খাগড়াছড়ি আসনে ইউপিডিএফ মনোনীত প্রার্থী প্রসিত বিকাশ খীসার নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ

0

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিএইচটিনিউজ.কম
দুর্বত্ত-দুষ্টচক্র থেকে সমাজ রক্ষার্থে ভোট বিপ্লব সংগঠিত করার আহ্বানে আসন্ন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৮ নং খাগড়াছড়ি সংসদীয় আসনে ইউপিডিএফ মনোনীত প্রার্থী প্রসিত বিকাশ খীসার সমর্থনে নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করা হয়েছে। এবারের নির্বাচনে প্রসিত বিকাশ খীসা হাতি মার্কায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ইশতেহারে ‘বিতর্কিত পঞ্চদশ সংশোধনী আইন বাতিল করে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের সকল জাতিসত্তার জাতীয়তার স্বীকৃতির দাবিতে জনমত গঠন ও আন্দোলন সংগঠিত করা; দুর্বল, সংখ্যালঘু, অনগ্রসর, পশ্চাদপদ পিছিয়ে পড়া জাতি, সম্প্রদায় ও জনগোষ্ঠীর স্বীকৃতি-অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ভূমিকা রাখা’ সহ ১০ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

Menifesto1জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা ও সমন্বয় কমিটি কর্তৃক ২৫ ডিসেম্বর প্রকাশিত ৬টি শিরোনামে ১২ পৃষ্ঠার ইশতেহারে প্রথমে প্রস্তাবনা ও আমাদের পর্যবেক্ষণ অংশে বলা হয়েছে, লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন দেশে আজও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নেই। কাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাও সুদূর পরাহত। স্বাধীনতার ৪২ বছর পরও হানাদার পাকসেনাদের কায়দায় ভিন্ন ভাষা-ভাষী জাতি ও সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, ঘরবাড়ি-মন্দির-উপাসনালয়ে অগ্নিসংযোগ-লুটপাট-নারী নির্যাতন ও উচ্ছেদ অভিযান চলে। তাইন্দ্যং-রাঙ্গামাটি-রামু-উখিয়া-সাতকানিয়া-পটিয়া-সাতক্ষীরার ক্ষতচিহ্ন এখনও রয়েছে দগদগে অবস্থায়। সাধের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আজও শাসকের গুলি খেয়ে প্রাণ দিতে হচ্ছে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের। সাধারণ কর্মজীবী নিরপরাধ মানুষকে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মর্মান্তিকভাবে প্রাণ দিতে হয় অবরোধ-হরতালের দিনে–যা যে কোন জাতির জন্য খুবই বেদনাদায়ক ও লজ্জাজনক।

ইশতেহারে ‘নির্বাচনী সংকট: শর্ষের মধ্যে ভূত’  শিরোনামের অংশে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে সংকট তৈরি হয়েছে তা ব্যাখ্যা করে বলা হয়, সংকটের অন্য প্রধান কারণটি হচ্ছে ক্ষমতাসীনদের মনস্তাত্ত্বিক দৃষ্টিভঙ্গি, যা প্রকারান্তরে পাকিস্তানি শাসকচক্রের মনোভাবেরই প্রতিফলন। ক্ষমতায় থাকলে ভিন্ন মত ভিন্ন জাতির অস্তিত্ব সহ্য না করা, দমন-পীড়ন চালিয়ে সর্বোত উপায়ে তাদের কোণঠাসা ও প্রান্তিক করে রাখাই ক্ষমতাসীনরা নীতি হিসেবে গ্রহণ করেছে। একটি রাষ্ট্রে-সমাজে সংখাগুরু জাতির বাইরে সংখ্যালঘু আরও ভিন্ন জাতি-সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব থাকে, তারাও সংখ্যাগুরু জনগণের মত একই নাগরিক, অধিকার-মান মর্যাদা পাবার অধিকারী—ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকলে তা বিবেচনায় থাকে না শাসকচক্রের। নিজেদের ক্ষমতা নিরঙ্কুশ ও চিরস্থায়ী করতে ন্যায়-নীতির থোড়াই পরোয়া করে, ছলা-কলা-হীন পন্থা হয় তাদের অবলম্বন।

