খাগড়াছড়ি ও দীঘিনালার সরকারী কর্মকর্তাদের পক্ষপাতদুষ্ট রিপোর্ট প্রসঙ্গে

0

সিএইচটি নিউজ.কম

মন্তব্য প্রতিবেদন:
সম্প্রতি দীঘিনালার বাবুছড়ায় বিজিবির জন্য জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী গ্রামবাসীদের উপর হামলা ও তৎপরবর্তী ঘটনাবলী সম্পর্কে প্রশাসনের স্থানীয় কর্মকর্তারা তাদের উচ্চতর কর্তৃপক্ষের কাছে যে চিঠি বা প্রতিবেদন লেখেন তার কপি আমাদের হাতে এসেছে। এই সব প্রতিবেদন অত্যন্ত একপেশে, পক্ষপাতদুষ্ট এবং আরো স্পষ্টভাবে বললে, তা বিজিবির ৫১ নং ব্যাটালিয়নের বক্তব্যেরই প্রতিধ্বনি।

imagesদীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফজলুল জাহিদ পাভেল ১৭ জুন ২০১৪ “দীঘিনালা উপজেলাধীন বাবুছড়া ৫১ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর এলাকায় সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত কার্যকলাপ সম্পর্কিত প্রতিবেদন” এ লেখেন,

‘গত ১০ জুন ২০১৪ বিকাল ৫ ঘটিকার দিকে আকষ্মিকভাবে বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন সন্তোষ কুমার কারবারী পাড়া, নতুন চন্দ্র কারবারী পাড়াসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকার অন্তত ৫০/৬০ জন বিভিন্ন বয়সী নারী লাঠি সোটা, দা, গুলতি ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র সহ বিজিবি ক্যাম্পের অধিগ্রহণকৃত জমিতে জোরপূর্বক প্রবেশ করে। এ সময় কর্তব্যরত পুলিশ এবং বিজিবি-এর সদস্যগণ তাদের আইনানুগভাবে বাঁধা দিতে গেলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।”*

খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মোঃ মাসুদ করিমের ১১ ও ১৫ জুনের রিপোর্টের বক্তব্যও মূলতঃ একই।**

তাদের ভাষ্য মতে, ৫০- ৬০ জন পাহাড়ি নারী লাঠিসোটা, দা, গুলতি ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র সজ্জিত কয়েক শ’ বিজিবি সদস্যের উপর হামলা করতে গেছেন। বিজিবির তথা খাগড়াছড়ি ও দীঘিনালার সরকারী কর্মকর্তাদের এই ভাষ্য হাস্যকর বললেও কম বলা হয়। এ ধরনের ঘটনা কেবল হলিউড কিংবা ঢালিউডের এ্যকশন বা মারদাঙ্গা ছবির মধ্যে দেখা যায়, যেখানে নায়ক একাই খালি হাতে মরণাস্ত্র সজ্জিত কয়েক ডজন গুণ্ডাকে শেষ ফেলে। তবে সিনেমায় ভিলেনরা খতম হলেও, বাবুছড়ার বাস্তব ঘটনায় ‘আক্রমনকারী’ নারীরাই মার খেয়েছে। তাই বিজিবি ও সরকারী কর্মকর্তাদের বক্তব্যের অর্থ দাঁড়ায়: কয়েক ডজন নারী, যাদের মধ্যে ১৬ বছরের বালিকা থেকে ৬০ বছরের বৃদ্ধা রয়েছেন, তারা আচ্ছাভাবে মার খাওয়ার জন্য প্রস্তর যুগের অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আধুনিক মরণাস্ত্র সজ্জিত বিজিবিকে হামলা করতে যায়। তাদের এই বক্তব্য যদি সত্য হতো, তাহলে আমি ও আমার বন্ধুরাই সবচেয়ে বেশী খুশী হতাম। পার্বত্য চট্টগ্রামে ‘সরলা-অবলা’ জুম্ম নারীদের এই ঈর্ষণীয় হিম্মত দেখে তাদের স্যালুট দিতাম।

ঐ প্রতিবেদনে আরো লেখা হয়:

