কল্পনা চাকমা অপহরণ দিবস আজ
এদিকে সরকার পুলিশ বিভাগের মাধ্যমেও তদন্ত চালায়। সর্বমোট ৩৩ জন কর্মকর্তা তদন্ত কার্যের দায়িত্ব পেলেও তারা চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করতে ব্যর্থ হন। কিন্তু কল্পনা অপহরণের ৩৪তম আইও বা তদন্ত কর্মকর্তা এস আই ফারুক আহম্মদ অপহরণের সাথে জড়িত প্রকৃত দোষী সেনা অফিসার লেঃ ফেরদৌস, ভিডিপি সদস্য সালেহ আহম্মদ ও নুরল হকের নাম উল্লেখ না করে ২০১০ সালের ২১ মে চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করেন। এর বিরুদ্ধে মামলার বাদী কালিন্দী কুমার চাকমা না-রাজি আবেদন জানান।
বিচারক সিআইডির মাধ্যমে পুনর্বার তদন্তের নির্দেশ দিলে সিআইডি কর্মকর্তা মোঃ শহীদুল্লাহ ২০১২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত তদন্ত রিপোর্ট প্রদান করেন। কিন্তু উক্ত তদন্ত রিপোর্টেও প্রকৃত দোষীদের নাম উল্লেখ করা হয়নি বরং উক্ত তদন্ত রিপোর্টে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিয়ে কল্পনা অপহরনের সাথে জড়িতদের রক্ষার চেষ্টা করা হয়।
সর্বশেষ এই বছর ২০১৩ সালের ১২ জানুয়ারি সিআইডি প্রতিবেদনের উপর চূড়ান্ত শুনানীর দিন ধার্য করা হলে রাঙামাটির ভারপ্রাপ্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম সিরাজুদ্দৌলাহ কুতুবী ১৬ জানুয়ারি নতুন করে মামলার শুনানীর দিন ধার্য করেন। এই দিন সিআইডির দাখিল করা চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদনের উপর দু’দফা শুনানী শেষে রাঙামাটির অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মো: সিরাজুদ্দৌলাহ কুতুবী রাঙামাটি পুলিশ সুপারকে(এসপি) দিয়ে পুনঃতদন্তের আদেশ দেন।
এদিকে হিল উইমেন্স ফেডারেশন সহ বিভিন্ন সংগঠন আদালতের এই আদেশ প্রত্যাখ্যান করে এই অপহরণ ঘটনায় স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির মাধ্যমে তদন্ত এবং অপহরণের মূল হোতা লে. ফেরদৌসসহ তার দোসরদের গ্রেপ্তার করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়।
অপহরণ দিবসটি উপলক্ষে আজ ১২ জুন বুধবার সকালে রাঙামাটি জেলার কুদুকছড়ি ও বাঘাইছড়ি উপজেলায় হিল উইমেন্স ফেডারেশন সহ বিভিন্ন সংগঠন বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ আয়োজন করেছে।
এছাড়া ঢাকায় ধানন্ডির দৃক গ্যালারিতে “কল্পনা চাকমার সন্ধানে একটি আলোকচিত্র-ফরেনসিক স্টাডি” শীর্ষক এক প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।
——