কাউখালীতে সেনাবাহিনী কর্তৃক পিসিপি’র ২ নেতা-কর্মী গ্রেফতার
রাঙামাটি প্রতিনিধি, সিএইচটিনিউজ.কম
গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন উৎপল চাকমা (১৬) পিতা শশী ভূষণ চাকমা, গ্রাম ফিত্তি পাড়া, ফটিকছড়ি ইউনিয়ন, কাউখালী ও রূপন চাকমা (১৫) পিতা নবীন কুমার চাকমা, গ্রাম বড় নাভাঙ্গা, কাউখালী। এর মধ্যে উৎপল চাকমাপিসিপি’র পোয়া পাড়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক ও কাউখালী থানা শাখার তথ্য, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং রূপন চাকমা পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের পোয়া পাড়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় শাখার সদস্য। তারা দু’জনই পোয়া পাড়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র। উৎপল চাকমা একজন এসএসসি পরীক্ষার্থী এবং রূপন চাকমা নবম শ্রেণীর ছাত্র। তারা উভয়েই পোয়া পাড়ায় অবস্থান করে লেখাপড়া করছে। রূপন চাকমা চলমান বোর্ড ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।
জানা যায়, গতকাল ২৮ অক্টোবর রাত আনুমানিক সাড়ে দশটার সময় কাউখালী আর্মি ক্যাম্প থেকে মেজর সাব্বিরের নেতৃত্ব একদল সেনা পোয়া পাড়া গ্রামে হানা দেয়। এ সময় উৎপল চাকমা ও রূপন চাকমা একটি বাড়িতে ঘুমাচ্ছিলেন। সেনারা প্রথমে বাড়িটির চারদিক ঘেরাও করে এবং পাইছি পাইছি বলে চিৎকার দেয়। এরপর সেনারা তাদেরকে ঘুম থেকে তুলে অস্ত্র গুজে দিয়ে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। পরে তাদেরকে কাউখালী থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করা হয়।
পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি অংগ্য মারমা ও রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি বিলাস চাকমা এক যৌথ বিবৃতিতে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, সেনাবাহিনী সম্পর্ণ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে নাটক সাজিয়ে উৎপল চাকমা ও রূপন চাকমাকে গ্রেফতার করেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার আদায়ের আন্দোলনকে নস্যাৎ করে দেয়ার ল্েয সরকারী ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের অংশ হিসেবে সেনাবাহিনী এ গ্রেফতারের ঘটনা ঘটিয়েছে।
বিবৃতিতে তারা অবিলম্বে গ্রেফতারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি, পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা নিপীড়ন বন্ধ ও সেনাবাহিনীকে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে প্রত্যাহারের দাবি জানান।