“অতঃপর আকষ্মিকভাবে ১২ জুন দিবাগত রাতে বাবুছড়া ইউনিয়নের বাবুছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকার আনুমানিক ২০/২১টি পরিবারভুক্ত বিভিন্ন ব্যক্তি অবস্থান নেয় মর্মে জানা যায়। বিজিবির জন্য জমি অধিগ্রহণের ফলে তারা বাস্তুচ্যুত হয়েছে মর্মে দাবী করা হলেও মূলত তারা সকলেই পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করতেন।”

প্রতিবেদনকারী যে উচ্ছেদ হয়ে বাবুছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেয়া পরিবারগুলো সম্পর্কে সেখানে গিয়ে খোঁজ খবর না নিয়ে রিপোর্ট করেছেন তা তার বক্তব্য থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়। উচ্ছেদ করা হয়েছে যেমন “আকষ্মিকভাবে”, আশ্রয় নিয়েছেও “আকষ্মিকভাবে”। এটা তো স্বাভাবিক ব্যাপার। যদি আজ কয়েক পরিবার, আগামীকাল কয়েক পরিবার এভাবে সেখানে আশ্রয় নিতো, তাহলে বোঝা যেতো উচ্ছেদ হওয়ার অভিযোগ সাজানোও হতে পারে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, বিজিবি তাদের ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরের জন্য যে জায়গাটি এখন দখল করে আছে সেখানে ১৯৮৯ সালে লোকজন ভারতে শরণার্থী হওয়ার আগ পর্যন্ত লোকবসতি ছিল, এমনকি সেখানে তখন একটি মন্দিরও ছিল। ভারত থেকে ফিরে আসার পর লোকজন সেখানে বসতি গড়ে তুলতে চাইলে কিংবা বৌদ্ধ বিহারটি পুনঃনির্মণ করতে চাইলে পাশের বাবুছড়া জোনের আর্মিরা বার বার বাধা দেয়। এই ক্যাম্পটি ১৯৮৫ সালে ললিত মোহন চাকমা, বাচাঁরাম চাকমা, পিদিয়ে চাকমা ও শান্তিপদ চাকমার রেকর্ডীয় জমিতে জোর করে নির্মাণ করা হয়েছিল। জোনের ব্যবহৃত হেলিপ্যাড এর জমির মালিকও দু’জন পাহাড়ি। তারা আর্মিদের ভয়ে মামলা পর্যন্ত করতে সাহস পান না, খালি হাতে আর্মিদের বা বিজিবির উপর আক্রমণ করতে যাওয়া তো দূরের কথা।

১৯৮৯ সালে পাহাড়িরা ভারতে আশ্রয় নিলে যত্ন মোহন কার্বারী পাড়া ও শশী মোহন কার্বারী পাড়া জনশুন্য হয়ে যায়। এই সুযোগে আর্মিরা গ্রামের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলো টার্গেট প্র্যাকটিস ও অন্যান্য প্রশিক্ষণের জন্য বেদখল করে নেয়। তাছাড়া তখন পাহাড়িদের জমিতে একটি আনসার-ব্যাটালিয়নের ক্যাম্পও স্থাপন করা হয়, যা এখনও রয়েছে।

প্রতিবেদনে আরো অনেক অসত্য কথা লেখা হয়েছে, সেগুলো সম্পর্কে এখানে সংক্ষিপ্ত পরিসরে আলোচনা করা সমীচিন হবে না। তবে এখানে ইউপিডিএফকে জড়িয়ে ও সম্প্রতি নারেইছড়ি বাজার পুড়ে দেয়া প্রসঙ্গে যা বলা হয়েছে, সে সম্পর্কে দু’একটি কথা বলতে চাই।

জেলা প্রশাসক ১১ জুনের রিপোর্টে লেখেন, “বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ইউপিডিএফ নামীয় আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলটি যাবতীয় ঘটনায় ইন্ধন যুগিয়ে যাচ্ছে।” ১৫ তারিখের রিপোর্টে তিনি লেখেন, “বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় ইউপিডিএফ নামীয় আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠনের প্রত্যক্ষ মদদে বিজিবির ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করা এবং অধিগ্রহণ কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে কতিপয় ব্যক্তি বাস্তুচ্যুত হয়েছে এই মিথ্যা দাবী প্রতিষ্ঠিত করার উদ্দেশ্যে তাঁরা বাবুছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে অবস্থান নিয়েছে।” একই প্রতিবেদনে তিনি আরো লেখেন, “শুধুমাত্র বিজিবির উপর্যুক্ত ব্যাটালিয়ন স্থাপন কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করার হীন মানসে এবং স্থানীয় প্রশাসনকে বিব্রত করার উদ্দেশ্যে আঞ্চলিক দল ইউপিডিএফ সহ কতিপয় কুচক্রি মহল কর্তৃক বর্তমান পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে।”

