খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ’র অবরোধে পুলিশের রাবার বুলেট নিক্ষেপ, সেনাবাহিনীর ফাঁকা গুলি : কয়েকজন আহত

0

খাগড়াছড়ি : খাগড়াছড়িতে আজ শনিবার ইউপিডিএফের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধে পিকেটারদের উপর পুলিশের রাবার বুলেট নিক্ষেপ, সেনাবাহিনীর ফাঁকা গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের ছোঁড়া রাবার বুলেটে কয়েকজন পিকেটার আহত হয়েছে। এছাড়া বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

শনিবার সকাল ৬টা থেকে পিকেটাররা খাগড়াছড়ি জেলা শহরসহ উপজেলাগুলোতে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছের গুড়ি ফেলে অবরোধ কর্মসূচি পালন শুরু করে।

অবরোধের কারণে জেলা ও উপজেলাসমূহে দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল।

এদিকে, অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে জেলা সদরসহ উপজেলাগুলোতে সেনা-বিজিবি-পুলিশের টহল জোরদার করা হয়।

সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রাস্তায় টায়ার জ্বালানোর সময় খাগড়াছড়ি শহরের চেঙ্গী ব্রীজ এলাকায় পুলিশ পিকেটারদের উপর বিনা উস্কানিতে হামলা চালায় ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে রাবার বুলেট বিদ্ধ হয়ে কমপক্ষে ৩-৪ জন পিকেটার আহত হন। এর মধ্যে একজনের বুকে রাবার বুলেট বিদ্ধ হয়।

# পিকেটারদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ছুঁড়ছে পুলিশ
# পুলিশের রাবার বুলেটে আহত এক পিকেটার

দুপুর ১২টার খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার গাছবান এলাকায় পিকেটারা রাস্তায় অবস্থান নিয়ে পিকেটিং করলে সেনাবাহিনীর সদস্যরা বিনা উস্কানিতে ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে পিকেটারদের ধাওয়া করে। এছাড়াও

খাগড়াছড়ি সদরের কৃষি গবেষণা এলাকার ৩ মাইল নামক স্থানেও পুলিশ পিকেটারদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ছুঁড়েছে।

জেলার দীঘিনালার মাইনী ব্রিজ এলাকায় সকাল ৭টায় অবরোধের সমর্থনে টায়ার জ্বালানোর সময় সেনাবাহিনী পিকেটারদের ধাওয়া করে।

পানছড়ির লতিবান এলাকায় সেনাবাহিনীকে সাথে নিয়ে জেএসএস(এমএন লারমা)-এর কতিপয় কর্মী অবরোধ পালনে বাধা দেয় এবং পিকেটারদের লক্ষ্য করে ৩ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। তবে এতে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

পিকেটারদের একজন সিএইচটি নিউজ ডটকমকে বলেন,  “সেনাবাহিনীকে সাথে নিয়ে জেএসএস (এমএন লারমা)-এর পানছড়ি থানা শাখার সদস্য টিটু চাকমার নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী অস্ত্র হাতে আমাদের ধাওয়া করে। এসময় সেনা সদস্যরা তাদের পেছনে ছিল। তারা আমাদের লক্ষ্য করে গুলি করে।”

তিনি আরো বলেন, এলজি হাতে পিকেটারদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে জেএসএস (এমএন লারমা) নামধারী সন্ত্রাসীরা হুমকি দিয়ে বলে “মিঠুন চাকমাকে আমরা হত্যা করেছি, তোমরা কেউ পানছড়িতে থাকতে পারবে না”।

এছাড়া জেলার রামগড়, মানিকছড়ি, লক্ষ্মীছড়ি, গুইমারা, মাটিরাঙ্গা, মহালছড়ি উপজেলায়ও বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া স্বতঃস্ফুর্তভাবে অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

এদিকে, অবরোধ পালনকালে পিকেটারদের উপর পুলিশের হামলা-রাবার বুলেট নিক্ষেপ, সেনাবাহিনীর ফাঁকা গুলি বর্ষণের প্রতিবাদে ও মিঠুন চাকমার খুনি নব্য মুখোশ বাহিনীর সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে আগামীকারবিবার (৭ জানুয়ারি ২০১৮) আবারো সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
—————
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More