খাগড়াছড়িতে মারমা কিশোরীকে গণধর্ষণের প্রতিবাদে কুদুকছড়িতে তিন সংগঠনের বিক্ষোভ

0

রাঙামাটি ।। খাগড়াছড়ি বাস টার্মিনালে মারমা কিশোকে গণধর্ষণ ও সেনাবাহিনী কর্তৃক সিন্দুকছড়ির ঠাণ্ডাছড়িতে ননজয় ত্রিপুরার জুম ঘরে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে রাঙামাটির সদর উপজেলার কুদুকছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সোমবার (০৫ জুলাই ২০২১) পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি), গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম (ডিওয়াইএফ) ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন (এইচডব্লিউএফ)-এর রাঙামাটি জেলাশাখাসমূহ যৌথভাবে এই বিক্ষোভের আয়োজন করে।

মিছিল পরবর্তী অনুষ্ঠিত সমাবেশে গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের প্রিয়তন চাকমার সঞ্চালনায় ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নিকি চাকমার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জিকো ত্রিপুরা ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি নিকন চাকমা।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম যেন ধর্ষক সেটলারদের একটি নিরাপদ স্থানে পরিণত হয়েছে। যা গত ৩ জুলাই ভোর রাতে খাগড়াছড়ি বাস টার্মিনালের মতো প্রশাসনের নিরাপত্তা বেষ্টিত জায়গায় মারমা কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনা তা-ই প্রমাণ করে।

বক্তারা আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি নারী ধর্ষণের ঘটনায় প্রশাসন ও বিচারে পক্ষপাতিত্বের কারণে অপরাধী গ্রেফতার হলেও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা হয় না এবং যথাযথ মেডিকেল রিপোর্ট প্রদানের ওপর গোপন নিষেধাজ্ঞা থাকার ফলে অপরাধীরা সহজে পার পেয়ে যায়। যার কারণে অপরাধীরা পার পেয়ে বারবার এ ধরনের জঘন্যতম ঘটনা ঘটাতে সাহস পায়।

বক্তারা সিন্দুকছড়িতে সেনাবাহিনী কর্তৃক নিরীহ জুমচাষীর ঘর পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সরকার যেখানে গরীব ও অসহায় মানুষকে ঘর নির্মাণ করে দেয়ার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সেখানে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর সদস্যরা নিরীহ পাহাড়ি জুমচাষীদের ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিচ্ছে, ভেঙে চুরমার করে দিচ্ছে। গত ২৯ জুন দিবাগত মধ্যরাতে গুইমারার সিন্দুকছড়ির পক্ষীমুড়ো এলাকার ঠাণ্ডাছড়িতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা অমানবিকভাবে নিরীহ গ্রামবাসী ননজয় ত্রিপুরার জুম ঘরটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে এবং অপর আরো এক গ্রামবাসীর বাড়ি ভেঙে দিয়েছে। এর ফলে সেখানকার বসবাসরত পাহাড়িরা বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতা ও উচ্ছেদ আতঙ্কে রয়েছেন। সেনাবাহিনীর মতো একটি রাষ্ট্রীয় বাহিনীর জনগণের উপর এমন অমানবিকতা কাম্য নয় বলে বক্তারা মন্তব্য করেন।

সমাবেশ থেকে বক্তারা মারমা কিশোরীকে ধর্ষণকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ও পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘটিত সকল ধর্ষণের ঘটনার বিচার এবং সিন্দুকছড়িতে গ্রামবাসীর ঘর পুড়ে দেয়ার ঘটনায় জড়িত সেনা সদস্যদের আইনের আওতায় আনা ও সিন্দুকছড়িসহ গোটা পার্বত্য চট্টগ্রামে কথিত উন্নয়ন, পর্যটন ও ক্যাম্প স্থাপনের নামে ভূমি বেদখল বন্ধ করার দাবি জানান।


সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More