‘জনগণের কাঠ গড়ায় অপরাধী’ শিরোনামের অংশে বলা হয়, পার্বত্যবাসীদের নিকট প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ, প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও ‘বাঙালি জাতীয়তা’ আরোপ, তাইন্দ্যং-সাজেক-রাঙামাটি হামলা, সর্বক্ষেত্রে দলীয়করণ, আঞ্চলিক পরিষদ-জেলা পরিষদে নির্বাচন না দিয়ে নিয়োগ বাণিজ্য, দুর্নীতি-ক্ষমতার অপব্যবহার — ইত্যাদি বহুবিধ কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি-বাঙালি সবাই ক্ষমতাসীন দলের ওপর ভীষণ ক্ষুব্ধ। এ দলের সাথে যুক্ত হয়ে কতিপয় লোক আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছে। অর্থ-বিত্ত-বাড়ি-গাড়ি কোন কিছুই তাদের বাকী নেই, ব্যবসা-ঠিকাদারি-লাইসেন্স-পারমিট সবই তাদের হাতে। বেকার যুবকদের একাংশ সহজে প্রতিষ্ঠা পাবার স্বপ্নে যারা এ দলে ভিড়েছে, তারা ব্যক্তিগতভাবে তেমন কিছু অর্জন করতে পারে নি, আওয়ামী চেলাচামুণ্ডাদের হাতে প্রতারিত হয়েছে। সমাজে তাদের মান-মর্যাদা খোয়া গেছে, ‘পেটলীগ’ হিসেবে  তারা জনগণের তিরষ্কার লাভ করেছে।

ইশতেহারে ‘নির্বাচন নিয়ে সংশয়’ শিরোনামের অংশে বলা হয়, নির্বাচনে সহায়তার জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হলেও পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি ভিন্ন। এখানে দেশের এক তৃতীয়াংশ সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে, কল্পনা চাকমা অপহরণ-লোগাং-নান্যাচর হত্যাকা-সহ মানবাধিকার  লংঘনের অভিযোগে তাদের ভূমিকা এমনিতে বিতর্কিত। এ অঞ্চলে বিশাল সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকা সত্ত্বেও দেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবার ঝুঁকি মুক্ত হচ্ছে না, এ বিষয়টি যাতে রাষ্ট্র চিন্তাবিদগণ ভুলে না যান। নির্বাচনী কাজে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীকে নতুন করে মোতায়েনের প্রয়োজন হবে না তা স্পষ্ট। তবে আইনীভাবে তাদের মোতায়েনের ফলে সেনা কর্তৃত্বকে আরও নিরঙ্কুশ করা হবে। বেসামরিক প্রশাসন ও সাধারণ জনগণের ওপর সেনা সদস্যদের খবরদারিমূলক কর্মকা- বৈধতা পাবে সে আশঙ্কা আরও প্রবল হল। ইতিপূর্বে সরকার দলীয় মাস্তানদের অনুরূপ কতিপয় সেনা কর্মকর্তার ভোটারদের প্রভাবিত করা, এলাকা বিশেষে হুমকিমূলক অবস্থান নিয়ে ভোটারদের মনে ভীতি সঞ্চার, সাম্প্রদায়িকতায় উস্কানিদান, বিশেষ রাজনৈতিক দলের হয়ে চক্রান্তে লিপ্ত হওয়া–ইত্যাদি বহু অভিযোগ রয়েছে। প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে নিয়োজিত সেনা কর্মকর্তাগণের মধ্যে ক’জন বিতর্ক ও সমালোচনার উর্ধ্বে উঠে পেশাদারি নিষ্ঠা সততার সাথে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হবে, সেটা বলার সময় আসে নি। তবে বিগত অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকালে প্রতিষ্ঠান হিসেবে সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে নিরপেক্ষতা ও সততা প্রদর্শন করতে সক্ষম হয় নি।