এই কুচক্রি মহল কে বা কারা রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়নি। ইউপিডিএফ একটি রাজনৈতিক দল, যারা পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করছে। তারা বাবুছড়ায় জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে তার বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন করে তুলবে এতো অত্যন্ত স্বাভাবিক। গণভিত্তি সম্পন্ন যে কোন দল তা করবে। কিন্তু ইউপিডিএফের ‘ইন্ধনে’ গ্রামের মেয়েরা বিজিবির মার খেতে যাবেন সেটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। আর বিজিবির ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হলে ইউপিডিএফের কী লাভ? মোট কথা, জেলা প্রশাসকের উক্ত বক্তব্য রাজনৈতিক বক্তব্যের মতোই, অনুসন্ধানমূলক ও বস্তুনিষ্ট নয়। তিনি যে তার উপরিস্থ কর্তৃপক্ষকে খুশী করতে এভাবে রিপোর্টটি তৈরি করেছেন তা সহজেই অনুমেয়।

এবার নারেইছড়ি বাজার পুড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে আসা যাক। এই ঘটনাকে ব্যবহার করে বাবুছড়ায় বিজিবির ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর স্থাপনের যৌক্তিকতা তুলে ধরার চেষ্টা দীঘিনালা উপজেলা কর্মকর্তার উপরোক্ত রিপোর্টে স্পষ্ট। তিনি লিখেছেন,

‘বর্তমানে সংশ্লিষ্ট এলাকার আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টসহ কতিপয় আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠন অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার পাঁয়তারা করছে। প্রসংগত উল্লেখ্য যে, গত ৩ মে ২০১৪ ইং দুইটি আঞ্চলিক দলের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাবুছড়া ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী নাড়াইছড়ি বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছিল। পরবর্তীতে নাড়াইছড়ি এলাকার বিভিন্ন পাড়ার ৯২ জন ব্যক্তি সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করেছিল। আঞ্চলিক দল দুইটি তাদের আধিপত্য বজায় রাখার জন্য এখনো সচেষ্ট রয়েছে। অতি দুর্গমতার কারণে উক্ত এলাকায় কোন পুলিশ ক্যাম্প নেই। বিজিবি উক্ত এলাকায় টহল চালু করলে এ ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি আবশ্যিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়। বাবুছড়া এলাকার বিজিবি সদর দপ্তরটি পূর্ণাঙ্গরূপে কার্যক্রম শুরু করার পর আঞ্চলিক দলসমূহের গতিবিধি এবং আধিপত্য বিস্তার বাধাগ্রস্ত হবে – এ ধরনের আশংকা হতে আঞ্চলিক দলসমূহ বিজিবি সদর দপ্তর স্থাপন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করছে মর্মে ধারণা করা হচ্ছে।”

নারেইছড়িতে পুলিশ ক্যাম্প নেই সত্য। কিন্তু সেখানে একটি নয়, অন্ততপক্ষে ৪টি বিজিবি ক্যাম্প রয়েছে [তার জ্ঞাতার্থে ক্যাম্পগুলোর অবস্থানও বলে দিই: এই ক্যাম্পগুলো উগুদোছড়ি থুম, দুলুছড়ি থুম, নারেইছড়ি ও পানকদাছড়ায় অবস্থিত। তবে এই জায়গার নামগুলো পাহাড়িদের দেয়া, বিজিবি এই ক্যাম্পগুলোর অবস্থান বোঝাতে নিজস্ব কোড ব্যবহার করে।] এবং বিজিবির টহল সেখানে শক্তভাবেই চালু রয়েছে। তারপরও নারেইছড়ি বাজার পুড়ে যাওয়ার মতো ‘অপ্রীতিকর পরিস্থিতি’ সৃষ্টি হয়েছে। দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোন ‘হীন উদ্দেশ্যে’ তার উপরোক্ত রিপোর্টে এই তথ্য চেপে গেছেন? নারেইছড়িতে বা সেদিকের সীমান্তে বিজিবির টহল জোরদার করার জন্য বাবুছড়ায় বিজিবির ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর স্থাপন করা দরকার – এই যুক্তি আদৌ ধোপে টেকে না।

