কাউখালীর কলমপতিতে এইচডব্লউএফ শাখা কমিটির কাউন্সিল সম্পন্ন, ১৫ সদস্যের ইউপি কমিটি গঠিত

0

কাউখালী (রাঙামাটি) : কাউখালী উপজেলায় গতকাল রবিবার(৩০ জুলাই, ২০১৭) হিল উইমেন্স ফেডারেশন কলমপতি ইউনিয়ন শাখা কমিটির কাউন্সিল আয়োজনের মাধ্যমে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে মানুপ্রু মারমাকে সভাপতি ও উমেনু মারমাকে সম্পাদক ও হ্যাপী মারমাকে  সাংঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে।

নবগঠিত কমিটিকে শপথবাক্য পাঠ করান হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কাউখালী উপজেলা শখার সাধারণ সম্পাদক দয়া সোনা চাকমা।

এছাড়া কাউন্সিল উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনষ্ঠিত হয়। উক্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব  করেন মানুপ্রু মারমা।

গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের পাইশিলা মারমার সঞ্চালনায় উক্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ থেকে পাইসিঅঙ মারমা,আরেশি মারমা,থুইসাঅং মারমা।

এছাড়া বক্তব্য রাখেন ইউপিডিএফ বেতবুনিয়া  ইউনিট সমন্বয়ক তারেক মারমা ও হিক উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মন্টি চাকমা।

আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, কাউখালীর কলমপপতিতে সংঘটিত হয়েছিল পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রথম গণহত্যা। এতে নির্বিচারে শত শত পাহাড়ি জনগণকে নির্মমভাবে খুন করা হয়েছিল। দখল করা হয়েছিল পাহাড়ি জনগণের হাজার হাজার একর জায়গাজমি ও বসতবাড়ি। বেশ কয়েকটি পাহাড়ি গ্রাম নিশ্চিহ্ন করে দেয়া হয়েছিল। দখলদারিত্ব কায়েম করে সেই পাহাড়ি গ্রামকে পরিণত করা হয়েছে সেটলারদের গ্রামে। ততকালীন সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক প্রতিবাদ আন্দোলন তীব্র ও জোরদার না হবার কারণে এবং জনগণ অসেচতন থাকার কারণে প্রতিবাদ প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। ফলে কোনো ধরণের প্রতিরোধ ছাড়াই সেসময় সেটলাররা জায়গা জমি দখল করতে পেরেছে। অন্যদিকে শত শত পাহাড়ি জনগণের খুনী গণহত্যার উস্কানীদাতাদের বিরুদ্ধেও সরকার প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

নেতৃবৃন্দ বলেন, কাউখালীর কলম্পতির বর্বরতা ও নৃশংসতা এই শিক্ষাই দেয় যে, একমাত্র আন্দোলন সংগ্রাম বজায় রেখেই জনগণের জানমাল রক্ষা ও অধিকার বজায় রাখা সম্ভব হয়। আন্দোলন সংগ্রাম ও প্রতিরোধ ছাড়া নিপীড়িত জাতিসত্তাসমূহের অন্য কোনো বিকল্প পন্থা আজ খোলা নেই। কাউখালীর কলম্পতিতে এইচডব্লিউএফ’এর নতুন কমিটি গঠনের মাধ্যমে জুম্ম জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম আরো জোরদার হবে বলে নেতৃবৃন্দ জোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
—————-
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More