এতে আরও বলা হয়, বর্তমান নির্বাচন কমিশন নানা কর্মকান্ডের ফলে বিতর্কিত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র গ্রহণ ও প্রত্যাখ্যানের ক্ষেত্রে কমিশনের দুর্বলতা ও পক্ষপাতিত্ব দিবালোকের মত স্পষ্ট। জেএসএস (লারমা)-এর সভাপতির একই মনোনয়নপত্র খাগড়াছড়িতে বাতিল হলেও, রাঙামাটিতে তা গৃহীত হয়। আর বান্দরবানে সরকারি দলের প্রার্থীর মনোনয়নপত্রে ত্রুটি থাকা সত্ত্বেও তা রিটার্নিং অফিসার বাতিল করে দিতে সক্ষম হন নি। অথচ খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ-এর এক প্রার্থী অংগ্য মারমার সমর্থনকারীকে চূড়ান্তভাবে যাচাইয়ের সুযোগই দেয়া হয় নি। আরও রহস্যজনক ব্যাপার, ইউপিডিএফ-এর অপর প্রার্থী উজ্জ্বল স্মৃতি চাকমা খাগড়াছড়ি আসনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করলেও তা রিটার্নিং অফিসার গ্রহণ করেন নি, লটারি দিয়ে তার মার্কাও নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। বুঝতে বাকী থাকে না, এ আসনে ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি ও ভোটে বিভাজন ঘটাতে একটি শক্তিশালী  পক্ষ বেশ সক্রিয়। কেন্দ্রীয় নির্দেশে জাতীয় পার্টির সমর্থনে খাগড়াছড়ির আওয়ামী লীগের প্রার্থী নিজ প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আবেদন করেও একই কারণে তা গৃহীত হয় নি। অথচ দেশের অন্যত্র প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৩ ডিসেম্বরের ২ দিন পর ১৫ ডিসেম্বরেও আওয়ামী লীগের লোকজন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন।

ইশতেহারে ‘দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও ইউপিডিএফ’ শিরোনামের অংশে বলা হয়েছে, পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রেক্ষাপট সারা দেশের অবস্থা থেকে বহুলাংশে ভিন্ন, এ বাস্তব সত্য কেউ অস্বীকার করতে সক্ষম হবেন না। ক্ষমতাসীন দল ও বিএনপি’কে সঙ্গত কারণে এ অঞ্চলের জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন হিসেবে বিবেচনাও করা হয় না। পার্বত্য চট্টগ্রামে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও প্রধান বিরোধী দল বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থান দেশের অন্য অঞ্চলের মত নয়। এখানে এ দল দু’টি অন্য দশটি সাধারণ দলের মতই। কারণ এখানে জনগণের পক্ষে সংগ্রামরত আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলই বড় ফ্যাক্টর।

‘দ্বন্দ্ব কেবল ক্ষমতাসীন আর বিরোধী দলের নয়’ শিরোনামের অংশে বলা হয়, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট দ্বন্দ্ব বর্তমানে কেবল আওয়ামী রীগ আর বিএনপি দু’টি জোটের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এটি এক অর্থে জনগণের সাথে সরকারের দ্বন্দ্বে পরিণত হয়েছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ রাজনীতিকে সিন্ডিকেটের বাণিজ্যের স্টাইলে পরিণত করে ফেলেছে। ৫ জেলার জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। নিজেদের মতামত প্রদানের তথা ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে দেশের নাগরিকদের রাজপথে নামতে হবে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়েছে।

ইশতেহারের ৬ষ্ঠ শিরোনাম হচ্ছে ‘কী চায় ইউপিডিএফ’। এ অংশে সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হলে ইউপিডিএফ  কী কী বিষয় গুরুত্ব দেবে তা ১০ দফা আকারে  তুলে ধরা হয়েছে।