আর ইউপিডিএফের বিরুদ্ধে ‘অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার পাঁয়তারা’র অভিযোগ সম্পর্কে এটাই বলা যথেষ্ট হবে যে, এ যাবত দেখা গেছে যখনই পরিস্থিতি ‘খারাপ’ হয়েছে, তখনই উদোর পিণ্ডি ইউপিডিএফের ঘাড়ে চাপানো হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে কেবল সাম্প্রতিক একটি ঘটনার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। গত বছর মাটিরাঙ্গার তাইন্দং-এ অপহরণ নাটক সাজিয়ে সেটলাররা বিজিবির সহায়তায় বেশ কয়েকটি পাহাড়ি গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়। এ সময় পাহাড়িরা ভয়ে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের নো-ম্যানস ল্যান্ডে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। ঐ অপরহণ ঘটনার জন্যও তখন ইউপিডিএফকে দায়ি করা হয়েছিল। কিন্তু পরে প্রমাণিত হয় এটা সম্পূর্ণ সাজানো নাটক। এভাবে নিজেদের অপকর্ম ঢাকার জন্য কোন কোন মহল এভাবে ইউপিডিফের উপর দায় চাপাতে চাপিয়ে থাকে।

বাবুছড়ায় বিজিবির ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর হলে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলোর গতিবিধি ও আধিপত্য বিস্তার বাধাগ্রস্ত হবে এই আশঙ্কা থেকে এই দলগুলো বিজিবির ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর স্থাপনে বিরোধীতা করছে বলে মন্তব্য করা হয়েছে। ইউপিডিএফ একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। তাদের স্বাভাবিক রাজনৈতিক কার্যক্রম বিজিবির সদর দপ্তর স্থাপনের ফলে বাধাগ্রস্ত হবে কেন? স্থানীয় জনগণের বিজিবির সদর দপ্তর স্থাপনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার কারণ জমি থেকে উচ্ছেদ হওয়া ছাড়াও আরও কারণ রয়েছে। তাদের আশঙ্কা, বিজিবির ক্যাম্প হলে তাদের উপর নির্যাতন হয়রানি বাড়বে। পরবর্তীতে বিজিবি নানা উছিলায় আশেপাশের জমিগুলোও কেড়ে নিতে পারে, যেমন রুমায় ক্যান্টনম্যান্টের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে বা হচ্ছে, বালাঘাটায়ও জরুরী অবস্থার সময় আর্মিদের ব্রিগেডের দপ্তর সম্প্রসারণের জন্য জমি অধিগ্রহণের চেষ্টা করা হয়েছিল। সুতরাং অতীতের অভিজ্ঞতার আলোককে স্থানীয় জনগণের এই আশঙ্কা অমূলক নয়, বরং যুক্তিযুক্ত।

খাগড়াছড়ি ও দীঘিনালার প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের উচিত নিরপেক্ষভাবে কাজ করা। অবশ্য সেনা নিয়ন্ত্রিত পার্বত্য চট্টগ্রামে তাদের পক্ষে কতটুকু নিরপেক্ষভাবে কাজ করা সম্ভব সেটাও বিবেচ্য বিষয়। ২০০৬ সালে মাইসছড়িতে সাম্প্রদায়িক হামলার পর তৎকালীন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক বলেছিলেন, ‘পাহাড়িরা অসহায়, আমি নিরুপায়’। তারপরও আশা থাকে, পাহাড়ি জনগণ প্রশাসনের কাছ থেকে সুবিচার পাবে।

———-
* স্মারক নং: ০৫.২০.৪৬৪৩.০০৩.০০.০০১.২০১৪ – ৮৫৪
** জেলা প্রশাসকের ১১ জুনের চিঠির স্মারক নং: ০৫.৪২.৪৬০০.০১২.০৬.০৮৩.১৪- ৬২৯ এবং ১৫ তারিখের চিঠির স্মারক নং: ০৫.৪২.৪৬০০.০১২.০৬.০৮৩.১৪- ৬৩৪।

 

সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

 

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More