কল্পনা চাকমার সন্ধান চেয়ে ৫ হাজার সংহতিবার্তা
নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি
দেড়যুগ আগে ১৯৯৬ সালের সংসদ নির্বাচনের একদিন আগে ১২ জুন নিজ বাসা রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার নিউ লাইল্যাঘোনা গ্রাম থেকে অপহৃত হন কল্পনা চাকমা।
পার্বত্য চট্টগ্রামের নারী সংগঠন ‘হিল উইমেন্স ফেডারেশন’র কেন্দ্রীয় এই সাংগঠনিক সম্পাদকের খোঁজ মেলেনি এখনও। আগামী ১২ জুন কল্পনা চাকমা অপহরণের দেড়যুগ পূর্তি।
কল্পনা চাকমার অপহরণের প্রতিবাদে দেশে-বিদেশে অব্যাহত আছে নানামুখী প্রতিবাদ। সেই প্রতিবাদে সংহতি জানাতেই ২০টি দেশের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ তার পরিবারের কাছে প্রেরণ করে কার্ড, চিঠি, হাতে আঁকা পোস্টারসহ নানা ধরনের পত্র।
সেসব সংহতিবার্তা গতকাল রোববার বিকেলে তুলে দেওয়া হয় কল্পনা চাকমা অপহরণ মামলার বাদি ও তার বড়োভাই কালিন্দী কুমার চাকমার হাতে।
খাগড়াছড়ি জেলাশহরের অবস্থিত ‘উপজাতীয় ঠিকাদার কল্যাণ সমিতি’ হলে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি কণিকা দেওয়ান।
সভায় অন্যদের মধ্যে আন্তর্জাতিক চিটাগং হিলট্র্যাক্টস কমিশন (সিএইচটি কমিশন)-র সমন্বয়কারী হানা শামস্ আহমেদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইলিরা দেওয়ান বক্তব্য রাখেন।
সভায় উপস্থিত সিএইচটি কমিশনের কো-অর্ডিনেটর হানা শামস্ আহমেদ জানান, কল্পনা চাকমা অপহরণের বিষয়টি নিয়ে আর্ন্তজাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বেশ ক’বছর ধরেই উন্নত বিশ্বে ক্যাম্পেইন চালিয়ে আসছে। তারা আমাদেরকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে প্রেরিত চিঠি কল্পনা চাকমার পরিবারকে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছে। পরে কল্পনা চাকমার ভাই কালিন্দী কুমার চাকমা বিদেশ থেকে আসা সংহতিবার্তাগুলো জনস্বার্থে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কাছে সংরক্ষণের দায়িত্ব অর্পণ করেন।
সৌজন্যে: সুপ্রভাত বাংলাদেশ