Sign in
Sign in
Recover your password.
A password will be e-mailed to you.
নিজস্ব প্রতিবেদক
সিএইচটিনিউজ.কম
ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) রাঙামাটি জেলা ইউনিট ও সাত পাহাড়ি সংগঠনের জোট আজ ২৭ ফেব্রুয়ারী বুধবার এক যুক্ত বিবৃতিতে কৃত্রিমভাবে কাপ্তাই হ্রদের পানির স্তর স্থিতিশীল রাখার ফলে রাঙামাটির ৮টি ও খাগড়াছড়ির একটি উপজেলায় কৃষকদের চাষাবাদ বন্ধ থাকায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
বিবৃতিতে ইউপিডিএফ ও সাত সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘সাধারণত পৌষ থেকে চৈত্র মাসের মধ্যে কাপ্তাই হ্রদের পানির স্তর ধীরে ধীরে পানি কমতে থাকলে ভেসে ওঠা জমিতে (যাকে জলেভাসা জমি বা Fringe landবলা হয়) ধান রোপন করা হয় এবং বর্ষা শুরুর আগে ফসল ঘরে তোলা হয়। কিন্তু এ বছর পানির স্তর না কমানোর কারণে রাঙামাটি জেলার নান্যাচর, লংগুদু, বাঘাইছড়ি, জুরাছড়ি, বরকল, বিলাইছড়ি, কাপ্তাই ও সদর উপজেলা এবং খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি উপজেলায় হাজার হাজার কৃষকের চাষবাস সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। ফলে তারা এখন তাদের ভবিষ্যত নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।’
নেতৃবৃন্দ কৃত্রিমভাবে কাপ্তাই হ্রদের পানির স্তর স্থিতিশীল রাখার সিদ্ধান্তকে ‘পাহাড়িদেরকে ভাতে ও পানিতে মারার কৌশল’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং অবিলম্বে পানির স্তর দ্রুত কমিয়ে কৃষকদেরকে জলেভাসা জমিতে চাষের অধিকার দেয়ার দাবি জানান। এছাড়া তারা ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত জলেভাসা জমির মালিকদের যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে কাপ্তাই হ্রদের পানির স্তর বাড়ানো-কমানোর সুনির্দিষ্ট নীতিমালা তৈরিরও দাবি জানান।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ইউপিডিএফ রাঙামাটি জেলা ইউনিটের সংগঠক সচল চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সভাপতি নতুন কুমার চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি সুমেন চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভানেত্রী কণিকা দেওয়ান, সাজেক নারী সমাজের সভাপতি নিরূপা চাকমা, সাজেক ভূমি রক্ষা কমিটির সভাপতি জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা, ঘিলাছড়ি নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির নেত্রী সুমতি চাকমা ও প্রতিরোধ সাংস্কৃতিক স্কোয়াডের সদস্য সচিব আনন্দ প্রকাশ চাকমা।
…….