খাগড়াছড়িতে সন্তু গ্রুপের সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে দুই ইউপিডিএফ সদস্য নিহত

0

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি, সিএইচটিনিউজ.কম
Killed
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার ভাইবোন ছড়া ইউনিয়নের বরইতলীতে জেএসএস সন্তু গ্রুপের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে দুই ইউপিডিএফ সদস্য নিহত হয়েছেন। তারা হলেন নতুন কুমার চাকমা ওরফে কারণ (৪৫) ও প্রতুলময় চাকমা ওরফে রকেট(৩০)। আজ ১২ এপ্রিল শনিবার (বৈসাবি’র ১ম দিন) সকাল সাড়ে ৮টায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত নতুন কুমার চাকমা পানছড়ি উপজেলার ছোট পানছড়ি গ্রামের মৃত নলমনি চাকমার ছেলে ও প্রতুলময় চাকমা বাঘাইছড়ির সাজেক ইউনিয়নের মাজলঙের ডিপু পাড়ার বসন্ত চাকমার ছেলে।

স্থানীয় ও ইউপিডিএফ সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকালে নতুন কুমার চাকমা ও প্রতুলময় চাকমা খাগড়াছড়ি-পানছড়ি সড়কের বরইতলী নামক স্থানে একটি দোকানে যান। সেখানে তারা স্থানীয় লোকজনের সাথে বৈসাবি উৎসব নিয়ে কথাবার্তা বলছিলেন। এ সময় হঠাৎ করে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা জেএসএস সন্তু গ্রুপে ৫ জনের একটি সশস্ত্র দল তাদের উপর হামলা করতে এগিয়ে আসলে জীবন বাঁচানোর তাগিদে তারা দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এসময় সন্ত্রাসীরা তাদের পিছু ধাওয়া করতে করতে চেঙ্গী নদীর পাড়ে নিয়ে গিয়ে উপর্যুপুরি ব্রাশফায়ার করে নির্মমভাবে হত্যা করে। তাদের মৃত্যু নিশ্চিত করে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।

ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ)-এর খাগড়াছড়ি জেলা ইউনিটের সমন্বয়ক প্রদীপন খীসা এক বিবৃতিতে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে তিনি  এ ঘটনাকে ন্যাক্কারজনক ও কাপুরুষোচিত উল্লেখ করে বলেন, বৈসাবি উৎসবের দিন ১ম দিন এ হত্যাকান্ডের মধ্যে দিয়ে সন্তু লারমা আবারো প্রমাণ দিলেন তিনি  খুন-খারাবি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ছাড়া আর কোন কিছুই বুঝেন না। যেখানে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ আনন্দ মুখর পরিবেশে বৈসাবি উৎসব পালন শুরু করেছেন সেখানে সন্তু লারমা তার সশস্ত্র গুন্ডাদের লেলিয়ে দিয়ে বৈসাবি উৎসবের সময়ে আবারো খুন-খারাবিতে মেতে উঠেছেন। এর চেয়ে জঘন্য মানসিকতা আর কি থাকতে পারে!

বিবৃতিতে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, খুন-খারাবি চালানোর মাধ্যমে সন্তু লারমা পার্বত্য চট্টগ্রামে একজন দানবে পরিণত হয়েছেন। যার কারণে উৎসবের দিনও তিনি খুন-খারাবি করতে কোন দ্বিধাবোধ করছেন না। এই খুনী দানবটি যতক্ষণ পর্যন্ত বেঁচে থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ আর সুখে-শান্তিতে থাকতে পারবে না। বিবৃতিতে তিনি অচিরেই এইসব দানবীয় কর্মকান্ড পরিহার করার জন্য আবারো সন্তু লারমার প্রতি আহ্বান জানান। অন্যথায় এর জন্য করুণ পরিণতি ভোগ করতে হবে বলেও হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেন।

বিবৃতিতে তিনি অবিলম্বে দুই ইউপিডিএফ সদস্যকে হত্যার সাথে জড়িত সন্তু গ্রুপের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও শাস্তি এবং খুনী সন্তু লারমাকে আঞ্চলিক পরিষদ থেকে অপসারণ করে খুন-খারাবির দায়ে তার দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানান।

খাগড়াছড়ি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ লাশ উদ্ধারে ঘটনাস্থলে গেছে।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More