খাগড়াছড়িতে শ্রীমৎ চন্দ্রমণি মহাস্থবিরকে গণসংবর্ধনা

0

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি, সিএইচটিনিউজ.কম
Gonosongbordonaমায়ানামার সরকারের রাষ্টীয় সন্মান  “সদ্ধর্ম জ্যোতিকা ধব্জা”সর্বোচ্চ উপাধি লাভ করায় আলুটিলাস্থ আলোক নবগ্রহ ধাতু চৈত্য বৌদ্ধ বিহারের প্রতিষ্ঠাতা ও রুপকার শ্রীমৎ চন্দ্রমনি মহাস্থবির ভান্তেকে খাগড়াছড়ি জেলাবাসীর পক্ষ থেকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে । আজ(শুক্রবার) সাংকসসনগর, আলুটিলা আলোক নবগ্রহ ধাতু চৈত্য বৌদ্ধ বিহার প্রাঙ্গনে বিহার পরিচালনা কমিটি’র উপদেষ্টা ও পার্বত্য বৌদ্ধ মিশনের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ সুমনা লংকার মহাস্থবিরের সভাপতিত্বে ধর্মালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ধর্মদেশনা দেন রাংগামাটি’র রাজবন বিহারের অধ্যক্ষ জিন প্রিয় মহাস্থবির, বনভান্তে শিষ্য বীরসেন ভিক্ষুসহ উপস্থিত ভান্তেরা ।

ধর্মীয় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়াম্যান চাইথোঅং মারমা । বক্তব্য রাখেন হেডম্যান এসোসিয়েশনের সভাপতি কংজরী চৌধুরী, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও বিহার পরিচালনা কমিটি’র সদস্য কল্যান মিত্র বড়ুয়া, মারমা উন্নয়ন সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটি’র সদস্য ক্যজরী মারমা । বিকালে ছিমিথং বা হাজার প্রদীপ পূজা প্রজ্জ্বলন করা হয় । এর আগে জনবল বৌদ্ধ বিহারে গত ১২, ১৩ ফেব্রুয়ারী কর্মসূচীতে গনশ্রমন দীক্ষা গ্রহন, ধর্মদেশনা ও ভবেচক্র(ব্যুহচক্র) মেলা আয়োজনে সাধারন মানুষের ঢল নামে । আহমথং(অন্ন চৈত্য পূজা), সহস্র পুস্প পূজা, ধর্ম দেশনা ও ভবেচক্র মেলা প্রদক্ষিণ করা হয় ।

বক্তারা বলেন, “সদ্ধর্ম” অর্থ সঠিকভাবে ধর্ম পালনের পরিচর্যা যথাযথ কল্যানময় মূল্যবান সহিত রক্ষা করা বুঝায় । আত্মমানবতায় সকল প্রানীর প্রতি সহমর্মিতা দেখিয়েছেন । মহাপুরুষ যে জায়গায় জন্ম হয়, সে এলাকার আশে-পাশে জনমানুষ সূখে-শান্তিতে বসবাস উপযোগী হয় । পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ের এই প্রথমবারে মত সবোর্চ্চ ”ধব্জা” উপাধিটি সকলের মনে ধারন করে লালন করতে হবে । কারন নির্বানে দিকে লাভ করতে পুণ্য পুরুষ বুদ্ধজাতির মধ্যে সদ্ধর্ম ধারক ও বাহক ।

৩ দিন ব্যাপী বৌদ্ধ মেলা পুণ্যানুষ্ঠান উপলক্ষে গনশ্রমণ, ভবে চক্র মেলা, সহস্র পুষ্প পুজা, সহস্র তাম্বল পুজা, সহস্র প্রদীপ পুজা ও অন্ন চৈত্য পুজাসহ বিশেষ আয়োজন ছিল । অনুষ্ঠানে জেলার ৯টি থানার বিভিন্ন এলাকা থেকে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষরা অংশ গ্রহন করেন।

সকালে বুদ্ধমর্তি দান, সংঘদান, অষ্ট পরিস্কার দান, সিবলী পুজা ও বিকেলে চুরাশি হাজার প্রদীপ প্রজ্জলন করা হয়।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More