প্রকাশিত ইশতেহারে দুর্বৃত্ত-দুষ্টচক্র থেকে সমাজ রক্ষার্থে ভোট বিপ্লব সংগঠিত করা ও সমাজে ন্যায় নীতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে হাতি মার্কায় ভোট দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

ইশতেহারে ঘোষিত ১০ দফা হলো:

১। বিতর্কিত পঞ্চদশ সংশোধনী আইন বাতিল করে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের সকল জাতিসত্তার জাতীয়তার স্বীকৃতির দাবিতে জনমত গঠন ও আন্দোলন সংগঠিত করা। দুর্বল, সংখ্যালঘু, অনগ্রসর, পশ্চাদপদ পিছিয়ে পড়া জাতি, সম্প্রদায় ও জনগোষ্ঠীর স্বীকৃতি-অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ভূমিকা রাখা।

২। উগ্র জাতীয়তাবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদ, ধর্মান্ধতার বিরোধিতার পাশাপাশি আঞ্চলিকতা ও গোত্রভিত্তিক সংকীর্ণ জাতীয়তা যাতে গড়ে না ওঠে সে ব্যাপারে সযত্ন ভূমিকা রাখা। পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি-বাঙালি জনগণের মধ্যে বৈরিতা কাটিয়ে তুলে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও সংহতি প্রতিষ্ঠা করা।

৩। প্রত্যাগত, বঞ্চিত ও আভ্যন্তরীণ শরণার্থী, স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা শান্তিবাহিনী (’৮৫ ও ’৯৮) সবার যথাযথ পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ভূমিকা রাখা।

৪। ভূমি বেদখল রোধ ও বহিরাগতদের জীবিকার নিশ্চয়তাসহ সম্মানজনকভাবে তাদের আদি আবাসস্থলে পর্যায়ক্রমে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে সহায়তাদান।

৫। সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেয়া এবং দেশ রক্ষা ও উন্নয়নে পার্বত্য চট্টগ্রামের যুব সমাজকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে জনমত সৃষ্টি ও পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

৬। পাহাড়িদের মধ্যকার রাজনৈতিক বিরোধ উস্কে দিয়ে তাদের অস্তিত্ব বিলুপ্ত করার ধ্বংসাত্মক নীতি বন্ধ করতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা। পাহাড়িদের মধ্যে সামাজিক ও ধর্মীয় বিভাজন রোধ কল্পে ভূমিকা রাখা। মারমা জাতিসত্তার আভ্যন্তরীণ সমস্যাকে রাজনৈতিক মদদ দিয়ে সম্প্রদায় হিসেবে তাদের বিভক্ত ও দুর্বল করে রাখার শাসকচক্রের নীলনক্সা কার্যকর হতে না দেয়া।

৭। সমাজে নেশা জাতীয় দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ, অপসংস্কৃতি রোধ, সুস্থ বিনোদনের বন্দোবস্তকরণ; নারী অধিকার নিশ্চিতকরণ, যুব শক্তিকে দেশ গড়ার কাজে নিযুক্ত করতে উদ্বুদ্ধকরণ।

৮। বন-প্রকৃতি ও বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও পরিবেশ রক্ষার্থে সাধ্যমত ভূমিকা পালন। বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে জনগণকে সংগঠিত করে মোকাবিলা করা।

৯। সমাজে ন্যায়-নীতি প্রতিষ্ঠার আন্দোলন জোরদার করা এবং ক্ষমতাসীনদের সিন্ডিকেটের কবল থেকে ব্যবসা-বাণিজ্য, টেন্ডার-পারমিট ও চাকুরি অবমুক্ত করে সবার সমান সুযোগ প্রদানে ভূমিকা রাখা।

১০। দেশের আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে বহিঃ হস্তক্ষেপ-এর বিরোধিতা করা।

এছাড়া উক্ত দশ দফা বাদেও প্রথম জাতীয় কংগ্রেসে গৃহীত কর্মসূচি ও দাবিনামা অনুযায়ী ইউপিডিএফ কাজ করবে বলে ইশতেহারে বলা হয়েছে।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More