খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ির ঘটনা প্রসঙ্গে আইএসপিআর-এর বক্তব্য ভিত্তিহীন -ইউপিডিএফ
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিএইচটিনিউজ.কম
খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি উপজেলাধীন দুল্যাতলী ইউনিয়নের চাল্যাতলীতে ৪ মার্চ সংঘটিত ঘটনা সম্পর্কে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) যে বিবৃতি দিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) তা অসত্য ও প্রকৃত ঘটনা আড়াল করার অপচেষ্টা বলে মন্তব্য করেছে।
ইউপিডিএফ খাগড়াছড়ি জেলা ইউনিটের প্রধান সংগঠক প্রদীপন খীসা আজ, ১৭ মার্চ, বৃহস্পতিবার সংবাদপত্রে দেয়া এক বিবৃতিতে উক্ত ঘটনা সম্পর্কে ইতিপূর্বে পার্টির পক্ষ থেকে দেয়া বক্তব্যকে সম্পূর্ণ সঠিক উল্লেখ করে বলেন, ঐদিন লক্ষ্মীছড়ি জোন কমান্ডার লেঃ কঃ সালাউদ্দীন আল মুরাদের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল চাল্যাতলীতে গিয়ে জেএসসি ও প্রাইমারী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীদের জন্য আয়োজিত সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে বিনা উস্কানিতে হামলা চালিয়েছিল। তাদের ওই হামলায় কমপক্ষে দশজন আহত হন৷ তবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত লোকজন এবং বিশেষত নারীরা প্রতিরোধ করলে এতে লক্ষ্মীছড়ি জোন কমান্ডার লেঃ কঃ সালাউদ্দীন আল মুরাদসহ ৩ জন সেনা সদস্যও আহত হন। জনতার প্রতিরোধের মুখে পালাতে গিয়ে সেনারা ৩টি টুপিও ফেলে আসে বলে জানা যায়।
আইএসপিআর-এর বিবৃতিতে “ওই দিন সচিব চাকমার নেতৃত্বে ইউপিডিএফ-সমর্থিত ১০-১২ জন সশস্ত্র সদস্য সমাবেশস্থলে অবস্থান” নেয়া এবং “এলাকার লোকজনকে সমাবেশে যোগ দিতে বাধ্য” করার যে অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে তা হাস্যকর ও চরম মিথ্যাচার বলে ইউপিডিএফ নেতা উড়িয়ে দিয়েছেন।
অনুষ্ঠানের অনুমতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সাধারণতঃ ছাত্রছাত্রীদের সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে অনুমতি নেয়ার প্রয়োজন হয় না৷ পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ অন্যান্য জায়গায় সব সময়ই এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে।
ইউপিডিএফ নেতা বলেন, লক্ষ্মীছড়ির জোন কমান্ডারের মতো একজন দায়িত্বশীল সেনা কর্মকর্তা পেশাগত দায়িত্ব বহির্ভূত ক্ষমতার দাপট দেখাতে গিয়ে বার বার জনতার হাতে লাঞ্ছিত, অপমানিত ও হেনস্থা হয়ে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছেন৷ তা সত্ত্বেও আইএসপিআর কর্তৃক বিবৃতি দিয়ে অসত্য কথনের মাধ্যমে তার অপকর্ম জায়েজ করার চেষ্টা কল্পনা চাকমার অপহরণকারী লে. ফেরদৌসের ঘটনাই মনে করিয়ে দেয়৷ আইএসপিআর কর্তৃক পরিবেশিত বিবৃতি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং অগ্রহণযোগ্য।