কাউখালীতে সন্তু গ্রুপের ব্রাশ ফায়ারে নারী নিহতের ঘটনায় ইউপিডিএফের নিন্দা
সিএইচটিনিউজ.কম
রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের নুঅ পাড়া গ্রামে আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে জেএসএস সন্তু গ্রুপের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ব্রাশ ফায়ারে দেওয়ান পাড়ার শাক্যমনি চাকমার স্ত্রী ও ২ সন্তানের জননী চিকনবি চাকমা (তুংগালা) নামে এক নারী নিহত ও হারাঙ্গী পাড়ার মৃত জয়সেন চাকমার ছেলে হরিধর চাকমা (৪৫) নামে এক ব্যবসায়ী গুরুতর আহত হন।
নিহত চিকনবি চাকমা কয়েকদিন আগে তার শ্বশুর বাড়ি দেওয়ান পাড়া থেকে পিত্রালয়ে বেড়াতে আসেন। তার পিতার নাম কালাবো চাকমা। অপরদিকে আহত হরিধর চাকমার বাড়ি হারাঙ্গী পাড়ায়। তিনি ব্যবসার কাজে ঘটনাস্থল কালাবো চাকমার দোকানে অবস্থান করছিলেন।
ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)এর রাঙামাটি জেলা ইউনিটের সংগঠনক সচল চাকমা এই ন্যাক্কারজনক ও কাপুরুষোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে ইউপিডিএফ নেতা ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, সোমবার সকাল ১০টার দিকে সন্তু গ্রুপের ১০-১২ জনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী নুঅ পাড়ার বাসিন্দা কালাবো চাকমার দোকান ঘেরাও করার পর উপর্যুপুরি ব্রাশ ফায়ার করে। এতে ঘটনাস্থলে চিকনবি চাকমা নিহত এবং হরিধর চাকমা আহত হন।
বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, “সন্তু লারমা আন্দোলনের পথ হারিয়ে এখন জাতি ধ্বংসের সর্বনাশা খেলা ভ্রাতৃঘাতী সংঘাতে মেতে উঠেছেন। একদিকে অসহযোগ আন্দোলনের আল্টিমেটাম দেয়ার নামে সরকারের সাথে সাজানো নাটকে অভিনয় করছেন, অন্যদিকে অবাধে নরহত্যা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু তাকে এই জঘন্য অপরাধের পরিণাম ভোগ করতেই হবে।”
সচল চাকমা সন্তু লারমাকে জুম্ম জাতির অভিশাপ আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘তিনি জুম্ম জাতি ও জনগণের যে ক্ষতি করেছেন, আর কোন দালাল তা করতে পারেনি। তার কারণেই আজ জাতি দ্বিধাবিভক্ত, তার কারণেই আজ যত সংঘাত ও অশান্তি। তাই পার্বত্য চুক্তির পর যারাই তার জন্ম দেয়া ভ্রাতৃঘাতী সংঘাতে প্রাণ হারিয়েছে তাদের সবার মৃত্যুর জন্য একমাত্র তিনিই দায়ি।’
পরিশেষে ইউপিডিএফ নেতা অবিলম্বে চিকনবি চাকমার হত্যাকারী সন্তু গ্রুপের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
—————-
সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।