ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশ্ব কল্যাণ চাকমা হেরে যান।

কবাখালিতে ভোট কেন্দ্র দখলের আগে এই মর্মে গুজব ছড়িয়ে দেয়া হয় যে, ‘ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা’ আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে অপহরণ করেছে। এরপরই সেনাবাহিনী গুজবকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে ভোট কেন্দ্রগুলো দখল করে।

রাঙামাটিতেও আওয়ামী লীগ এ ধরনের কিছু একটা করতে পারে বলে অনেকে ধারণা করছেন। তবে সবাই যাতে নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন নির্বাচন কমিশনের সে ব্যবস্থা করা উচিত বলে তারা মনে করেন।
————–

সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More