খাগড়াছড়ির জিরোমাইল এলাকায় উদ্ভুত সমস্যা নিরসনে পাহাড়ি-বাঙালিদের নিয়ে মতবিনিময় সভা
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি, সিএইচটিনিউজ.কম
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার জিরো মাইল এলাকায় গত ১৫ এপ্রিল তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাহাড়িদের উপর সেটলারদের হামলা ও উভয় পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনায় উদ্ভুত পরিস্থিতি নিরসন কল্পে শুক্রবার সকালে ৩নংগোলাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে পাহাড়ী-বাংগালী নিয়ে আইন শৃংখলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গোলাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জ্ঞান ত্রিপুরার সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান চঞ্চুমনি চাকমা, সদর সাকেলের সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ সারোয়ার হোসেন, সদর উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান রনিক ত্রিপুরা, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান বিউটি রানী ত্রিপুরা, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃ মিজানুর রহমান, ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার উহ্লামং মগ, ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার মেঘনাথ ত্রিুপুরা, মহিলা মেম্বার জামেলা বেগম, মোঃ ইসহাক(গঞ্জ পাড়া), বিডিআরে’র অবস্বরপ্রাপ্ত সদস্য মংসাজাই মারমা(হেডম্যান পাড়া), থোয়াইহ্লাপ্রু মারমা(দক্ষিন গোলাবাড়ী), কালাচান চৌধুরী(রাজবাড়ী পাড়া), দিদারুল আলম দিদার(ব্রিকফিল্ড এলাকা), হ্লাব্রেমং মগ প্রমূখ ।
সভায় বক্তারা পাহাড়ি বা বাংগালী যেই হোক প্রকৃত দুস্কৃতিকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার আহবান জানান।
মতবিনিময় সভায় উভয় পক্ষের আলোচনা-পর্যালোচনার পর ঘটনা তদন্তে ৩নং গোলাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান জ্ঞান ত্রিপুরাকে আহবায়ক করে ৭সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃ মিজানুর রহমান জানান, সামন্য মোবাইল নিয়ে সংঘটিত ঘটনাটি অনভিপ্রেত ও অনাকংখিত। এ ঘটনায় ১৫ জনের নাম সু-নিদির্ষ্ট উল্লেখপূর্বক ৫০/৬০জনকে অজ্ঞাত আসামী করে দায়েরকৃত এজহার সদর থানায় অভিযোগ আকারে নথিভুক্ত করা হয়েছে ।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার জিরোমাইলের হর্টিকালচার পার্ক এলাকায় একটি মোবাইল ভাঙাকে কেন্দ্র করে দুই যুবকের মধ্যেকার সৃষ্ট মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেটলার বাঙালিরা গোলাবাড়ি এলাকায় কয়েকটি গ্রামে পাহাড়িদের বেশ কয়েকটি ঘরবাড়িতে বিক্ষিপ্তভাবে হামলা ও লুটপাট চালিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের এক সব-ইন্সপেক্টরসহ উভয়পক্ষের মধ্যে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়।