খাগড়াছড়িতে পিসিপি’র রামু পরিদর্শন টীমের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
সিএইচটিনিউজ.কম
সিএইচটিনিউজ.কম
পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের উদ্যোগে রামু পরিদর্শন টীমের সফর অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে আজ ৩১ অক্টোবর বুধবার বিকালে খাগড়াছড়ির ঠিকাদার সমিতি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। গত ২৩ অক্টোবর পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের ১৫ সদস্যের একটি তদন্ত টীম গত ২৯-৩০ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের রামুতে উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর হামলা ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত বৌদ্ধ অধ্যুষিত এলাকা পরিদর্শন করেন।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রুবেল চাকমা। রামু-উখিয়া সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে মূল বক্তব্য লিখিতভাবে পাঠ করেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য পলাশ চাকমা। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট-এর সংগঠক মিঠুন চাকমা, রিকো চাকমা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি সোনালী চাকমা।
সভায় আলোচকগণ বলেন, কক্সবাজারের রামু-উখিয়া ও চট্টগ্রামের পটিয়ায় সংঘটিত সাম্প্রদায়িক হামলা ছিলো পরিকল্পিত এবং এই হামলার পেছনে স্থানীয় আওয়ামীলীগ-বিএনপি-জামাত সহ সকল দলেরই অংশগ্রহণ ছিলো।
বক্তারা আরো বলেন, রামুর মতো হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা পার্বত্য চট্টগ্রমে অহরহ ঘটছে। গত ২২ সেপ্টেম্বর রাঙামাটিতে যে হামলা হয়েছে তাও ছিলো ভয়াবহ। এতে ৬০ জনের অধিক হামলার শিকার হয়েছিলেন। কোটি কোটি টাকার সম্পদহানি ঘটেছে।
তারা বলেন, গত ২০১১ সালের ৩০ জুন তড়িঘড়ি করে সংবিধান সংশোধন করে বাংলাদেশকে জাতিগতভাবে ‘বাঙালী জাতির‘ দেশ হিসেবে ঘোষণা করা এবং ইসলাম ধর্মকে রাষ্ট্রীয় ধর্ম হিসেবে ঘোষণার কারণে উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী এই ধরণের হামলা-অগ্নিসংযোগের আস্কারা এবং সুযোগ পাচ্ছে। সংবিধান সংশোধন করে বাংলাদেশকে বহুজাতি ও ভাষার দেশ হিসেবে ঘোষণা না করা পর্যন্ত এই হামলা আগামীতে আরো বেড়ে যাবে বক্তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
এই ধরণের সাম্প্রদায়িক হামলার বিরুদ্ধে দেশব্যাপী ঐক্যবদ্ধ ও জোরদার রাজনৈতিক সংগ্রাম সংঘটিত হওয়া প্রয়োজন বলে বক্তারা আলোচনা সভায় মত প্রকাশ করেন।