কুদুকছড়িতে সন্ত্রাসী হামলা ও এইচডব্লিউএফ’র দুই নেত্রীকে অপহরণের প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ

0

খাগড়াছড়ি : রাঙামাটি জেলার কুদুকছড়ির আবাসিক এলাকায় সেনাবাহিনীর লেলিয়ে দেয়া  সন্ত্রাসী কর্তৃক ইউপিডিএফের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের উপর সশস্ত্র হামলা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন(এইচডব্লিউএফ)-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মন্টি চাকমা ও রাঙামাটি জেলা সাধারণ সম্পাদক দয়া সোনা চাকমাকে অস্ত্রের মুখে অপহরণের প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে হিল উইমেন্স ফেডারেশন(এইচডব্লিউএফ) পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি) ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম (ডিওয়াইএফ) খাগড়াছড়ি জেলা শাখা।

আজ রবিবার (১৮ মার্চ ২০১৮) বেলা ২.৩০টার সময় খাগড়াছড়ি জেলা সদরের স্বনির্ভরের ইউপিডিএফ কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে রেড স্কোয়ার, উপজেলা, চেঙ্গী স্কোয়ার ঘুরে এসে পূনরায় স্বনির্ভর বাজারে এসে শহীদ অমর বিকাশ চাকমার সড়কের উপর সমাবেশ করে।

হিল উইমেন্স ফেডারেশন খাগড়াছড়ি জেলা সভাপতি দ্বিতীয়া চাকমার সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক রেশমি মারমার সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা সাধারণ সম্পাদক অমল ত্রিপুরা ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের জেলা শাখার সদস্য মানিক চাকমা। 

বক্তারা হিল উইমেন্স ফেডারেশনের দুই নেত্রীকে অপহরণের নিন্দা জানিয়ে বলেন, সরকার ও সেনাবাহিনী ইউপিডিএফ-এর গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে নিষ্ঠুর দমন-পীড়ন চালিয়েও স্তব্দ করতে না পেরে কাপুরুষোচিতভাবে সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়ে হত্যা ও অপহরণের নতুন নীলনক্সা শুরু করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সকালে কুদুকছড়িতে পিসিপি ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের নেতাদের উপর সশস্ত্র হামলা, এইচডব্লিউএফ’র দুই নেত্রীকে অপহরণ ও অগ্নিসংযোগ করে বাড়ি পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনা সংঘটিত করা হয়েছে।

বক্তারা আরো বলেন, গুণ্ডা-সন্ত্রাসী সৃষ্টি করে পাহাড়ের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনকে ধ্বংস করার শাসকশ্রেণীর যে প্রয়াস তা বাংলাদেশের জন্যও শুভ হবে না। এই শাসন ব্যবস্থা একদিন বাংলাদেশকে অন্ধকারে নিয়ে যাবে। নারী নেত্রীদের অপহরণ ও ছাত্র-যুব নেতাদের উপর সশস্ত্র হামলার দায় রাষ্ট্রকেই নিতে হবে বলে বক্তারা মন্তব্য করেন।

বক্তারা অভিযোগ করে আরো বলেন, চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও হত্যাকারীরা দিন-দুপুরে পুলিশের নাকের ডগায় খাগড়াছড়ি শহরে ঘুরে বেড়ালেও প্রশাসন তাদের গ্রেপ্তার করে না। পুলিশ সেই সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার না করে যারা অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছে তাদের নামে মামলা দিয়ে দমনের চেষ্টা করছে। যার ফলে সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সেনাবাহিনীর সৃষ্ট এই নব্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে জনগণ যখন ফুসে উঠবে তখন যে কোনো পরিস্থিতির জন্য সেনাবাহিনী এবং পুলিশ প্রশাসন দায়ি থাকবে বলে বক্তারা হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেন।

বক্তারা অবিলম্বে অপহৃত হিল উইমেন্স ফেডারেশনের দুই নেত্রীকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার এবং সেনাবাহিনী-জেএসএস (এমএন লারমা)-এর আশ্রয়-প্রশ্রয়ে বেড়ে উঠা সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। অন্যথায় আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করার হুঁশিয়ারী দেন বক্তারা।
—————
সিএইচটিনিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More