খাগড়াছড়িতে মুক্তি বাহিনী কর্তৃক জুম্ম হত্যার বার্ষিকী পালিত
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি, সিএইচটিনিউজ.কম
খাগড়াছড়িতে ‘৭১ সালে মুক্তি বাহিনী কর্তৃক জুম্ম হত্যার ৪০তম বার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে নিহতদের স্মরণে আজ ১৪ ডিসেম্বর, বুধবার দুপুর ২টায় ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা ইউনিটের উদ্যোগে ভাইবোন ছড়া ইউনিয়নের গাছবানে এক স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক (ইউপিডিএফ)-এর খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা ইউনিটের প্রধান সংগঠক কালোপ্রিয় চাকমা, পেরাছড়া ইউনিটের সংগঠক সুকিরণ কান্তি খীসা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কণিকা দেওয়ান, ভাইবোন ছড়া ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার প্রিয়লাল চাকমা ও গাছবান এলাকার মুরুব্বী কনক বরণ চাকমা। স্মরণ সভা শুরুতে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
স্মরণ সভায় বক্তারা বলেন, দীর্ঘ ৪০ বছর পেরিয়ে গেলেও মুক্তিবাহিনী কর্তৃক জুম্ম হত্যার ঘটনা ধামাচাপাই রয়ে গেছে। মুক্তি বাহিনী কর্তৃক এই হত্যাকান্ডের মধ্যে দিয়েই পার্বত্য চট্টগ্রামে জুম্ম হত্যার ইতিহাসের সূচনা হয়। যা আজ পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে।
বক্তারা আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের নিপীড়নের প্রকৃত ইতিহাস জানার জন্য এসব ঘটনাগুলো জাগরিত করে আমাদের নতুন প্রজন্মকে ইতিহাস সচেতন করতে হবে।
কনক বরণ চাকমা মুক্তি বাহিনী কর্তৃক হত্যাকান্ডের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, “চোখের সামনেই আমার দুই ভাইকে মুক্তিবাহিনী গুলি করে হত্যা করেছে। এ ঘটনা মনে পড়লে আজো আমি শিউরে উঠি।” তিনি এ হত্যাকান্ডের তদন্ত দাবি করেন।
বক্তারা মুক্তি বাহিনী কর্তৃক পার্বত্য চট্টগ্রামে জুম্ম হত্যার ঘটনা তদন্তের দাবি জানিয়ে বলেন, ‘৭১‘র মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার যেমন হওয়ার দরকার তেমনি পার্বত্য চট্টগ্রামে মুক্তিবাহিনী কর্তৃক জুম্ম হত্যার তদন্ত ও বিচার হওয়া দরকার।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ির ভাইবোন ছড়া ইউনিয়নের কুকিছড়া( গাছবান) এলাকায় মুক্তিবাহিনীকর্তৃক লাইনে দাঁড় করিয়ে এক সাথে ৭ জন সহ পৃথক পৃথকভাবে ১৪ জন জুম্মকে গুলিকরেনৃশংসভাবে হত্যা করা হয় এবং প্রায় ১৩টি বাড়িঘর আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়।