খাগড়াছড়িতে গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

0
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
সিএইচটিনিউজ.কম
খাগড়াছড়ি : গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম নেতা পঞ্চসেন ত্রিপুরার হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে এবং গত ১৮ জুলাই মাটিরাঙ্গার গোমতিতে প্রশাসন কর্তৃক শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে না দেয়ার প্রতিবাদে গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম আজ ২০ জুলাই শনিবার খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। মিছিলটি সকাল সাড়ে দশটায় খাগড়াছড়ি সদরের স্বনির্ভরস্থ ঠিকাদার সমিতি ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে উপজেলা ও চেঙ্গীস্কোয়ার হয়ে শাপলা চত্বরের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ মাজন পাড়ার সূর্য্যশিখা ক্লাবের সামনে বাঁধা দেয়। পুলিশি বাঁধার কারণে মিছিলটি সেখান থেকে ঘুরে এসে শহরের চেঙ্গীস্কোয়ারে সমাবেশ করে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাইকেল চাকমা, জেলা কমিটির সভাপতি নিকোলাস চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শিখা চাকমা ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক বিপুল চাকমা।সমাবেশে মাইকেল চাকমা বলেন, যুব ফোরাম নেতা পঞ্চসেন ত্রিপুরার হত্যার প্রতিবাদে ও হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম গত ১৮ জুলাই গোমতিতে শান্তিপূর্ণ ছাত্র-যুব গণসমাবেশের ডাক দেয়। স্থানীয় বাঙালি জনপ্রতিনিধিসহ সাধারণ জনগণ সমাবেশে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সর্বাত্মক সহযোগীতার আশ্বাস দেয়। কিন্তু, স্থানীয় পলাশপুর জোনের বিজিবি কমান্ডার লে.ক. নূরুজ্জামানের নির্দেশে প্রশাসন ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সমাবেশ করতে নিষেধ করে।

তিনি আরো বলেন, সমাবেশ করতে অনুমতি না দেয়ার কারণ হিসেবে মাটিরাঙ্গা থানা কর্তৃপক্ষের (মোঃ অলিউল্লাহ) রিপোর্টে বলা হয় “গোমতি এলাকায় ৯০ শতাংশ বাসিন্দা বাঙালি। উল্লেখিত স্থানে গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম মাটিরাংগা উপজেলা শাখা কর্তৃক সমাবেশ করতে গেলে আইন শৃংখলা অবনতিসহ দাঙ্গাহাঙ্গামা হওয়ার সম্ভাবনা রহিয়াছে।” রিপোর্টে যা উল্লেখ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ অবাস্তব, অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য। স্থানীয় বিজিবি ও প্রশাসন ষড়যন্ত্রমূলকভাবে যুব ফোরাম কর্তৃক আহুত শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বাঁধা প্রদান করা হয়েছে, যা অগণতান্ত্রিক ও সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকার পরিপন্থী।

তিনি আরো বলেন, বিজিবি’র দায়িত্ব সীমান্ত রক্ষা হলেও বিজিবি পলাশপুর জোন কমান্ডার লে. ক. নূরুজ্জামান গণতান্ত্রিক সভা সমাবেশে হস্তক্ষেপ, পিসিপি, ডিওয়াইএফ ও এইচডব্লিউএফ-এর নেতাকর্মীদের ধরপাকড়, মিথ্যা মামলা দায়ের এবং সেখানকার স্থানীয় জনগণ ও ব্যবসায়ীদের উপর নানাভাবে হয়রানি চালিয়ে আসছে।

তিনি অবিলম্বে উগ্র সাম্প্রদায়িক লে. ক. নূরুজ্জামানকে অপসারণ, পঞ্চসেন ত্রিপুরার হত্যাকারীদের গ্রেফতার, গণতান্ত্রিক সভা-সমাবেশের উপর হস্তক্ষেপ এবং বেআইনীভাবে ধরপাকড়, নিপীড়ন ও হয়রানি বন্ধ করা, পিসিপি ও ডিওয়াইএফ নেতা-কর্মীদের উপর দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং গোমতি বাজারে সমাবেশের অনুমতি প্রদানের দাবি জানান।

 

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More