খাগড়াছড়িতে গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
তিনি আরো বলেন, সমাবেশ করতে অনুমতি না দেয়ার কারণ হিসেবে মাটিরাঙ্গা থানা কর্তৃপক্ষের (মোঃ অলিউল্লাহ) রিপোর্টে বলা হয় “গোমতি এলাকায় ৯০ শতাংশ বাসিন্দা বাঙালি। উল্লেখিত স্থানে গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম মাটিরাংগা উপজেলা শাখা কর্তৃক সমাবেশ করতে গেলে আইন শৃংখলা অবনতিসহ দাঙ্গাহাঙ্গামা হওয়ার সম্ভাবনা রহিয়াছে।” রিপোর্টে যা উল্লেখ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ অবাস্তব, অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য। স্থানীয় বিজিবি ও প্রশাসন ষড়যন্ত্রমূলকভাবে যুব ফোরাম কর্তৃক আহুত শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বাঁধা প্রদান করা হয়েছে, যা অগণতান্ত্রিক ও সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকার পরিপন্থী।
তিনি আরো বলেন, বিজিবি’র দায়িত্ব সীমান্ত রক্ষা হলেও বিজিবি পলাশপুর জোন কমান্ডার লে. ক. নূরুজ্জামান গণতান্ত্রিক সভা সমাবেশে হস্তক্ষেপ, পিসিপি, ডিওয়াইএফ ও এইচডব্লিউএফ-এর নেতাকর্মীদের ধরপাকড়, মিথ্যা মামলা দায়ের এবং সেখানকার স্থানীয় জনগণ ও ব্যবসায়ীদের উপর নানাভাবে হয়রানি চালিয়ে আসছে।
তিনি অবিলম্বে উগ্র সাম্প্রদায়িক লে. ক. নূরুজ্জামানকে অপসারণ, পঞ্চসেন ত্রিপুরার হত্যাকারীদের গ্রেফতার, গণতান্ত্রিক সভা-সমাবেশের উপর হস্তক্ষেপ এবং বেআইনীভাবে ধরপাকড়, নিপীড়ন ও হয়রানি বন্ধ করা, পিসিপি ও ডিওয়াইএফ নেতা-কর্মীদের উপর দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং গোমতি বাজারে সমাবেশের অনুমতি প্রদানের দাবি জানান।